রজনীগন্ধা,
কাল রাতে অতো মধুর আলাপের পরে সেই যে গেলেন, তারপরে আড়মোড়া ভেঙ্গেছে কি আপনার ?
আজকে সকালেই আমি আপনার শহরটিকে ছেড়ে যাচ্ছি, একথা তো আপনাকে আমি বলেছি তাইনা ? এখোন ট্রেনের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে বাইরে চোখ ফেলতেই দেখি, রেলপথের ঢালুতে ঝোপঝাড়ে নাম না জানা রঙিন ফুল । বসন্তের শেষ বলেই হয়তো, অন্য সময় চোখে পড়েনা । তখোনই আপনার কথা আবার মনে হলো । নাম না জানা এক ফুল । নাহ.. ঠিক হলোনা মনে হয় ! আপনার নাম তো আমার জানাই আছে, আপনার আসল নামটি । কিন্তু এই চিঠির সম্বোধনে আমি আপনাকে ডেকেছি একটা ফুলের নামে । ফুলের নামে নাম দিয়েছি আপনার । আপনাকে দেখার কদিন পরেই, মনে মনে । আপনাকে দেয়া এ নামটি আপনি হয়তো কোনদিনও জানবেন না । কেন ? চিঠি আজকাল আর কে-ই বা লেখে ! এই ইলেক্ট্রনিক্স যুগে যন্ত্রে তোলা শব্দগুলো আজ আর হাতের লেখার উষ্ণতা নিয়ে কারো কাছে যায়না । নীল খামে আকাশ ভরা গন্ধ আজ আর কেউ খোঁজেও না । নীল চিঠির দোদুল হাওয়ায় দোলে শুধু কবিতা লেখা কিছু বোকা পুরুষেরা । তাই এটার ভাগ্যেও আপনার হাতের ছোঁয়া পাওয়া আর হয়ে উঠবেনা। এ চিঠিটি আপনাকে হয়তো আমার পোষ্ট করাই হবেনা কখোনও, বুঝলেন ?
আলভী সাহেব যখোন আমাকে ট্রেনে তুলে দিয়ে বিদায়ী হাত নাড়ছিলেন তখোন আমার কান অপেক্ষা করছিলো মুঠোফোনের একটি ঝংকারের জন্যে । তাই শুরুতেই জানতে চেয়েছি, আড়মোড়া ভাঙলো কিনা আপনার । কি জানি ভেঙেছে কিনা ! একটি ঝংকার যে এখোনও বেজে ওঠেনি, ধরে নিতেই পারি; ঘুমুচ্ছেন । আবার এ ও হতে পারে , আমার কথা মনেই পড়েনি আপনার । এই শেষেরটা হলে আমার কি দুঃখ পাওয়া উচিত ? নিজের কাছেই প্রশ্নটি কঠিন বটে । জবাবটি পেতে হলে আপনার সাথে গত মাসগুলোর কড়চা খতিয়ে দেখতে হবে যে !
সেদিন চায়ের কাপখানি তুলে দিতে আপনার হাত আতিথেয়তার সৌজন্যে আমার হাতের উপর যেটুকু প্রহর থাকার কথা , তার চেয়ে কয়েক পলক বেশী ছিলো । হয়তো আপনার দিক থেকে কিছু না ভেবেই ওটা হয়ে গেছে । কিন্তু আপনার হাতটি যে একটু কেঁপে উঠেছিলো ! সে কাঁপন আমাকেও যে ধরেছিলো একটু বেশী করে, তা কি করে অস্বীকার করি ? কোনও কোমল হাতের স্পর্শ যে আমি কখোনও পাইনি তা তো নয় । ঢের পেয়েছি । কিন্তু সেদিন আমার ওমোন হলো কেন ? আপনি উঠে চলে গেলেন আপনার মরালী গ্রীবাটি খানিকটা দুলিয়ে । হলদেটে নরম জমিনে জোনাকির মতো ঘাম চিকচিক করছিলো যেখানে । সে কারনে কী ?
কবিতার আসরে আলভী সাহেবের নেমন্তন্ন পেয়ে প্রায় তিনশো কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রথমবার যখোন আপনার শহরে এসেছিলুম তখোন রাত দশটা পেড়িয়ে গেছে । রাতের খাবারের জন্যে আলভী সাহেবের জোরাজুরিতে তার বাসাতে না গিয়ে পারা গেলোনা । সেখানেই তো আপনাকে আমি প্রথম দেখলুম । নাকি আপনি আমাকে দেখলেন ?
