খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো নিয়মনীতি তর্জ-তরীক্বা মতবাদ গ্রহণ করবে; তার থেকে সেটা কখনো কবুল করা হবে না এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্ন্তভুক্ত হবে।” নাউযুবিল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে বা যারা যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে তাদের সাথেই তার হাশর-নশর হবে।”
উপরোক্ত পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম আসার পর সম্মানিত ওহী মুবারক উনার মাধ্যমে নাযিলকৃত অথবা সম্মানিত ওহী মুবারক উনার বাইরে মানবরচিত সর্বপ্রকার ধর্ম বা মতবাদ বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তাহলে হিন্দু, মুশরিক, মালউন, উপজাতি, চোর, ডাকাত, অস্পৃশ্য, যবন কর্তৃক প্রবর্তিত নববর্ষ উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ’ কি করে জায়িয হতে পারে? আর মুসলমান সেটা কি করে পালন করতে পারে? মূলত পহেলা বৈশাখ পালন করলে নিশ্চিতভাবে হিন্দুদের সাথে হাশর-নশর হবে। নাউযুবিল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট বুযুর্গ হযরত ইমাম আবু হাফস কবীর রহমতুল্লাহি তিনি বলেন, “নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে কেউ যদি একটি ডিমও ব্যয় করে, তাহলে তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে। অর্থাৎ সে মুরতাদ হয়ে জাহান্নামী হবে।” নাউযুবিল্লাহ!
পক্ষান্তরে যিনি আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সমস্ত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ১ দিরহাম ব্যয় করবে, সে ব্যক্তি জান্নাতে আমার বন্ধু হবে। সুবহানাল্লাহ!
এখন ফিকির করুন- একটি ডিম ব্যয় করে জাহান্নামী হবেন, নাকি এক দিরহাম খরচ করে জান্নাতী হবেন।