রাতের ট্রেন তখন তিনটা ত্রিশের স্টেশনে।
শহরের বগিগুলোতে নিভে গ্যাছে মানুষের চোখ।
এদিক ওদিক সাইকোডালিক সুরে
ফুলে ফেপে উঠছে মৃদু ঝড়ের পূর্বাভাস।
.
আমাকে খুজতে খুজতে নেমে পড়ি প্লাটফর্মে।
আমি শুনতে পাইনা আমার কন্ঠস্বর,
দেখতে পাইনা হাতের চেটো।
চুম্বক ও সময় সম্পর্কিত গহ্বর ব্যাতিত
জীবন্ত কিছুই আমার চোখে পড়ে না।
.
আমি এগিয়ে যাচ্ছি মহাকর্ষ বলের বীপরিতে।
দেখছি সময় ও আলোর পিছিয়ে পড়া
দেখছি অতীতের যুদ্ধক্ষেত্রে আমার নৈতিক অবস্থান।
.
আমি ধর্ষন শিখিনি জেনেও একজন হৃদয়
সময় ধারনায় প্রথম নারীর স্তন ছিড়ে আনতে পাঠালো।
আমি কেটে আনলাম ঊরু।
পরে জেনেছিলাম,
সে ছিলো পৃথিবীর প্রথম নারী
আমার একমাত্র মা
এবং ঈশ্বরের সর্বশেষ প্রেমিকা।
.
একজন হৃদয়-কে দেখলাম
টি শার্ট ও জিন্স থেকে রূপান্তরিত হচ্ছে তরঙ্গে।
ব্রহ্মাণ্ড থাকে প্রাক্তন প্রেমিকার বুক পর্যন্ত
একবার প্রদক্ষিণ করতে করতে
ভুলে গ্যাছে শেষ প্রলয়ের দিন।
পুলসিরাতে,
মানুষের মাংস খাবার পাপ হাতে উপস্থিত থাকার কথা।
.
স্থায়ী নেশাগ্রস্থতায় একজন হৃদয়
খুজে পেয়েছে তার পরিচয়।
এবং আত্মহত্যার জন্য সে সম্পূর্ন প্রস্তুত।
একজন হৃদয় যখন জেনে যায়
অন্য একজন হৃদয় বলে কেউ নেই।
মানুষের ব্যাক্তিগত জগতে সে অন্ধ আগন্তুক।
তাছাড়া পৃথিবী বলেও যেহেতু আসলে কিছু নেই।
সুতরাং ভোর ছয়টার ট্রেনে ফিরে যাওয়াই কি ভালো নয় ?