অনলাইনে টাকা আয় । টার্মটা বেশ জনপ্রিয়, শুধু বাংলাদেশে নয় সারা পৃথিবী জুড়েই । আর এই জনপ্রিয়তাকে পুজি করে জালিয়াতিও হচ্ছে অসংখ্য । এটা ঠিক যে অনলাইনে আয়ের অনেক বাস্তব (লেজিট) সুযোগও রয়েছে । আমাদের মতো দেশের জন্যে তো এটি একটি অপার সম্ভাবনা ।
যারা কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র অথবা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর খুটিনাটি জানেন, তারা সহজেই ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং বা প্রোগ্রামিং এর কাজ পেয়ে যান । কিন্তু যারা আপনার আমার মতো আমজনতা অর্থাৎ প্রোগ্রামিং না জানা পাবলিক, তাদের উপায় কি?
অনেকেই অ্যাডসেন্স নিয়ে চেষ্টা করেন, কিন্তু সত্যিকার অর্থে অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করা অনলাইনে অন্য যে কোনো মাধ্যম এর চাইতে কঠিন। adsense myth
অনেকে ডাটা এন্ট্রি'র কাজ করেন । কিন্তু ডাটা এন্ট্রিতে অনেক বেশি কম্পিটিশন । আর রেটও অনেক কম । একই কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করতে হয় যা আসলেই চরম বিরক্তিকর ।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে বাংলাদেশী যারা কাজ করেন তাদের বেশির ভাগই হয় প্রোগ্রামিং নয়তো ডাটা এন্ট্রির কাজ করেন ।
আমি যে লাইনে কাজ করি সেটা হচ্ছে সেলস এন্ড মার্কেটিং । এর মধ্যে রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ইমেইল মার্কেটিং । সবগুলো কাজই মোটামুটি সহজ এবং কোন টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন নেই । তবে ভালো ইংরেজী জানাটা বাধ্যতামূলক । আর যে টাকা পাওয়া যায় তা ডাটা এন্ট্রি'র চাইতে কমপক্ষে দশগুণ বেশি ।
আমি মেইনলি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ করি ।এই কাজটি মোটামুটি সহজ হলেও এর জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে । আর অবশ্যই অধৈর্য হওয়া চলবে না ।
যদি এই লাইনে শুরু করতে চান তাহলে পড়াশুনা শুরু করে দিন । কয়েকটি জনপ্রিয় এসইও ফোরাম আছে যেমন ডিজিটালপয়েন্ট, সাইটপয়েন্ট, এসইওচ্যাট এগুলোতে অংশগ্রহণ করেন । রেগুলার পার্টিসিপেশন আপনার এসইও বেসিক টা তৈরি করে দিবে ।
আরেকটা কথা, ভুলেও ভাববেন না যে ৫-১০ দিন পড়াশোনা করেই এস ইও শিখে ফেলবেন । আগেও বলেছি, এখনও বলছি প্রচুর ধৈর্য লাগবে এ পেশায় সফলতা লাভ করতে । কিন্তু টানা ২-৩ মাস যদি পড়াশোনা + নিজের কয়েকটা সাইটের জন্যে কাজ করেন, আমার বিশ্বাস ততোদিনে আপনি একজন এসএও এক্সপার্ট হয়ে যাবেন ।
পরবর্তীতে এ নিয়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছা আছে ।