আমরা ছোট বেলায় মানে ইন্টারনেট আইয়নের আগে মানে বাঙলার জমিনে যখন প্রকাশ্যে শ্লোগান দেওয়া হতো, আমরা সবাই তালেবান বাঙলা হবে আফগান- তখনো আমরা ভিসিআর-এ পর্ণ দেখতাম। আর ন্যুড ফটো কিনতাম। এক পিস দুই টাকা দাম দিয়া।
আমরা যখন কিশোর তখন আমরা ব্রা প্যান্টি শুকাইতে দিলে সেগুলো লুকিয়ে লুকিয়ে নেড়েচেড়ে দেখতাম। পাড়ায় নয়া বউ আইলে আমরা পুকুরে গোসলের দৃশ্য আড়ালে দেখতাম।
আমরা যখন যুবক তখন আমরা ইন্টারনেটের সান্নিধ্যে পেয়ে সাইবার ক্যাফেতে ঘন্টা প্রতি বিশ টাকা খরচ করে ওয়ার্ল্ড সেক্স ডট কমে ঢুকে ন্যুড পিক দেখতাম কারণ তখন পর্ণ ভিডিওর যুগ ছিলোনা। ইয়াহু মেসেঞ্জারে ফিলিপাইনের মাইয়াদের লগে সেক্স চ্যাট এবং ক্যাম সেক্স করতাম।
ইন্টারনেটের বিপ্লব ঘটে গেলে আমরা নির্ভর হয়ে পরলাম পর্ণ সাইটের উপর এক ক্লিকে তাবৎ পর্ণষ্টারদের সেক্স ক্লিপস দেখা যায়। আহ কি সুখ আহ শান্তি! সেক্সের কলা কৌশল ব্যাকরণ সবই আমরা পর্ণ দেইখা শিখছি। যেমন ব্লোজব, সাকিং, সিক্সটি নাইন, ডকিসহ আরো অন্যান্য...
সিনেমা দেখতে হলে যাইতাম শুধুমাত্র সেইসব সিনেমা দেখতে যেসব সিনেমা দেখলে আমাদের পয়সা উসুল হইতো! মানে যেসব সিনেমায় রগরগে যৌনতার ক্লিপস বা কাটপিস থাকতো!
এখন ওয়েব সিরিজের জামানা। টেলিভিশনে আমরা যেসব নাটক, টেলিফিল্ম কিংবা সিনেমা দেখি সেইসবে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় মাল মসলা পাইনা। কিন্তু ওয়েব সিরিজে পাই। আর ওয়েব সিরিজ আমরা নিজ দায়িত্বে নিজ পয়সা খরচ করে আমাদের মতন করেই দেখে মজা নিই কিংবা বিনোদিত হই। কিন্তু সমস্যা হইতাছে একদল মিডিয়াবাজ সুশীল অশ্লীলতার ধোঁয়া তুলে ওয়েব সিরিজের বিরুদ্ধে লাইগা রইছে! আর এইসব মিডিয়াবাজ সুশীলদের ব্যাক্তিগত জীবন যাপন খতিয়ে দেখলে দেখবেন তারাও চোদনবাজ!
যৌনতা আমাদের মগজে। যৌনতার জন্য আমরা লাখ লাখ পয়সা খরচ কইরা মাইয়া পুষি কিংবা দেশের বাইরে গিয়া উন্মাদ যৌন জীবন উপভোগ করি। কিন্তু দেশের ভিতরে যৌনতা উপভোগের মাধ্যম তৈরি হইতে তাদের সমাজ ধ্বংস হইযাইতাছে বইলা মনে হয়!
এইদেশে সাহিত্য পাড়ায় আহমদ ছফা, হুমায়ুন আজাদ কিংবা জাফর ইকবাল থেকে শুরু করে আবৃত্তি পাড়ায় মাহিদুল ইসলাম, সিনেমা পাড়ায় কাজী হায়াৎ থেকে গাজী রাকায়েত, ইসলাম পাড়ায় ইমাম মুয়াজ্জিন কিংবা মসজিদের হুজুর রাজনীতি পাড়ায় আসিফ নজরুল, গোলাম মুর্তজা , অসংখ্য এমপি মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সত্য মিথ্যা জানি না কিন্তু এটুক জানি যাহা রটে তাহা কিছু না কিছু হইলেও ঘটে!
যৌনতারে রেখে ঢেকে কিংবা ধর্মের দোহাই দিয়ে কখনোই নিয়ন্ত্রণ করা যায় নাই। মানুষ চোদনের জন্য সবসময়ই ব্যাকুল ছিলো ব্যাকুল থাকবে। যৌনতাকে দমিয়ে রাখার চাইতে যৌনতাকে অবাধ করা যায় কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা বহুত জরুরি।
মোড়ে মোড়ে ডার্ক রেষ্টুরেন্ট, হোটেল গুলো টিকে আছে শুধুমাত্র নিরাপদ যৌনতার সুযোগ দেওয়ার জন্য। নইলে বাঙলাদেশের পর্যটন এরিয়ার আশেপাশের হোটেল গুলোতে মাছি মারতে হইতো!
ওয়েব সিরিজের বিরুদ্ধে অশ্লীলতা কিংবা পর্ণ মুভির অভিযোগ তুলে না দমাইয়া এইটারে অবাধ করেন। যৌনতা প্রিয় লোকজন একা একা যৌনতা নিজ রুমে কিংবা বাথরুমে আরামচে উপভোগ করতে পারবে। কারণ আমাদের মগজে যৌনতা কিলবিল করে। আমাদের চিন্তায় যৌনতা চষে বেড়ায়। আমরা যৌনতার জন্য হাহাকার করি...
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৩