.......দাঁড়াবার সময় তো নাই ....... ?
দৌঁড়…দৌঁড়.. রান…রান…. ।
কতোকাল আর দৌঁড়ুবেন জীবনের সাথে পাল্লা দিয়ে ? কাজ ... কাজ ... আর কাজ করে নাভিশ্বাস উঠিয়ে ফেললে জীবনের আনন্দটুকু ছাড়াই যে ওয়ান ওয়ে টিকিট কেটে ফেলবেন সময়ের আগেই !
তাই বলি - “পথিক, তিষ্ট ক্ষনকাল .......”
আসলে জীবনটাকে পূর্ণমাত্রায় উপভোগ করা থেকে দুরে রাখতে আপনার অজুহাতের কোনও শেষ নেই ।
কারন বেশীরভাগ সময়েই আপনাকে শেখানো হয়েছে, খেলাধূলো এবং বিশ্রাম “গুড ফর নাথিং”।
যখোনই আপনি একটু ফাঁকা সময় হাতে পেয়েছেন, আপনার মাথার মধ্যে কোন চিন্তাটি গজিয়ে উঠছে ? প্রতিযোগিতার এই দৌড়ে না ভেবে উপায় নেই – “গেট বিজি” । অথবা ভেবেছেন, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা, তাই । কিম্বা, অলস বসে থাকলে “বাত” এর আক্রমন হবে, এমোনটাও ভাবতে পারেন ।আবার এটাও ভেবে থাকলে দোষ নেই – “পরিশ্রমেই সাফল্য” । সুতরাং.. দৌড়াও…দৌড়াও.. রান…রান…. । ঠিক যেন সেই কবিতার পিপীলিকার মতো ভাবা - যাই মধু আহরনে / দাঁড়াবার সময় তো নাই.... ।
বিশ্রাম কথাটি বললেই আপনার মনে হবে , হাত-পা ছড়িয়ে শুধু শুয়ে থাকা । তা কিন্তু নয় মোটেও । এটা হলো আদতে মনের বিশ্রাম যা গাড়ীর মবিলের মতো আপনার শরীরযন্ত্রকেও স্মুথ রাখবে । এটাকে বলুন – “সক্রিয় বিশ্রাম” ।
আসলে আপনি যতো সক্রিয় বিশ্রামে থাকবেন ততোই আপনার জীবনটা সুখের হবে । কিন্তু জীবনের অধিকাংশ বাধাগুলো যেমন – ক্লান্তি, অপরাধবোধ, নিজের ছেলেমেয়েদের সাথে হেকটিক সিডিউল, ব্যবসা-বানিজ্য, সামাজিকতা রক্ষার ঝকমারি ইত্যাদি এড়িয়ে চলা সহজ নয় মোটেই । এগুলো আপনার সময় খেয়ে নেবে সব । ঝরঝরে করে ফেলবে আপনার জীবনের সব নাটবল্টু ।
আপনার সব ব্যস্ত-অব্যস্ত সময়গুলো যাতে অর্থবহ হয়ে ওঠে তার জন্যে চাই, ভিন্নমাত্রার বিশ্রামের দক্ষতা কি কাজে বা কাজের ফাঁকে ; যার সাথে আপনি পরিচিত নন । আর দরকার পরিকল্পনার ।
শুধু দৌঁড়ুনই নয় কেবল , আপনার প্রয়োজন বিশ্রাম খুঁজে নেয়ার দক্ষতা, জীবনদীপ্ততার হাতিয়ার ।
শুধুই দর্শকের গ্যালারীতে বসে থাকবেননা… . . .
আমরা বড়ই হয়েছি কেবল দেখতে দেখতে, দর্শক হিসেবে । অংশগ্রহন করা হয়ে ওঠেনি অনেক কিছুতেই । কেবল পর্দায় দিন-রাত তাকিয়ে তাকিয়ে ছবি দেখা ছাড়া আমরা নিজেরা হয়ে উঠতে পারিনি পাত্রপাত্রী ।
ছবি দেখে, শাহরুখ খান কিম্বা ঐশ্বরিয়া রাই হতে তো বড্ড ইচ্ছে মনে মনে । কিন্তু ইচ্ছেগুলো ইচ্ছেই থেকে গেছে ।
সাদা পর্দায় নয়, জীবনের বিশাল পর্দায় অভিনীত ছবিতে সক্রিয় অংশগ্রহনের অভিজ্ঞতাটাই হলো গিয়ে রিয়েল ম্যাজিক । বৈষয়িক প্রাপ্তির চেয়ে এই প্রাপ্তিটুকুই আমাদের বেশী সুখী করতে পারে । আর তা তুলনাহীন, মিলবেনা অন্য কারো সাথে । তাই , আপনার সন্তানটিকে বা ছোট্ট ভাই-বোনদের যখোন আপনি শেখাচ্ছেন – “টুইংকল টুইংকল লিটল ষ্টার…” আপনিও ওদের সাথে মিটিমিটি তারাদের মতোন জ্বলে উঠুন । কেবল দর্শক হয়ে থাকবেন না ।
মোটেও ভাববেন না , আপনার এই বয়সে এটা কি মানাবে ?