পরে অবশ্য এর উত্তরটা পেয়েছি । আপনি আমাকে অনেক অনেক দিন পরে দেখলেন । আমিও আপনাকে । প্রথমদিনে আপনাকে তাই কেমন যেন চেনা চেনা মনে হয়েছিলো । অমায়িক , অসংকোচ এক নেমন্তন্নকারীর স্ত্রীকে প্রথম দর্শনেই কোথায় যেন দেখেছি , এমোন জিজ্ঞাসা শোভন নয় বলেই করিনি সেদিন । আলভী সাহেব আপনাকে ডাকছিলেন মিনু নাম ধরে । আপনার এ নামটি আমার জানা ছিলোনা । তাই নাম মিলিয়ে চিনে নিতে দেরী হয়েছিলো । সেদিনও ফিরে আসার আগে এককাপ চা আপনি আমাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন । আপনার হাতখানি সেদিন আমার হাত ছুঁয়ে যায়নি যা গিয়েছিলো তৃতীয় বারে । কবিতার আসর শেষে ফিরে আসার দিনও আবার আলভী সাহেব নিয়ে গিয়েছিলেন আপনার ওখানে বিদায়ী ভোজের জন্যে । সাথে অবশ্য কবিতা সংঘের আরো কয়েকজন ছিলেন । আপনার সান্নিধ্য ভাগ হয়ে গিয়েছিলো সবার মাঝে । সে রাতে লালা ঝরানো খাবার বাদে যেটুকু বাড়তি জুটেছিলো আমার ভাগ্যে , তা আপনার বঙ্কিম চাহনী । সে চাহনী হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছিলো আমার মুখে । মনে হচ্ছিলো কিছু একটা খুঁজছেন । ভাবছেন, কি করে এটুকু জানলুম ? জেনেছি , কারন আমিও যে কিছু খুঁজছিলুম আপনার মুখে, চোখে ।
আমার নামটি আপনি জেনে থাকবেন আলভী সাহেবের কাছ থেকে । আপনার শহরের কবিতা সংঘের ত্রৈমাসিক অনুষ্ঠানের মধ্যমনি , মানে প্রধান অতিথি হয়ে যিনি আসছেন সে সংঘের সভাপতি পত্নীর তা না জানার কথা নয় । তাই আমাকে একেবারে না চেনার কথা নয় । শুধু আপনার নামটি আমার জানা হয়নি প্রথম দেখাতে । পরে ফিরে আসার পথে আপনার মুখখানি মেলাতে চেয়েছি স্মৃতির ফিকে হয়ে আসা মুখগুলোর সাথে । মেলাতে তেমোন কষ্ট হয়নি । কিন্তু অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে বলে সন্দেহটাকেও কষ্ট করে সরাতে পারিনি । সেদিন যেন পানির গভীরে থাকা শৈবালের গা ছুঁয়ে উঠে আসা একটি ছোট্ট বুঁদবুঁদের মতো আপনি ভেসে উঠলেন স্মৃতির পুকুরে । তাহসিনা তাবাসসুম ? ভার্সিটির একই বিভাগে দু’বছরের জুনিয়র ? একটা চিরকূট পাঠিয়েছিলেন যিনি আমাকে একদিন ? যেখানে লেখা ছিলো –
“তাবাসসুম যে আপনার কথা খুব মনে করে, তা কি জানেন ?”
আজ স্বীকার করছি, আমি জানতুম । খুব ভালো করেই জানতুম । কিন্তু আপনাকে তা জানতে দিইনি । আমি যে তখোন অন্য কোথাও বাঁধা পড়ে আছি । পরে আরো একখানা চিরকূট এসেছিলো আপনার দিক থেকে আমার কোনও সাড়া না পেয়ে ।
লেখা – “ তাবাসসুম কি ভুল করে ফেলেছে কিছু ?”
এই প্রশ্নেরও কিছু উত্তর ছিলোনা আমার কাছে । জানি, আপনি সেদিন আমাকে দেবযানীর মতো অভিশাপ দিয়েছিলেন । আমার স্ত্রী যে আমাকে ছেড়ে গেছেন , তা কি এই অভিশাপের ফল ? সাহিত্য নিয়ে খানিকটা ঘাটাঘাটি করি বটে, তাই মনটা কোমল , নরম হতেই পারে । তাই বলে এরকম একটা কান্ডে বিশ্বাস করে বসবো এতোখানি অবুঝ হয়েছি কী ? আপনার কি মনে আছে, ভার্সিটির শেষ দিনটিতে সবাই যখোন বিদায় নেয়ার আয়োজনে আড্ডায় মশগুল আপনি বার কয়েক এসে দুর থেকে ঘুরে গেছেন । আপনার চোখমুখের লেখা অতো দুর থেকে আমার পড়া হয়ে ওঠেনি । অনাগ্রহ বলেই কি ? সেটাই বোধহয় আপনার সাথে আমার শেষ দেখা, তাইনা ? আজ এতো বছর পরে মনে হচ্ছে, সেদিন আপনার সামনে গিয়ে আমার কি কিছু বলা উচিত ছিলো ! কে জানে, অনাগ্রহ নয় আপনার প্রসারিত হাতে অপ্রাপ্তির ছোঁয়া বেশি কঠিন হয়ে লাগুক বলেই হয়তো সেদিন কিছু বলা হয়নি !
