বৃটিশ, ডাচ ওলন্ডাজ সবাই চলে গিয়েছে। ১ম বিশ্বযুদ্ধ শেষে ২য় বিশ্বযুদ্ধ গত হয়েছে কলোনি থাকবে না মর্মে। ফিজিকালি কলোনি বলতে তেমন কিছু আর নেই। কিন্তু আদৌ কি কলোনি অধ্যায় শেষ হয়েছে? রাষ্ট্রদখল বন্ধ হয়েছে? ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আজ আর মনোপলি নেই। সেই জাগা দখল করেছে রাষ্ট্র স্বয়ং। নিয়োগ দিয়েছে অজস্র কালচারাল, সামাজিক, অর্থনৈতিক বাষ্টার্ড। কিভাবে কাজ করে এসব বাষ্টার্ডরা?
আধুনিক রাষ্ট্র দখল পলিসি বা উপনিবেশবাদ জন্ম দিতে চমৎকার কিছু কৌশলে নাশকতা চালানো হয়। নাশকতা শুরু’র প্রাথমিক পর্যায়ে নাশকতা “শব্দ”র ওপরেই নাশকতা চালিয়ে নাশকতা’র গুরুত্ব নষ্ট করে দেয়া হয়। যাতে মানসিক ভাবে মানুষ প্রাথমিক পর্যায়ে নাশকতা উপলব্ধি না করতে পারে। বাংলাদেশ বা ইন্ডিইয়ার দিকে তাকান, নাশকতা শব্দটারে আমরা ডাল-ভাত বানাইসি। গুলিস্তানে পটকা ফুটলেও বলা হয় 'নাশকতা'।
Subversion বা অন্তর্ঘাতমূলক কাজ হচ্ছে প্রকৃত নাশকতা। যা একটি রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্র,র অভ্যন্তরে করে থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে রাষ্ট্র কে? কিভাবেই বা রাষ্ট্র'র বিরুদ্ধে নাশকতা ঘটানো হয়? ১০টা পাব্লিক প্লেসে বোমা-বাজি, সড়ক অবরোধ বা ১ টা খুন, ২টা রেপ টাইপ ঘটনাই কি Subversion বা নাশকতা? এর ব্যাপ্তি কি আরো গভীর নয়? আরো নিঃশব্দে? আশেপাশে কারো বিরুদ্ধে কি Subversion বা নাশকতা ঘটছে কি? ঘটলে কি ভাবে ঘটছে?
Subversion বা অন্তর্ঘাত বা নাশকতা বুঝতে পারলে বুঝতে পারবেন পৃথিবী'র কোন দেশ দখল হচ্ছে/হয়ে যাচ্ছে। কোন রাষ্ট্র'র ভাল থাকা না থাকা নির্ভর করে কয়েকটি শ্রেনীর কর্মকান্ডের ওপর। রাষ্ট্র'র জনগণ, সরকারি আমলা, সামরিক বেসামরিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বাহিনী ও মিডিয়া ও বিচার ব্যবস্থা। আর এদের নিয়েই গড়ে ওঠে ও এগিয়ে চলে রাষ্ট্র ব্যবস্থা। এই পাঁচ এলিমেন্ট কে রাষ্ট্রীয় শরীরের ভারসাম্য রক্ষার প্রধান অর্গান বলতে পারেন।
নাশকতার মাধ্যমে রাষ্ট্র দখলের রাজনীতি-তে প্রথমে সমাজের অভ্যন্তরে, একেবারে গনমানুষের ভিত্তিমূলে আঘাত করা হয়। ভিত্তিমূলে আঘাত করতে সমাজ থেকে নীতি নৈতিকতা দূর করার প্রয়োজন হয়। সমস্যা হয়ে যায় প্রতিটি ধর্ম ও প্রতিটি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গুলো টিকে থাকে কিছু নীতি নৈতিকতা আদর্শ’র ওপর বেজ করে। ইভেন হিটলার, নেতানিয়াহু বা হালের নরেন্দ্র মোদী দের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। Yuri Bezmenov | Ideological Subversion পড়ে দেখতে পারেন। চোখের পর্দা অনেকটা খুলে যাবে। সাবভার্সান করতে হয় বিভিন্ন মৌলিক সেক্টর টার্গেট করে। কিছু উদাহরন দিচ্ছি নিচে।
নীতি নৈতিক সাবভার্সান
ধর্ম ও রাজনৈতিক এবং সামাজিক শক্তিগুলোকে সাধারণত নির্মূল করা যায় না। তাই এসব শক্তি-কে অকেজো রাখতে সাবটোজ ঘটানো দরকার পরে যায়। দরকার পরে একদল পরস্পর বিদ্বেষী ধর্মহীন ও ধর্মান্ধ রাজনৈতিক চেতনা জন্ম দেয়া। যেমন বিজেপি বা নাজি বা পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি বা জাসদ বা এক দলীয় সরকার।
