ওয়াশিংটনের চিঠি
'বিতর্কিত নিয়োগের' পক্ষে জয়ের যুক্তি
Click This Link
Thu, Jan 29th, 2009 6:28 pm BdST
ওয়াশিংটন, জানুয়ারি ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)--প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়ার তুলনা সঙ্গত নয়।
বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সেমিনারে জয় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলের সঙ্গে তার পার্থক্যের একটি দিক তুলে ধরে বলেন, "আমার জনপ্রশাসনে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ডিগ্রি আছে।"
মূলত প্রবাসে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয় 'দ্য বাংলাদেশ ইলেকশনস অ্যান্ড বিয়ন্ড: ডেমোক্রেসি, সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক এক সেমিনারের প্রশ্নোত্তর পর্বে ওই মন্তব্য করেন।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বিভাগ(এসএআইএস) এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল (ইউএসবিবিএসি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দুই ছেলে যেমন ব্যবসায় জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তিনি একই পথ অনুসরণ না করার স্পষ্ট ঘোষণা দেবেন কিনা- বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়াতে গিয়েই দৃশ্যত জয় ওই উত্তর দেন।
জয় ছিলেন সেমিনারের চার প্যানেলিস্টের একজন। এর ফলে স¤প্রতি আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পেলেন অনেকে।
সেমিনারে জয়কে 'শেখ হাসিনার উপদেষ্টা' হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে যাওয়া তৌফিক-ই-এলাহীর মতো 'বিতর্কিত ব্যক্তিকে' প্রধানমন্ত্রী কেন তার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন- সরাসরি এ প্রশ্ন করা হলে জয় বলেন, তিনি এ বিষয়টিকে 'ভুল' বলে মনে করেন না।
জয় উত্তর দেন: "কেউ কেউ বলতে পারেন যে তৌফিক-ই-এলাহী বিতর্কিত, কিন্তু আরো অনেকেই আছেন যারা তা মনে করেননা।"
দুর্নীতির অভিযোগে তৌফিক-ই-এলাহীর সা¤প্রতিক কারারুদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিশ্বাসযোগ্য কোন প্রমাণ ছাড়াই তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনেক নিরপরাধ ব্যক্তিকে জেলে পুরেছিল আর আমার মা তাদেরই একজন।"
সেমিনারে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন এসএআইএস'র দক্ষিণ এশিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক ওয়াল্টার অ্যানডারসন।
জয় ছাড়াও সেমিনারে আরো তিনজন প্যানেলিস্ট ছিলেন। তারা হলেন- এসএআইএস'র পিএইচডি ছাত্র জশুয়া হোয়াইট, ইউএসবিবিএসি'র বোর্ড সদস্য ইমতিয়াজ হাবিব এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক পিটার মানিকাস।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে হোয়াইট ও মানিকাস স¤প্রতি বাংলাদেশ সফর করেন।
সেমিনারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির সূচনা বক্তব্য দেন। তিনি বাংলাদেশের সা¤প্রতিক নির্বাচন এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশী-আমেরিকান, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহী অনেকেই এতে যোগ দেন।