এতোদিন পরে আপনাকে হঠাৎ দেখে তাই কি ভাবালুতায় পেয়ে বসেছিলো আমাকে ? আপনাকেও কি ? আপনি বোধহয় আগের চেয়েও খানিকটা সুন্দর হয়েছেন । নাকি আমার কবি চোখ আপনাকে সুন্দর দেখছে !
সেদিনের কথা মনে আছে , দ্বিতীয়বার যখোন আপনার বাড়ীতে কবিতার আড্ডা বেশ জমে উঠেছিলো ? আমার কবিতার এই খন্ডটুকু আমি খুব আবেগ দিয়ে আবৃত্তি করছিলুম ?
“ যে জন দাঁড়ায় এসে অজ্ঞাতে সমুখে
সেদিন তারে দেখি নাই চোখে চোখ রেখে ,
আজ যেন সে–ই মর্ম মাঝে
দারুন মেঘের মতো
তুলে যায় সুন্দরের তরঙ্গ অপার যতো ।
সেদিনের ভুল আজ ভাসায় দুকূল
রুধিব তারে কি দিয়ে ?”
আপনি সবটা সময় ধরে তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে তারপরে নামিয়ে নিয়েছিলেন চোখ ? কেন ?
বহুদিন আগের এক চিরকূটে লেখা “ ভুল” শব্দটি সেদিন কি খুব বেজেছিলো আপনার কানে ? আর আমিও কি সেদিনের সেই চিরকূটের জবাব দিতে চাইছিলুম আজ এতোদিন পরে ?
তৃতীয়বার যখোন আবার আপনাদের কবিতা অনুষ্ঠানের নেমন্তন্নে গেলাম তা শেষ হলে বাড়ীর আড্ডাতে আলভী সাহেব জীবনানন্দকে নিয়ে পড়লেন । জীবনানন্দের প্রথম দিককার লেখা রবীন্দ্রনাথকে কেন আকৃষ্ট করেনি তাই নিয়ে আড্ডার শুরু । পরে সবাই জীবনানন্দ দাশের গ্রন্থিত – অগ্রন্থিত কবিতা নিয়ে কাঁটাচেরা করার ফাঁকে ফাঁকে একলাইন দু’লাইন আবৃত্তি করছিলেন তার কবিতা । আলভী সাহেব মনে হয় মনেপ্রানে কবি নইলে এতোবার শোনা বনলতা সেন কবিতাটি তার মুখে এতো মনোরম হয়ে উঠেছিলো যে কখোনও তেমোনটা আর কোথাও যেন শুনিনি । সে কি তার আবৃত্তির গুনে ? নাকি – “ এতোদিন কোথায় ছিলেন...” এই লাইনটি কানে বাজছিলো বলে ?
আমি ও তার রেশ ধরে “হাযার বছর শুধু খেলা করে” কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলুম –
“...শরীরে ঘুমের ঘ্রান আমাদের – ঘুচে গেছে জীবনের সব লেনদেন:
“মনে আছে ?” শুধালো সে - বললাম আমি শুধু, “ বনলতা সেন ।”
আপনি সবাইকে চায়ের কাপ এগিয়ে দিচ্ছিলেন । আমাকে ও । আপনার হাত সেদিন যেটুকু সময় থাকার কথা , তারও বেশী সময় নিয়ে থমকে ছিলো আমার হাত ছুঁয়ে ।
আপনি কি আমাকে ঠিকঠিক চিনে উঠতে পেরেছিলেন সমস্ত সন্দেহ সরিয়ে ?
আপনি তেমোন কোনও ইঙ্গিত দেননি । আমার দিক থেকেও তাই । এই নিয়ে পাঁচবার আপনার সাথে দেখা । ঘুনাক্ষরেও কেউ কাউকে চিনি কিনা এমোন আকার –ইঙ্গিতও আমরা করিনি । জানা হয়নি , একজন তাহসিনা তাবাসসুম কি আজও কারো কথা মনে করে কিনা । কি তাজ্জব তাইনা ?
শুধু মুগ্ধ শ্রোতার মতো আপনি আমার কথা, আমার কবিতা শুনে গেছেন । আপনিও মাঝে মাঝে তাতে কথার ওম ছড়াচ্ছিলেন । গরম ভাতের ধোঁয়া ওঠার মতো উষ্ণতা উড়ছিলো যাতে ।
সেদিন হঠাৎ বানানো কবিতার লাইনের সাথে নতুন লাইন জুড়ে দেয়ার খেলা চলছিলো আলভী সাহেবের সাথে, আন্তক্ষরী খেলার মতো । আমার পালা এলে বললুম -
...............খেলার পুতুল ভেঙে সে আবার নতুন পুতুল
................চেয়েছিলো এতোদিন চুপিসারে .......