ধর্মীয় ও রাজনৈতিক একরোখা মনোভাব সৃষ্টির মাধ্যমে অন্য ধর্ম বা বিশ্বাসের মানুষের প্রতি অবিচার শুরু হয়। ধর্ম’র প্রতি কিছু মানুষের আস্থা নষ্ট করা হয়। সহনশীলতা ও সহ অবস্থানের বিপরীতে নিজ নীতি বাস্তবায়নে নীতি নৈতিকতাহীন পলিসি গ্রহণ করা হয়। নীতি'র বাটখারা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠন গুলোর নীতি হীনতা হেতু সামাজিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় নীতি নৈতিকতার মূলে কঠোর কুঠারাঘাত হয়।
ধর্ম ও রাজনীতির নামে, ধর্ম বা রাজনীতি রক্ষার অজুহাতে এমন কিছু কাজ করানো হয়, যাতে ধর্ম ও রাজনীতি-কে আক্রমণ করা সহজ হয়। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষ-কে ধর্ম ও রাজনীতি বিমুখ করা সহজ হয়ে যায়। ব্যক্তি জীবনে, ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন্ রাজনৈতিক জীবনে নীতি হারিয়ে গেলে সমাজের নীতি নৈতিকতা গোড়া উৎপাটন হতে সময় লাগে না।
শিক্ষা ব্যবস্থায় সাবভার্সানঃ
শিক্ষা সংক্রান্ত উপকরণ-কে সাধারণের নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। শিক্ষা সিষ্টেমের ভেতর বিভিন্ন ক্লাস তৈরি করে বিভেদ বাড়ানো হয়। মেধাবী-দের শিক্ষকতা পেশা থেকে দূরে রাখতে শিক্ষক-দের দুর্বল অর্থনৈতিক কাঠামো-তে রাখা হয়। ফলে শিক্ষকদের অসাধু ও অ-নৈতিক কাজে প্রলুব্ধ করা সহজ হয়ে আসে। পরীক্ষামূলক ভাবে অযৌক্তিক বিভিন্ন শিক্ষা সিষ্টেম প্রয়োগ করা হয়। সেসব সিষ্টেমে ছাত্রদের মেধা উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটে। নকল বা ভুয়া সার্টিফিকেট সহজ-লভ্য করে ছাত্রদের চ্যলেঞ্জ গ্রহনের মানসিকতা নির্মূল করে ফেলা হয়।
ন্যায় নীতি আগেই নষ্ট করে ফেলাতে শিক্ষা অর্জনের মূল উদ্দেশ্য হয়ে যায় ব্যক্তি কেন্দ্রীক। অর্থ কামানো শিক্ষা অর্জনের মূল চাহিদা হবার ফলে শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠতে থাকে চাপরাসি মানসিকতা নিয়ে। ফলে নিজ দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে তাঁরা রাস্তা-তে নামতে বা চ্যালেঞ্জ নিতে ইচ্ছুক হয় না। তখন আল্টিমেটলি উৎপাদন মূখী শিক্ষা সিষ্টেম বন্ধ রেখে দাস প্রবৃত্তির শিক্ষা সিষ্টেম বহাল রাখতে রাষ্ট্র-কে বেগ পেতে হয় না। প্রতিরোধে বিহীন হয়ে যাবার ফলে প্রভুত্ববাদের দাস হতে শিক্ষা অর্জন করে দাসানুসাদে পরিণত হওয়া ছাড়া বিকল্প থাকে না। ফলে একটা সময় আধুনিক উপনিবেশের আদলে দখলী-কৃত রাষ্ট্র'র শিক্ষিত নাগরিকরাই অনুগত দাসের ভূমিকা গ্রহণ করে।
নিরাপত্তা, পুলিসিং ও সামরিক সাবভার্সানঃ
সামাজিক নিরাপত্তার নামে রাষ্ট্র-কে পুলিশি রাষ্ট্র-তে পরিণত করা হয়। সমাজের ভেতরে অপরাধ প্রবণতা উস্কে দেয়া হয়, অপরাধের বিচার রহিত করা হয় কিন্তু পুলিশিং ব্যবস্থা-তে মানুষের চোখে ধুলো দেয়া হয়। পুলিশকে মানুষের শত্রু তে পরিণত করতে পুলিশ বিভাগ-কে অপরাজনৈতিক কৌশলে ঘায়েল করা হয়। দলবাজ ব্যক্তিদের পুলিশ প্রশাসনে নিয়োগের মাধ্যমে এদের দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়। আইন-কে বন্ধুর বদলে ভীতি ও হুমকি তৈরীর মেসিনে পরিণত করা হয়। পুলিশ বাহিনী-কে প্রস্তুত করা হয় দূর্নীতির কর্পোরেট হাউজ হিসাবে। এদের একমাত্র কাজ হয় জনগণের স্বাভাবিক জীবনে হস্তক্ষেপ করে, দুষ্টের পালন করা।
