শফিক সাহেব তার ২ মেয়ে আর বউ নিয়ে ঢাকাতে থাকেন। ছোট মেয়ে জয়ী । খুব আহ্লাদী সুরে কথা বলা কৃষ্ণশ্যাম বর্ণের নাদুসনুদুস মেয়ে । একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পরছে ।
বড় বোনের বন্ধুর সিহাবের সাথে তার ৩ বছরের প্রেম । সিহাব বাবা-মায়ের একমাত্র রাজকুমার । দেখতে যেমন সুদর্শন তার ভবিষ্যৎও তার মতই উজ্জ্বল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এল এল বি করছে সে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর জয়ীর মেয়ে বন্ধুর পাশাপাশি কিছু ছেলে বন্ধুও হয় ।তার ছেলে বন্ধুরা তাকে নিয়ে বন্ধুত্তের বাইরে অন্য কোন চিন্তা করে না। জয়ীর বন্ধুদের মাঝে সাগর ছিল সবচেয়ে সুদর্শন। জয়ী সাগরের সাথে বন্ধুত্তের গভীরতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।
একদিন জয়ী তার ছেলে বন্ধুদের সাথে নৌকা ভ্রমনে গেল। সেই দিন সে সাগরের সাথে বেশকিছু ছবি তুলল।ছবি গুলা মোটামুটি ঘনিষ্ট ।অন্তত সিহাব দেখলে তো ব্রেকআপ করবে। কয়েকটা বলি , জয়ী আর সাগর একে অন্নের পিঠে পিঠ লাগিয়ে ছবি।জয়ীর কাঁধে সাগরের হাত। আরও কিছু আছে ।ছবি গুলা দেখার পর জয়ী বলল, “আমার প্রেমিক যদি এই ছবি দেখে তাহলে তো আমারে মাইরা ই ফেলব ।” সন্ধায় বাসায় ফিরার সময় লঞ্ছের ছাদে সে সাগরের পাসে বসে এবং সবার সামনে সাগরের বুকে হেলান দেয় এবং কাঁধে মাথা রেখে আকাশ দেখে আর বলে “আমার প্রেমিক আমারে এখন দেখলে খবর আছে।“সেই দিন জয়ী রাত ১০ টায় বাসায় পৌঁছায়।
জয়ী তার সিহাব কে কেমন ভালোবাসে ???
যে কাজ সিহাবের পছন্দ হবে না সে কাজ জয়ী কেন করবে। কেন সে তার বন্ধুর কাঁধে মাথা রেখে আকাশ দেখবে ? কেন সে সাগরের সাথে ঘনিষ্ট ছবি তুলবে?
এ কেমন অনৈতিক প্রেম? জয়ীর প্রতারণার সুপ্ত আগুন সিহাবের ভালোবাসার রসবোধকে ধিরে ধিরে শুকিয়ে কয়লায় পরিনত করছে।