প্রথমে একটা মাটি টানা গাড়ী। এটার নাম Liebher T282B । এটা তৈরী করেছে জার্মানী ২০০৪ সালে। এটার ইন্জিনটাই ১০ টনের বেশী ভারি আর ক্যাপাসিটি ৭০০০০ সিসি (প্রায় ৫২ খানা টয়োটা করোলার ইন্জিনের সমান) আর প্রায় ৩৬৫০ হর্স পাওয়ার পয়দা করে। খালি অবস্হায় ওজন ২০৩ টন, বহন ক্ষমতা ৩৬৫ টন। এটা লম্বা ১৪.৫ মিটার, গতি ঘন্টায় ৬৫ কি.মি.। এটা ৭.৪ মিটার উচু আর এটার দাম ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ছবি দেখুন নীচে:
এবার মাটি খোড়ার যন্ত্র। নীচে যেটা দেখছেন সেটা হল দুনিয়ার সবচাইতে বড় মাটি খোড়ার যন্ত্র। নাম Bagger 288 । এটা একটা ট্র্যাকড যান (যার চাকাগুলি ট্যাংকের চাকার মত ফিতা সদৃশ) এটা বানিয়েছে জার্মানীর ক্রুপ কোম্পানী।
এটার ওজন ১৩৫০০ টন আর উচ্চতা ৯৫ মিটার। এটার শক্তি বাহির থেকে আসে। ছবি দেখুন নীচে:
এর পরেরটা একটা খনিতে মাটি বা আকর খোড়ার যন্ত্র। জার্মানীর Takraf এটা বানিয়েছে নাম Takraf RB293 । এটা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার একটা কয়লা খনিতে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
এটার উচ্চতা ৯৪.৫ মিটার বা ৩১০ ফুট, লম্বা ২২০ মিটার বা ৭২২ ফুট, ওজন ১৪,১৯৬ টন আর এটা চালাতে ৫ জন অপারেটর লাগে। এটার বাকেট হুইলটার (যা দিয়ে মাটি ভরে তোলা হয়, ছবিতে ডানের গোলাকৃতি চাকাটা) ব্যাস ৭০ ফুট সেখানে ২০টা বালতি আছে আর প্রত্যেকটা বালতি ১৫ কিউবিক মিটার মাটি/কয়লা ভরে তুলতে পারে। এটা দিনে ৮,৪৭,০০০ কিউবিক ফুট মাটি/কয়লা তুলতে পারে। ছবি দেখুন:
এবার একটা উভচর যান দেখা যাক। এটার নাম হুভারক্রাফট যা নীচের দিকে বাতাসের চাপের সাহায্যে জল স্হল দু জায়গাতেই স্বচ্ছন্দে চলতে পারে। আর ছবির এটা হল দুনিয়ার সবচাইতে বড় বেসামরিক হুভারক্রাফট। এটার নাম BHC SR- N4 । এটা ৪১৮ জন যাত্রী আর ৬০ টা গাড়ী নিয়ে আরামসে যেতে পারে। ছবি দেখুন:
এবার একটু আকাশে যাওয়া যাক। এটার নাম Air Bus A380। দুনিয়ার সবচাইতে বড় এই উড়োজাহাজটি ৩ টা শ্রেনী হলে (ইকনমি, বিজনেস আর প্রথম শ্রেনী) ৫২৫ জন যাত্রী আর সব ইকনমি ক্লাশ হলে মোট ৮৫৩ জন যাত্রী নিয়ে উড়ে যেতে পারে তার গন্তব্যে। আজদাহা উড়োজাহাজটির ছবি দেখুন নীচে:
আকাশ থেকে এবার জলে। হ্যাঁ এবার সবচাইতে বড় জাহাজ। এটা একটা সুপার ট্যাংকার ছিল তবে বর্তমানে ফ্লোটিং স্টোরেজ এন্ড অফ লোডিং ইউনিট ( FSO) হিসাবে নরওয়েতে ব্যাবহৃত হচ্ছে। এটার নাম Knock Nevis । এটা ৪৫৮.৪৫ মিটার লম্বা, চওড়া ৬৯ মিটার আর ওজন ৫,৬৬,৭৬৩ টন। ছবি দেখুন নীচে:
সবশেষে পানির নীচের যান সাবমেরিন। এটা একটা সাবেক সোভিয়েট রাশিয়ার আকুলা ক্লাশ (Akula Class) নিউক্লিয়ার পাওয়ারড সাবমেরিন আর ন্যাটো এটাকে বলে টাইফুন ক্লাশ (Typhoon Class ) সাবমেরিন যেটা ছিল তৎকালিন দুনিয়ার সবচাইতে বড় সাবমেরিন। এটা লম্বায় ১৭৫ মিটার আর এটার আনবিক শক্তিতে চালিত দুটো ইন্জিনের প্রতিটি ইন্জিন ২,৫৪,৮০০ হর্স পাওয়ার শক্তি উৎপন্ন করে। এটার গতি ঘন্টায় ২৫.৫৭ মাইল আর ডুবন্ত অবস্হায় ঘন্টায় ৩১ মাইল। আশির দশকে চালু হওয়া এই সাবমেরিন বিপুল পরিচালনা ব্যায় আর রক্ষনাবেক্ষন খরচের কারণে বাতিল করা হয়। এটা একনাগাড়ে না ভেসে পানরি নীচে ১২০ দিন চলতে পারে। ছবি দেখুন:
সুত্র:
Click This Link
Click This Link
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১২