কাজের অপরাধবোধ সময়ের অপচয় মাত্র…. . . .
অনেক রাত পর্য্যন্ত আপনাকে কাজ করতে হয়, এমোন কি ছুটির দিনেও রেহাই নেই কাজ থেকে , বিশ্রামের সময় কোথায় ? এমোন অপরাধের অনুশোচনায় ভুগবেন না । সাইকোলজিষ্টরা বলেন, কাজ সংক্রান্ত অপরাধ বোধটি একটি “আন-রিয়েল” অপরাধ শ্রেনীর । এতে আপনি কাউকে শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেননি । আপনার এই অপরাধবোধটুকু বলছে, বিশ্রামের কোনও অর্থ নেই ।
ডোন্ট বাই ইট ।
আপনি যদি একজন “মা” হন ভেবে দেখুন, আপনার সন্তানের বাবা যখোন তাদের সঙ্গ দিচ্ছে তখন আপনার খানিকটা সময় বিশ্রাম নিতে কোনও দোষ আছে কি ? কারন আপনার বাচ্চারা তখন তাদের বাবার সাথে আনন্দে মশগুল । তখোন আপনি একটু বিশ্রাম নিতেই পারেন । আর যদি কাজ করতেই হয় তবে বাবা-সন্তান সবাইকে বলতে পারেন , এসো রান্নায় বা ঘরের কাজে হাত লাগাও । ভালো লাগবে । আপনার স্বাস্থ্য আর জীবনীশক্তি পুরোপুরিই নির্ভর করছে এই রকম “কোয়ালিটি রিফুয়েলিং” এর উপর ।
মনের ভেতরে এই ভাবনাটুকু গড়ে তুলুন, কাল শুক্রবারের দিনটিতে আমি অফিসে বা অন্য কাজে যাচ্ছিনে । কাল বাসার সবার ছুট্টি । ওদের দিকে নজর দিয়ে ওদের সাথে সময় কাটানোটাই আমার প্রায়োরিটি । কাজ যেটুকু বাকী, রোববারে করে ফেলবো । দেখবেন একটা অহেতুক অপরাধবোধ থেকে আপনি ছাড়া পেয়েছেন । এতে আপনার মন-মেজাজ হাল্কা থাকবে, যেটা আপনি আসলেই চেয়ে এসেছেন এতোদিন ।
আপনি যদি কাজটিকেই প্রাধান্য দিয়ে ভেতরে ভেতরে অনুশোচনায় ভোগেন যে, সংসারে সময় দিতে পারছেন না তাহলে আপনি যথেষ্ট বুদ্ধি মাথায় রাখেন না । যদি ভাবতে গিয়ে মনে হয়, “ধেত্তেরি তোর চাকরী…..” তাহলে বুঝতে হবে আপনার অধৈর্য্য আপনাকে বুদ্ধির শেষ মাথায় ঠেলে দিচ্ছে । বুদ্ধির শেষ মাথায় পৌছে গেলে আপনি ঘর-সংসারের নিত্যদিনের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলার জন্যে দরকারী শক্তি আর ধৈর্য্য খুঁজে পাবেন না ।
এরকম ফালতু অপরাধবোধ আপনাকে জোরে জোরে বলবে, জীবনের মধুর ক্ষনগুলো আপনার জন্যে নয় । আপনি এর যোগ্য নন । তাহলে আপনি সারা জীবনই কাজ আর কাজ নিয়ে পড়ে থাকবেন, আনন্দ কাকে বলে তার দেখা পাবেননা কস্মিনকালেও ।
আপনি বুদ্ধিধারী হলে আপনার কপালে বিশ্রাম নেই এরকম “বোগাস” কথা কানে তুলবেন না ।
“অফ-মুড”টাকে কষে নাড়া দিন . . . . .
