সবচাইতে বেশী ক্ষমতাবান মানুষদের কথা বলছি। এরা পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষতাবান মানুষ। দুনিয়াতে এরা যা খুশী তা করতে পারেন। অবশ্য যা খুশী তা করার অধিকার আর ক্ষমতা নিজ নিজ দেশে অতটা প্রয়োগ করেননা যতটা এদের চাইতে বেশীই প্রয়োগ করেন তৃতীয় বিশ্বের কিছু শাসক! যাকগে সেসব প্রসঙ্গ থাকুক আপাতত দেখি প্রচন্ড ক্ষমতাধর মানুষগুলো কারা? বলে রাখছি এরা আমার নাম দিতে চাইছিল আমিই মানা করলুম, ইনকাম ট্যাক্সের ঝামেলা চাইনে বাপু! তা শুরু করি?
ভ্লদিমির পুতীন: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ইনি গত চার বছর যাবৎ দুনিয়ার সবচাইতে ক্ষমতাধর মানুষ। এই ক্ষমতাবান মানুষটির ক্ষমতার ছাপ পৃথিবীর প্রতিটা কোনে দেখা যায়! সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে আমেরিকার প্রসিডেন্ট নির্বাচন সব জায়গাতেই তার প্রভাব লক্ষনীয়!
ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার প্রথম বিলিয়নেয়ার প্রেসিডেন্ট ডোন্ল্ড ট্রাম্প একজন ক্ষমতাবান মানুষ তা একটা পোলাপানও বলবে! প্রেসিেডন্ট হওয়ার পরও তার ব্যাবসা আগের মতই চলছে, তার দুই ছেলে এরিক আর ডোনাল্ড জুনিয়র, আর মেয়ে মেয়ে-জামাই চালাচ্ছে বলা হয় আদতে কে চালাচ্ছে বোঝা সহজ নয়। সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের মালিক খুব একটা বড়লোক বলা যায় না। তবুও তিনিই আমেরিকার সবচাইতে বড়লোক প্রেসিডেন্ট।
এন্জেলা মারকেল, জার্মানীর চ্যান্সেলর। এন্জেলা মারকেল দুনিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী ক্ষমতাশালী মানুষ। বিশ্বে পশ্চিমা উদার মনোভাবগুলো প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মারকেলকে উৎস মনে করা হয়! রিফুইজী নিয়ে জার্মানীর ভুমিকার জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টও তাঁকে সমীহ করে কথা বলেন।
#জনাব জি জিন পিং, চিনা কম্যুনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক, চীনের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, যে ক্ষমতা আগে মো যে তাং (মাও সে তুং) বা দেং জিয়াও পিং এর ছিল। চিনের বর্তমান অর্থনৈতিক উত্থানের পিছনে তার ভুমিকা অনস্বিকার্য। সারা দুনিয়ায় তার ক্ষমতার প্রভাব রয়েছে।
.পোপ ফ্রান্সিস খ্রিষ্টান ধর্মের ১৩০ কোটি খ্রিস্টানদের সবচাইতে বড় ধর্মীয় গুরু, রোমের বিশপ। তিনি পৃথিবীর জনসংখ্যার ছয় ভাগের এক ভাগ মানুষের সবচাইতে বড় ধর্মীয় নেতা। তাঁর ক্ষমতার কথা আর কি বলব! তার দর্শন পাওয়াটাই অনেকের জীবনের সাধনা!
জেনেট ইয়েলেন, আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ এর চেয়ারম্যান। ডলার শেয়ার ধার কর্জ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করেন। তিনি অভ্যন্তরীন কর্জের সুদ কমানোর পক্ষপাতি।
বিল গেটস। তাঁর সবচাইতে বড় পরিচয় তিনি দুনিয়ার সবচাইতে ধনী মানুষ, আর টাকা থাকলেই ক্ষমতা আসে। বিল মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এর সহ প্রতিষ্ঠাতা। তিনি তৃতীয় বিশ্বে পোলিও ম্যালেরিয়া উচ্ছেদ করার কাজে বেশ ব্যাস্ত থাকেন। সম্পদের বিপুল অংশই দান করে বসে আছেন। একটা বয়স না হওয়া পর্যন্ত তার ছেলে মেয়েদের তিনি মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতে দেননি!
গুগল এর সহ প্রতিষ্ঠাতা, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন গুগল, সাথে ছিলেন পিএইচডির ছাত্র সার্জী ব্রীন। একজন পরিবেশ বাদী, ক্লীন এনার্জী এর পক্ষপাতি।
মার্ক জুকারবার্গ, সহ প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং চেয়ারম্যান। প্রচন্ড ধনীও বটে! প্রায় ৬১ বিলিয়ন ডলারের মালিক। দুনিয়ার ধনীদের একজন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টেের চাইতে ধনী। তিনি হার্ভার্ড থেকে ড্রপআউট, ২০০৪ সালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তার বয়স ১৯ বছর! তিনি ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চান তাদের সব ধন দৌলত জীদ্দশাতেই দান করে ফেলার পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন!
আমাদের বড়লোকেরা কি ভাবেন!
মারিও দ্রাঘী, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এর প্রেসিডেন্ট। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ম্যানেজ করার ব্যাপারে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখেন, ব্রেক্সিটের সময় অর্থাৎ বৃটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে বড় ভুমিকা পালন করেন। ইউরোপে নেগেটিভ ইন্টারেস্ট রেট চালু করার পক্ষপাতি।
লী কি কিয়াং, চিনের প্রধানমন্ত্রী, দুনিয়ার উপরেই ছড়ি ঘোরান। তাইওয়ান নিয়ে সমস্যায় আছেন।
সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা, যেহেতু আমার নামটা নেই তাই আপাতত আর লিখছিনা, ক্ষান্ত দিলুম। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২১