সামরিক ক্ষেত্রে প্রথমে সামরিক ও বেসামরিক তকমা এঁটে দিয়ে দুটি পৃথক শ্রেণি চিন্তা মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়। সামরিক কর্তারা নিজেদের এলিট ভাবতে শুরু করে। অন্যদিকে সামরিক বাহিনী'র প্রকৃত কর্মকান্ডকে মানুষের কাছে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়। মানুষের মনে ধারণা জন্ম নেয় যে নিরাপদ নিশ্চিত জীবন পেতে হলে সামরিক চাকুরী অন্যতম আদর্শ মাধ্যম। অন্যদিকে সামরিক বাহিনী বুঝতে থাকে তারা সিভিলিয়ান দের থেকে অতি যোগ্যতা সম্পন্ন। সামরিক বাহিনী বিষয়ে অজস্র মিথ তৈরি করে সমাজে ছেড়ে দেয়া হয়। মিডিয়া থেকে দূরত্ব'র কারণে সামরিকদের পক্ষে সম্ভব হয়-না এই ভুল বুঝাবুঝি দূর করা। এহেন বিভেদ-পূর্ণ সময়ে বিদেশী বাহিনী দেশ কে আক্রমণ করলে রাষ্ট্র দিশাহারা হয়ে যায়।
মিডিয়া এবং কালচারাল সাবভার্সানঃ
হীরক রাজার দেশের যন্তর মন্তর মেসিনের ভূমিকা পালন করে মিডিয়া। মিডিয়া বিভিন্ন স্বার্থে মানুষের সৃজনশীল চিন্তায় বাধা তৈরি করে মানুষকে ভুল কাজে ব্যস্ত
রাখতে শুরু করে। ভুল মানুষ, ভুল ইডিয়লজি, ভুল পথকে সত্য ও ন্যায়ের একমাত্র সোল এজেন্ট হিসাবে বুঝাতে থাকে। অযোগ্য মানুষকে বারংবার সামনে ধরে তারেই সমাজের চোখে সিলিব্রেটি, রোল মডেল করে তোলে৷ অক্ষম অপদার্থের রুচিবোধকে জনপ্রিয় করে তোলে। স্বার্থ অনুযায়ী একটা অন্যায় বা ভুলকে এমন ভাবে মগজে গেথে দেয়া হয় যাতে নতুন করে কিছু ভাবার সুযোগ না ঘটে মানুষের। যখন কেও আউট অফ দ্যা বক্স ভেবে ফেলে তখন সেই ভাবনাকে ব্লাক আউট করে হয়। বরং সেই ভাবনার কারণে তারে কত ধরনের শাস্তি ভোগান্তি পেতে হবে তার রগরগে ধারা-বর্ণনা প্রচার করে সমাজে ভয়ের সংস্কৃতি চালু করে। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়াতে এমন ভাবে এজেন্ট নিয়োগ দেয়া হয় সে বুঝতে পারলেও প্রতিরোধের উপায় থাকে না।
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সাবভার্সানঃ
এ পর্যায়ে এসে সমাজে যার যার সুনির্দিষ্ট ভূমিকায় ইতি টেনে নতুন নতুন ধারণা সৃষ্টি করা হয়। যেমন মানুষের পোশাক কেমন হবে বা কে কি ধরনের আচার ব্যবহার করবে তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। এই তো একদিন আগেও এক ডাক্তার কেন নাপিতকে বিবাহ করেছেন তা নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল দিয়েছে এই উচ্চ-পদস্থ কর্তা। এর আগে কিশোর তরুনরা চুলের ষ্টাইল কেমন করতে পারবে তারও নিয়ম বেধে দেয়া হয়েছিল একটা ছোট শহরে। জনগণকে কখনো হুমকি দেয়া হয় আবার জনগণের সাথে মশকরা করা হয় প্রকাশ্যে অবলীলায়।