কখনও কখনও আপনার মুড আপনার জীবনকেই জিম্মি করে ফেলবে ।প্রতিদিনই আপনাকে অনেক কিছুর ভেতর দিয়ে যেতে হয় । কাজ থেকে বাড়ীতে ফিরে আপনার মুড থাকে বিরক্তির তুঙ্গে । এটি সাময়িক, কিন্তু জীবনের রস-কষ শুষে নিতে পারে । অনুভুতিটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
চুপচাপ বসে না থেকে কিছু একটা করুন । ছেলেমেয়ে থাকলে তাদের সাথে আড্ডা দিতে বসে যান । ওরাও আপনাকে পেয়ে বাড়তি মজা পাবে যা ওদেরকে রাখবে তরতাজা । এটা না থাকলে সংসার পার্টনারের সাথে ঘরের কিছু কাজ সেরে ফেলুল । খুনসুটি করুন ।
ও স্যরি, আপনি অবিবাহিত । কেউ নেই বলে মুখ গোমড়া করে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন না । সারাদিন খেটেখুটে এসে এই বিশ্রামের সময়টুকুতেও যদি জীবনে কি পেলেন এমন হিসাব কষতে বসেন, তবে দেখবেন আপনার জীবনীশক্তির সলতেটি পুড়ে পুড়ে এইটুকুন হয়ে গেছে ।
ট্রাক-স্যুট পড়ে ফেলুন আর ঝেড়ে দৌড় দিন একটা । ব্যায়ামও হবে আর আসার পথে মোড়ের ডিভিডি শপ থেকে একটা সুস্থ্য ধারার ছবি নিয়ে আসবেন । কিম্বা কিছু স্ন্যাকস । কিম্বা বন্ধুকে ফোন করুন । ঘন্টা খানেক কাটিয়ে দিন ……
বের হয়ে আসুন ঘেরাটোপ থেকে.. .. .. ..
নতুন কিছুর চেষ্টা করা সবসময়ই খানিকটা আতংকের । নিজেকে বোকা বোকা লাগবে এই ভয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না । বোকাদেরই অনেক মজা করার থাকে কারন তারা এতে নতুন কিছু শেখে ।আর আপনার মগজটি তাই-ই চায় , কিছুতে লেগে থাকতে , অলস বসে থাকতে নয় । আপনি নিজেকে গুটিয়ে রাখেন এই ভয়ে যে, লোকে হয়তো ভাববে আপনি অনেক কিছুই জানেন না । এই ভীতিটাই আপনাকে অন্তর্মুখী করে ফেলবে । এ ঘেরাটোপ থেকে বেড়িয়ে আসুন । এ জাতীয় বোকামীর সাথে বাঁধা গাটছড়া খুলে ফেলুন । জাষ্ট জাম্প…জাম্প ।
ভাবতে থাকুন-“পথে এবার নামো সাথী, পথেই হবে পথ চেনা….”
খুঁজুন লম্বা সময় ধরে তৃপ্তি .. .. .. ..
ছোটখাটো স্বল্পকালীন আনন্দই কেবল নয় , খুঁজুন লম্বা সময় ধরে তৃপ্তি দিতে পারে এমোন কিছু । আপনি সাধারনত খাবার, সেক্স, শপিং, সিনেমা ইত্যাদির পেছনেই পড়ে থাকেন ।এরা হলো খন্ডকালীন ডিপোজিট যা কখনই আপনাকে লং-টার্ম ডিভিডেন্ড দেবেনা ।অথচ এর পাশাপাশি যদি আপনি এমোন কিছু করেন যেমন, প্রতিবেশী কাউকে সাহায্য করা, বাচ্চা- লালন পালনে হাত লাগানো, নতুন কোনও শখের পেছনে ছোটাছুটি , দেখবেন তার আনন্দ সব ছাঁপিয়ে দীর্ঘতর হযেছে ।আপনার ভেতরের একান্ত চাহিদাকেই এ জাতীয় কাজ পূর্ণ করে দেবে । তৃপ্তিটা হবে বোনাস পাওনা ।
জীবন নিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন .. .. .. ..
