দুনিয়ার সবচাইতে বড় বই বলুন, পড়তে কঠিন হলেও উপরে প্রথম ছবিটির মত ৭০০ এরও বেশী পাথরের স্ল্যাবএর লিখা বইটিই হল দুনিয়ার সবচাইতে বড় আর ভারী বই!
এই বই পাথরের স্ল্যাবে লিকে তা মায়ানমারের কুথোডয় প্যাগোডার চারদিকে বসানো আছে। কুথেডয় প্যাগোডাটি ১৮৫৭ সালে রাজা মিনডন মীন তৈরী করেন। এই অসাধারণ সুন্দর প্যাগোডাটির চারদিকে সোনালী আস্তর দিয়ে এটাকে দারুণ আকর্ষনীয় করা হয়েছে।
তবে এর আসল সৌন্দর্য হল এটার চারদিকে সাদা মার্বেল পাথরে ৭২৯ টি পাথরের স্ল্যাবের অবস্হান যেগুলিকে বই বলা হচ্ছে। ওগুলোতে বৌদ্ধ ধর্মের একটা পর্বের ইতিহাস আর কিছু ঘটনা লেখা আছে।
৭৩০ নম্বর পাথরটিতে এর লেখার আর এই প্যাগোডার ইতিহাস আর ঘটনাবলী লেখা আছে।
প্রতিটি পাথরের স্ল্যাব পাঁচ ফুট উচু আর পাঁচ ইন্চি পুরু।
১৮৬৮ সালে এগুলো প্রথমে জনসন্মুখে আনা হয়। তখন প্রতিটা লাইন সোনা মিশ্রিত কালি দ্বারা লেখা ছিল আর পাথরগুলোর চারদিকে দামী দামী হীরা পান্না চুনী পাথর বসানো ছিল। দুর্ভাগ্যবশত ১৮৬৮ এর পরে বৃটিশরা ১৮৮০ এর মাঝামাঝি মায়ানমার আক্রমন করে । তখন সৈন্যরা এইসব পাথরের দামী মনিমুক্তাগুলো লুঠ করে নেয়। এমনকি লেখার কালির সোনাগুলোও খুদে বের করে নেয়।
পরে এটাকে মায়ানমার সরকার প্রচুর টাকা খরচ করে মেরামত করেন।
প্যাগোডাটির অবস্হান
এখনো প্যাগোটি তার মুল্যবান বই সহ দন্ডায়মান। লেখার কাজটি সাধারণ কাল কালি দিয়েই করা হয়েছে।
লেখা সহজে পড়া না গেলেও এর বার্তা বুঝতে কস্ট হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২২