আমি এই লাইন দু’টি বলতেই আলভী সাহেবের আগেই আপনি বলে উঠেছিলেন -
.............. পৌষের হাটে খুঁজেছে সে তাই বারেবারে
...............একটি নতুন পুতুল
...............পুরনোর মতো ভালোবাসা যায় যারে ।
লাইন ক’টি বলেছিলেন আমার চোখ থেকে আপনার চোখ দু’টি না সরিয়েই , চোখে চোখ রেখে । আমার ভেতরে বাইরে পৌষের হাটের মতোই থরে থরে সেজে উঠেছিলো কষ্ট কষ্ট একটা সুখের পশরা ।
কেন এমোনটা বলেছিলেন ? শুধু বোঝাতে যে, তাহসিনা তাবাসসুম এখোনও কারো কথা খুব মনে করে ? আমিও যে আপনাকে একসময় মনে করতুম তা আপনি আজও জানেন না । জানানোর আগেই যে আপনি খসে পড়া তারার মতো মিলিয়ে গেলেন কোথায় যেন ।
তারপর ?
কয়েকবারের আসা যাওয়ার মাঝে আপনার সাথে মন ভিজে যাওয়া সময়গুলো কেটেছে । যার সোয়াদ লেগে ছিলো আপনার ভঙ্গিতেও । গ্রীবা বাঁকিয়ে দৃষ্টিবান ছুঁড়ে দেয়ার ভেতরেও । আমি মজে ছিলুম আপনার সবটুকুতে । বুঝতে পারছিলুম আপনার ভেতর ভেতর ও একটা ঝড় বইছে ।
নইলে ফোন করে জানতে চাইতেন না – এবারে আসছেন তো ?
আমি না এলে কি হবে, আমার এমোন প্রশ্নের জবাবে শুধু বলেছেন, না.... আপনি আসবেন কিনা জানলে আপনার পছন্দের খাবারগুলো বানিয়ে রাখতে আমার সুবিধে হতো ।
সে দিনগুলোতে জানতুম, আমার জন্যে একজোড়া প্রতীক্ষার চোখ জেগে থাকবে । যেখানে পৌষের আমন্ত্রন নেই, শরৎয়ের মুগ্ধতা আছে । সে চোখ বলবেনা ডেকে – তোমারে চাই । শুধু ডানা ঝাপটাবে অসহায় । এ বুঝি এক অন্যরকম ভালোবাসা । সেই দুই পাখির মতোন –
এমনি দুই পাখি দোঁহারে ভালোবাসে
...................................................
......................................................
নিরবে চোখে চোখে চায় ।
দুজনে কেহ কারে বুঝিতে নাহি পারে
বুঝাতে নারে আপনায় ।
আপনিও কি সে দিনগুলোতে আমার চোখে জোনাকির জ্বলা নেভা দেখেছেন ? অন্ধকারে অধীর বাতাস বয়ে যায় যেখানে ? দেখে থাকবেন হয়তো । নইলে কাল অতো কাছে এলেন-ই বা কেন ?
ঠোটে ঠোট রেখে নয় , আপনার তর্জনি রেখে কাল রাতে কেনই বা বলবেন - “কেউ যদি শুনে থাকে তুমি কী কয়েছো কথা” ?
ভালো যেমোন লাগছিলো ভয়ও হচ্ছিলো তেমোন, পাছে কবিতার শুদ্ধতায় স্খলন ঘটে যদি ! আপনাকে ছুঁয়ে দেয়ার তীব্র ইচ্ছেটাকে তাই বুকের পকেটে কড়কড়ে পাঁচটাকার নোটের মতোন ভাজ করে রেখে দিতে হয়েছে সযতনে ।
তাই চলে যাচ্ছি । রেলের কুউউ.. ঝিক..ঝিক শব্দের মতো আপনাকে পিছে ফেলে । আর দেখা হবেনা আমাদের কোথাও , কোনদিন । নতুন কেউ একজন আসবেন হয়তো কবিতা সংঘের আমন্ত্রনে , আমি থাকবোনা সেখানে । কবিতার ছন্দ ছিঁড়ে যেতে পারে এই ভয়ে । শুধু জানবেন না, আপনার আকাশে যেমোন রোদের খেলা তেমনি আমার আকাশেও । এটুকুই থাক শেষের না বলা কথা হয়ে ।
আপনার সেই বহু আগের চিরকূটের লেখাটি-ই আপনাকে ফিরিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে আজ – “আমি কি ভুল করে ফেলেছি কিছু ?”
আপনার .........
ছবি - গুগল