জীবনটাকে আরো রঙীন করে তুলতে আপনার বিশ্রামের সময়টুকুকে অন্যভাবেও কাজে লাগাতে পারেন । পরীক্ষামূলক । নিজে গান গাইতে পারেন, ছবি আঁকা শুরু করে দিতে পারেন, পারেন লেখালিখি করতে । কিছু না করার থাকলে বাগানের বা টবে লাগানো গাছে পানি ঢালতে পারেন ।বাচ্চাদের ও শেখাতে পারেন এসব । ওরাও বেশ আনন্দ পাবে আর সারাদিনের ক্লান্তির পরে আপনারও বেশ ঝরঝরে লাগবে দেহ-মন ।
এখানে কোনও বিচারক বসে নেই আপনার কাজের বিচার করতে । আর আপনার কাজের কোনও বিচার করার প্রয়োজনও পড়বেনা বোধহয় ।
মনের ভেতরের এই সুইচটাকে অফ করে দিন যা আপনাকে সবসময় বলছে – কাজ মানেই কাজ আর বিশ্রাম মানেই কিছু না করে চুপচাপ বসে থাকা । “ওয়র্ক মাইন্ডসেট”টাকে বন্ধ রাখুন । জ্বেলে দিন মনের ভেতরের একান্ত আনন্দমূখর যে মানুষটি বাস করে তার ঘরের বাতিটিকে । কেবলমাত্র বিশ্রামের সময়টুকুতে শুধু চুপচাপ বসেই থাকবেন না । কিছু একটা করুন যাতে আপনার মনের খোরাক মেটে । মোটেও বৈষয়িক প্রাপ্তির কথা মাথায় আনবেন না । কিছু না করার খুঁজে পেলে, লাইফ পার্টনারকে কাতুকুতু দিন …..
( একটা সত্যি ঘটনা – আমার এক বন্ধু, মাথায় টুপি , মুনসী মানুষ, সবে অধ্যাপনায় যোগ দিয়েছে আর বিয়েটাও সেরে ফেলেছে নগদে । একদিন পথে দেখা, হাতে তিনচারটে বিছুটি পাতার শাখা । বললাম, কিরে মুনসী- এগুলো দিয়ে কি করবি ? নির্বিধায় তার জবাব- তোর ভাবীর কনুইতে আর নাকে ঘসে দেবো । দেখবো আসলে চুলকোয় কিনা …. নতুন বৌ তো, হাসিখুশিতে রাখতে হবে…….)
অভ্যেস গড়ে তুলবে “প্যাসন” .. .. .. ..
মনের চার দেয়ালের মধ্যে আপনি হাতড়ে বেড়ালেও “প্যাসন” এর দেখা পাবেন না । আপনাকে এর মধ্যে সুড়ুৎ করে ঢুকে পড়তে হবে । লেগে থাকতে হবে যেমন লেগে ছিলেন উঠতি বয়সকালে সুন্দরী মেয়েটি বা সুন্দর ছেলেটির পেছনে । সব কাজই যে নিঁখুত ভাবে করতে হবে এমোনটা নয়, কিঁছুটা নিজে নিজে শেখার জন্যে করুন । এখানে ভুল-ত্রুটি হলেও ক্ষতি নেই । কে দেখতে যাচ্ছে ? জানবেন, নিখুঁত কাজের প্রাইজ দিতে আপনার জন্যে ফুলের মালা নিয়ে কেউ বসে নেই । এই অভ্যেসগুনোকে উপভোগ করতে শিখুন এবং দেখবেন গেল দিনের চেয়ে আপনার পারফর্ম্যান্স আজ অনেকটা ভালো হয়েছে । এই একাগ্রতা বা প্যাসন যা – ই বলুন, যদি একবার আপনাকে দিয়ে “ষ্টার্ট” দেয়াতে পারে দেখবেন আপনার জীবন নামের নিত্যদিনের রেলগাড়ীটি “কুউউ……উ………উ…….. ঝিক-ঝিক…………….” ছন্দে কি সুন্দর চলছে সারাটি হপ্তা জুড়ে ।
সুখি মানুষেরাই নতুন কিছু গড়তে জানে………
জীবন সম্পর্কে হাযারো ফিলোসফি আওড়ানো যাবে । সবচেয়ে ছোট্টটি হলো, জীবনে কিছু ঘটবে এটা ভেবে বসে থাকবেন না । য়্যু হ্যাভ টু মেক ইট হ্যাপেন ।