সরকারের দায়দায়িত্ব দিয়ে দেয়া হয় বিভিন্ন সামাজিক ও এনজিও দের হাতে। ফলে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান সুযোগ পেয়ে যায় নিজস্ব ইডিওলজি প্রতিষ্ঠা করতে। বিভিন্ন লবিষ্ট গ্রুপ বিভিন্ন ছদ্মবেশে শিল্পকারখানা চালু বন্ধের দাবী করে, রাস্তা দখল করে, সংখ্যালঘুদের উস্কানি দিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নাকাল করে। কোন পণ্য কতটুকু উত়্পাদন করা যাবে বিভিন্নভাবে ভাবে তার ক্রাইটেরিয়া নির্দিষ্ট করে দেয়। জেনে বুঝেও এসবের প্রতিবাদের উপায় থাকে না। যেমন সম্প্রতি একটি দেশ কোভিড প্রতিরোধে সরাসরি উৎপাদক রাষ্ট্রের বদলে অন্য একটি প্রভু রাষ্ট্র'র সাথে সেই প্রতিরোধক আনতে চুক্তি করেছে। ফলে সে দেশের জনগনের টাকা গচ্চা যাচ্ছে অন্যদিকে সেই টাকা চলে যাচ্ছে প্রভুদের পকেটে।
শেষ কথাঃ
রাষ্ট্র ব্যবস্থা মূলতঃ একটা মানব শরীরের মত। শরীরে দু ' পার ভারসাম্য ঠিক না থাকলে ল্যাংচে হাঁটাতে হয়। একটা পা'কে রাষ্ট্র ধরে নিলে অন্য পা'কে উক্ত ৫ এলিমেন্টের সমষ্টি ধরা যেতে পারে। অর্গান গুলোর একটা ঠিকঠাক কাজ না করলে আপনার রাষ্ট্র প্যারালাইজড। আপনি প্যারালাইজড হলে বুঝতে পারবেন এক পা'র আঘাত অন্য পায় অনুভূতি তৈরি তে ব্যর্থ হলে সামনে পানে আগানো সম্ভব না।।
আপনার ক্ষুদাতিক্ষুদ্র একটা নখে আঘাত লাগলে আপনি ব্যথা পান, আপনার মস্তিষ্ক সিগন্যাল পাঠিয়ে দেয়। আপনার বুকে আঘাত করলেও আপনি ব্যথা পান, মস্তিষ্ক আক্রান্ত হবার সিগন্যাল দেয়। এই যে এক অঙ্গ'র বিপদে অন্য অঙ্গ'র জেগে ওঠা, মস্তিকের সমন্বিত সিগন্যালের মাধ্যমে সতর্ক হওয়া বা প্রতিরোধ করা; এইটাই আপনার বেঁচে থাকার শক্তি। এই অন্তজাল প্রমাণ করে আপনি প্যারালাইজড নন।
কিন্তু সম্ভাব্য দখলে যাওয়া রাষ্ট্র ব্যাবস্থাতে এই সমন্বিত কার্যক্রমের বালাই নেই। জনগণ বিপদে পরলে আইন বা নিরাপত্তা সংস্থা টের পায় না, নিরাপত্তা সংস্থা বিপদ্গ্রস্থ হলে জনগণ গা’য় লাগায় না। বিচারালয় বেচারালয়ে পরিণত হলে সামরিক বা আমলা বাহিনী'র অনুভূতি হয় না- এমন ঘটে-না কোন কোন দেশে? অর্থাৎ শরীর রক্ত শূন্য হয়ে রাষ্ট্র দুর্বল থেকে দুর্বল হয়ে পক্ষাঘাত গ্রস্ত হয়ে পরে, কিন্তু কারোর কোন বিকার দেখা যায় না।
আপনার রাষ্ট্র কি অবস্থায় আছে; বুঝার দায়িত্ব আপনি নিজেও নিতে পারেন।।
রেফারেন্সঃ
দ্যা ডিফেন্স, Strategy blog, Ahmed Sorif, Nt Defence, Geo-p
view this link
নচিকেতার একটা গান দিয়ে বিদায় নিইঃ
কোন এক উল্টো রাজা, উল্টো বুঝলি প্রজার দেশে চলে সব উল্টো পথে, উল্টো রথে, উল্টো বেশে সোজা পথ পোড়ে পায়ে, সোজা পথে কেউ চলেনা। বাঁকা পথ জ্যাম হরদম, জমজমাট ভিড় কমেনা। সে দেশে... অর্থের কারচুপিতে সিদ্ধ যিনি-অর্থমন্ত্রী দেশের শত্রু মাঝে প্রধান যিনি-প্রধানমন্ত্রী সে দেশে. সে দেশে ধার করে ধার শোধে রাজা ধারের টাকা। মরে ভূত হল মানুষ, লোক দেখানো বৈদ্দি ডাকা।। সে দেশে. অবহেলায় যখন ফোকলা সংস্কৃতির মাড়ি, বিদেশি চ্যানেল তখন পৌঁছে যে যায় বাড়িবাড়ি। আনন্দ.কি আনন্দ এসে গেছে কোকাকোলা গেছে সব দেনার দায়ে বাকি আছে কাপড় খোলা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫১