মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে পবিত্র কাওছার বা খইরে কাছীর হাদিয়া করেছি।’
আগামী ইয়াওমুল খ্বমীস বা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অর্থাৎ পবিত্র জুমুয়া উনার রাতটিই হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ।
যা কুল-কায়িনাত সকলের জন্যই সুমহান ঈদ বা খুশির রাত।
এ মুবারক রাত্রটি পবিত্র শবে বরাত, পবিত্র শবে ক্বদরসহ ও অন্যান্য সমস্ত ফযীলতযুক্ত রাত্র থেকেও অনেক বেশি মর্যাদাসম্পন্ন। এ রাত এতো বরকতময় যে, ‘এ রাতে সমস্ত দোয়া নিশ্চিত কবুল হয়’।
তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা উনাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, এ মুবারক ফযীলতপূর্ণ রাতে সমস্ত রাতব্যাপী সজাগ থেকে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ, দোয়া-দুরূদ, তওবা-ইস্তিগফার, নামায-কালাম পাঠে মশগুল থাকা। আর দিনে অর্থাৎ ইয়াওমুল জুমুয়াতে রোযা রাখা।
আর বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ উপলক্ষে ইয়াওমুল খ¦ামীস বা বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা এবং এ রাত ও দিন উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার পবিত্র ‘সূরা কাওছার’ উনার ১ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে পবিত্র কাওছার হাদিয়া করেছি।” সুবহানাল্লাহ! ‘কাওছার’ উনার ব্যাখ্যায় একাধিক অর্থ উল্লেখ করা হয়Ñ প্রথমত: ‘কাওছার’ বলা হয়েছে, সম্মানিত হাউজে কাওছার উনাকে। যা খাছভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন এবং উনার পানি মুবারক পান করলে পবিত্র জান্নাতে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পানির পিপাসা লাগবে না। সুবহানাল্লাহ! দ্বিতীয়ত: সম্মানিত ‘কাওছার’ উনার আরেকটি অর্থ হলো, খইরে কাছীর। অর্থ- যা অতি উত্তম, অনেক ভালো। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যা কিছু হাদিয়া মুবারক দিয়েছেন তা সর্বকালের জন্য, সর্বদিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম। শুধু তাই নয়, এমনকি যা কিছু মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ মুবারক-এ এসেছে সেটাও সবচেয়ে মহান ও সর্বশ্রেষ্ঠ হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ! যেমন- সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা একমত হয়েছেন অর্থাৎ ইজমা হয়েছে যে, যা কিছু উনার শরীর মুবারক স্পর্শ করেছেন; উনাদের মর্যাদা মহাসম্মানিত কা’বা শরীফ এমনকি সম্মানিত আরশে আযীম থেকেও লক্ষ-কোটি গুণ বেশি হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ!
প্রকৃতপক্ষে কোনো কিছুরই কোনো ক্বদর বা মূল্য নেই। শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কারণেই সবকিছুই মূল্যবান, ফযীলতপ্রাপ্ত ও সম্মানিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইভাবে ‘লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ উনার ফযীলত বা শ্রেষ্ঠত্ব পবিত্র শবে ক্বদর, পবিত্র শবে বরাতসহ অন্যান্য সমস্ত ফযীলতপূর্ণ পবিত্র রাত্র থেকেও বেশি হওয়ার কারণ হলো, পবিত্র ‘লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ উনার সম্পর্ক সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র ‘লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ হচ্ছে পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছম্ম মাস উনার পহেলা জুমুয়া উনার রাত্রি। এ পবিত্র রাত্রিতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ কুদরতীভাবে তাশরীফ মুবারক নেন। স্মরণিয় যে, পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া মুতাবিক ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ উনার মর্যাদা, ফযীলত ও শ্রেষ্ঠত্ব পবিত্র শবে বরাত, পবিত্র শবে ক্বদরসহ সমস্ত ফযীলতপূর্ণ রাত্র থেকেও অনেক বেশি। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয় বরং এ পবিত্র রাত্রি এতো বরকতময় যে, এ রাতে সমস্ত দোয়া নিশ্চিত কবুল হয়। সুবহানাল্লাহ!
তাই প্রত্যেক উম্মতের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক ও ফযীলতপূর্ণ রাত্রিতে তাসবীহ-তাহলীল, দোয়া-দুরূদ, পবিত্র ছলাত-সালাম শরীফ, যিকির-আযকার, তওবা-ইস্তিগফার, পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ, ছদকা-খইরাত, নামায-কালাম পাঠে মশগুল থাকা এবং দিনের বেলা রোযা রাখা।
যা আগামী ইয়াওমুল খামীস বা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে অর্থাৎ জুমুয়া উনার রাত্রিতে উদযাপিত হবে। আমরা ইনশাআল্লাহ আমাদের সুন্নতী জামে মসজিদে বাদ ইশা পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের পর বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করবো।
মূলকথা হলো- আগামী ইয়াওমুল খ¦ামীস বা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অর্থাৎ পবিত্র জুমুয়া উনার রাতটিই হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ।
যা কুল-কায়িনাত সকলের জন্যই সুমহান ঈদ বা খুশির রাত।
এ মুবারক রাত্রটি পবিত্র শবে বরাত, পবিত্র শবে ক্বদরসহ ও অন্যান্য সমস্ত ফযীলতযুক্ত রাত্র থেকেও অনেক বেশি মর্যাদাসম্পন্ন। এ রাত এতো বরকতময় যে, ‘এ রাতে সমস্ত দোয়া নিশ্চিত কবুল হয়’।
তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা উনাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, এ মুবারক ফযীলতপূর্ণ রাতে সমস্ত রাতব্যাপী সজাগ থেকে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ, দোয়া-দুরূদ, তওবা-ইস্তিগফার, নামায-কালাম পাঠে মশগুল থাকা। আর দিনে অর্থাৎ ইয়াওমুল জুমুয়াতে রোযা রাখা। আর বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ উপলক্ষে ইয়াওমুল খ্বমীস বা বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা এবং এ রাত ও দিন উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২০