আপনিই হলেন আপনার জীবনের “মিউজিক ডিরেক্টর” । আপনার অবসরে আপনি জীবনের তন্ত্রীতে সুর তুলুন নিজের মতো করে । বাচ্চারা ঘুমিয়ে গেছে, ওয়েব ব্রাউজ করুন । তা নেই ? ক্ষতি কি ? আজকের খবরের কাগজটির যে লেখাগুলো পড়া হয়ে ওঠেনি সেখানে চোখ রাখুন । খবরের কাগজ রাখেন না ? বাচ্চাদের বইগুলো থেকে একটাকে টেনে আনুন । এই যাহ…….. বাচ্চারাতো এই পিচ্চি পিচ্চি, স্কুলেই যায়না !ওদের খেলনাগুলো নিয়ে খেলতে থাকুন ।অর্ধাঙ্গ বা অর্ধাঙ্গিনীকে ডাকুন । তাকেও সব কাজে সঙ্গী করুন । দেখবেন, অবসরের সময়গুলো কেমন করে যে কেটে গেছে । বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করবেন না ।
আপনি আন-ম্যারেড বা ম্যারেড ব্যাচেলর ? রাস্তার মোড়ের দোকানে গিয়ে চা-সিগ্রেট নিয়ে বসে পড়ুন । দুনিয়ার সব জ্ঞান জুটে যাবে সেখানে । এটা পছন্দ না হলে বই নিয়ে বসুন , কিছু লিখতে টেষ্টা করুন ।
এভাবে আগামী ছুটির দিনগুনোর ছক কেটে ফেলুন । তেমন জম্পেশ করতে চাইলে বন্ধু-বান্ধবদের একত্রে করুন ।
অজুহাত গুলোকে সরিয়ে রাখুন .. .. ..
ডান আর বাম হাতের পরে আমাদের তৃতীয় হাতটি বেশ বড় আর জোরালো – “অজুহাত” ।
পকেটে টাকা নেই বা সঙ্গীর অভাব এই অজুহাত তুলবেন না । টাকা নেই তো কি হয়েছে ? আশেপাশের পার্কে বা খোলা মাঠে গিয়ে বসুন খানিকটা সময় । প্রকৃতিকে দেখুন । গন্ধ নিন বাতাসের । একা হলেই বা ক্ষতি কি ? আপনার ভেতরের কবিটিকে ঘুম থেকে টেনে তুলুন ।
না হলে উইন্ডো শপিং করতে লেগে পড়ুন । বিচিত্র মানুষের ভীড়ে নিজেকে মিশিয়ে দিন ।
আপনার পরিবার আছে ? ছোট ছোট সময় নিয়ে বাইরে ঘুরে আসুন । সংসারের অহেতুক এবং অপ্রয়োজনীয় কিছু খরচ কমিয়ে এই অবসর সময়টুকুর পেছনে ব্যয় করুন । রাস্তার পাশে চটপটি আর ফুচকার দোকানে জম্পেশ করে বসে পড়ুন । লোকে কি ভাববে ? কিচ্ছু যায় আসে না ।
জীবনটা আপনার তো ?
তাহলে ?
বি পজেটিভ
বিশ্ব-ব্রম্মান্ডের গূঢ় রহস্যটি হলো এই একটি-ই । পজেটিভ চিন্তা ভাবনা আপনার বডি-ল্যাঙ্গোয়েজ কে বদলে দেবে । সুখের অভিব্যক্তি চেকনাই এনে দেবে আপনার মুখের হাসিতে, চেহারায় জৌলুস ফুঁটে উঠবে, গলার স্বরে আসবে আত্মপ্রত্যয়ী টান, ব্যবহারে ফিরে আসবে পরিতৃপ্তির আমেজখানি । আর এই পরিবর্তনই আপনার গোমড়া সময়গুলোকে তাড়িয়ে দিয়ে আপনার চারপাশে বন্ধুদের জড়ো করবে, এমোনকি আপনার সাফল্যকেও এনে দেবে আপনার হাতের মুঠোয় ।
আপনার পজেটিভ চিন্তা আসেনা ? কুচ পরোয়া নেই ! ভান করুন, পজেটিভ চিন্তার । দেখবেন, মূহূর্তেই তা কাজে লেগে পড়েছে আর আপনার সময়গুলোকে ভরাট করে তুলেছে । আর তখনই জানবেন – এটিই আসল, এটিই সত্য ।
ছবি - ইন্টারনেট থেকে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১২