মানুষেরা মরে যায়, রুক্ষ সাপ খোজে মৃতের খুলি।
শহুরে দালান প্রতি রাত্তিরে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
নির্মানাধীন ভবনের অপলক চাহনিতে আমি শিউরে উঠি।
আমার মরে যেতে ইচ্ছে হয়, ওদের কটাক্ষ দেখে লজ্জায়।
মানুষেরা ভালো নেই, মানুষেরা ভীষন কষ্টে বাচে আজকাল।
বেচে থাকে শুধু জৈবিক চক্রের বক্র দুরভিসন্ধি সফল করে।
নর্দমার জলে জীবানুরাও কি মরে যায়, বিভাজন কি সত্যি মৃত্যু?
কিন্তু মানুষ মরে যায় জীবানুদের উন্নত জীবন বিন্যাসের মাঝেও মরে।
অনেক গুলো বছর কেটে গেলো আজও মানুষ কি একা হয়ে আছে!
তাই কেউ কেউ আচমকা মরে যায়, কেউ কেউ গ্রহ গ্রহান্তরে বন্ধু খোজে।
এই বিশালের মাঝে মানুষ কি অদ্ভুত ভাবে একা, কি যন্ত্রনার এই একাকীত্ব!
তাই মানুষ ইদানিং কালে আর অহংকার করে না, বেশ টপটপ করে মরে যায়।
পিঁপড়ের অস্থিরতায় চোখের পাতা ফেলে না, তবু কোথায় যেন পাড় ভাঙ্গে।
মসৃন সব ডলফিন, তিমিদের রাত্তিরের গান আজও মানুষের অজানা।
ও কি সত্যি গান নাকি মানুষের মতন কিছু হাহাকারের কান্না, মানুষ জানেনা।
আজকে অনেক দিন পরেও মানুষ বড় একা, তাই মানুষেরা মরে যায়।
পৃথিবীর মত দেখতে যে গোলক,সেখানেও কি ভালোবাসা ঝুলে থাকে পাতায়?
গভীর সমুদ্রে যে সুর কাদে রোজ রাতে সেও কি একাকীত্বের আর্তনাদ?
মানুষেরা জানেনা, জানেনা টুকরি মাথায় আপেলওয়ালার কি আছে যন্ত্রনা।
মাংস বেচা নারী জানেনা, মানুষ কেন রোজ সন্ধ্যায় আচমকা মানুষ থাকে না।
প্রসব যন্ত্রনায় কাতর কিশোরীর আক্ষেপ,পথিকের চোখে জল কোথার মিশে একাকার
মানুষ জানেনা মানুষের কি কষ্ট, মানুষেরা বড় একা, তাই মানুষেরা মরে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