ফ্রান্স নামটি বলার পর চোখের সামনে ভেসে উঠে আইফেল টাওয়ার
Eiffel Tower ফরাসি ভাষায়: La Tour Eiffel
দিন এবং রাতে দুই ধরনের রূপ...
১৪ জুলাই ২০০৯ আইফেল টাওয়ারের ১২০ বছর পূর্তি হয়েছে, সেদিনকার ফায়ার ওয়ার্ক দেখুন...
৩০০ মিটার (৯৮৬ ফুট) উচ্চতার এই টাওয়ারটি ১৮৮৯ সালে তৈরি হওয়ার পর থেকে পরবর্তী ৪০ বৎসর যাবত পৃথিবীর সর্ব্বোচ্চ টাওয়ার ছিল।
টাওয়ারের নিচে এর স্হপতি Gustave Eiffel এর মুর্তি, নাম এবং জন্ম তারিখ ১৮৩২~১৯২৩ খোদাই করে লেখা আছে।
প্রবেশ মূল্য: মিডল ফ্লোর ৭.৫০ এবং টপ ফ্লোর ১৩ ইউরো। প্রতিদিন এত টুরিষ্ট আসে যে অনেকে টিকেটের দীর্ঘ লাইনের কারণে টাওয়ারে উঠতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যায়।
টাওয়ার: তিন স্হর বিশিষ্ট এবং এটি সম্পূর্ণ লোহার তৈরি। প্রথম এবং দ্বিতীয় ফ্লোরে রেষ্টুরেন্ট, বার, সুভেনির, গিফট সপ ইত্যাদি এবং এখানে লিফট দিয়ে উঠা যায়।
তৃতীয় ফ্লোরে মজার বিষয়টি হচ্ছে: আইফেল টাওয়ার থেকে সবদেশের রাজধানীর দুরত্ব, দেশের পতাকা সহ লেখা আছে।
বাংলাদেশের রাজধানী খুঁজে বের করলাম, দেখুন...
সিড়ি দিয়ে টপ ফ্লোরে উঠলেই প্যারিস শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
বেশির ভাগ টুরিষ্ট এই পথ দিয়ে হেঁটে টাওয়ারে আসে।
টপ ফ্লোর থেকে শহরের দৃশ্য।
আইফেল টাওয়ারের একেবারে নিচে থেকে উপর দিকের ছবি।
টাওয়ারের মাঝখানে উঠে সেখান থেকে তোলা উপর দিকের ছবি।
টাওয়ারের বেশ সামনে ঝরনা তার পাশে নগ্ন মুর্তি। ফ্রান্সে এরকম মুর্তি খুব দেখা যায়।
ঝরনার পানিতে অনেকে গোসল করে।
রাতে একঘন্টা পর-পর কয়েক মিনিটের জন্য লাইটিং শো হয়।
টাওয়ারটি রাস্হার উপরে দাড়িয়ে, সামনেই প্যারিসের বিখ্যাত সেইন নদী। দুইদিকে হাঁটার জন্য অনেক জায়গা। পাশেই আছে বসার জন্য পার্ক। আর আফ্রিকান, ইন্ডিয়ান, পাকিস্হানীরা হাতে চাবির থোকার মতো করে তারে প্যাঁচিয়ে টাওয়ারের চাবির রিং/ রেপ্লিকা বিক্রি করে। মাঝে মধ্যে পুলিশ তাড়া করলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর আবার আসে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২১