কবিতাটি সহ-ব্লগার মাষ্টার এর উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত ।
[ তার দুঃখবোধ (তার মতে আফসোস) ছিলো এই যে, কেউই তার জন্যে কিছু উৎসর্গ করেনি কখোনও । উনি নিজে একজন হারিয়ে যা্ওয়া কবি । অভিমানে কিনা জানিনে । এমন একজন অভিমানী কবির মনের কথা নিয়েই এই কবিতার শরীর । ]
আমি যা আমি তাই ।
আমাকে কি ভাবে নেবে তুমি, এই আমাকে !
তুমি চাইলেও পাল্টাবোনা চোখের রঙ
যদি বলো, ডান দিকে কাঁটা সিঁথি বা-দিকে নাও
হবে না তাও । গোটানো আস্তিন যদি বলো
ভেঙ্গে দিতে, আমি তোমার প্রেম ভেঙ্গে দেবো
গোটানো আস্তিন থাকবে গোটানোই ।
যদি ভেবে থাকো তিরিক্ষি মেজাজ পাল্টে যাবে
শোভনীয় হবে দাঁড়ি গোফ, হা করে খুলে রাখা
শার্টের কলার ভদ্রস্থ হবে তোমাকে পেলেই ।
একটা দু’টো যা ই সিগ্রেট খাই, যদি বলো
ছেড়ে দিতে বিনিময়ে দেবে দুরন্ত চুম্বন
আমি অক্লেশে তোমার পক্কবিম্বধরোষ্ঠ ছেড়ে দেবো
ছাড়বোনা আয়ুষ্ক্ষয়ী আয়েসী টান
বুকের বেলুন শুধু নিকোটিনে ভরে দেবো অকৃপন ।
যদি বলো, “লক্ষী সোনা পাল্টে যাও,
আমি যেমনটি চাই তেমনটি হও।
বুকে হাত রাখতে দেবো, শেখাবো সাঁতরাতে
নির্মেঘ দরিয়ায় শরীরের, খুলে দেবো রাজ্যপাট
যেখানে যতো আছে পড়ে তৃষিত মাঠঘাট
যদি তুমি চাও ।”
আমি কচ এর মতো ফিরিয়ে দেবো
সেই উদ্বেলিত দান । অভিশাপ দেবে ? দাও ।
যদি চাও ধোঁয়া তুলসী পাতা এক
বীর্যদীপ্ত, সৌম্য, বিষ নেই যে সাপের,
নেই কুলোপানা চক্কর ;
শুধু অঙ্গুলী হেলেনে কামিনীর পদলগ্ন
হয়ে থাকা রূপোলী ঘুঙুর
হতে পারে, এমোন পুরুষ যদি চাও-
এমোন কিছু এই অবেলায় ভুলে যাও ।
শুধু জেনে রাখো – এমোন বিপ্রতীপ কালে
তরুন শিরায় ঘনায়েছে যতো নষ্টবীজ
অহঙ্কারের, দূর্বিনীত স্রোত শোনিতের,
দিনেদিনে হৃদয়ে তুফান প্রতিঘাতের
বেড়ে বেড়ে একদিন হয়েছে সুনামী
এইসব নিয়েই একজন আমি
ধীরে ধীরে বেড়েছি তোমাদেরই ভুলে ।
তাই -
ভালো কিম্বা মন্দ যেখানে যেমন
আমি আছি পড়ে, যেখানে যে অবস্থায় রাখা আছে
স্নায়ু কোষ, রক্তের বীজ, হৃদয় স্পন্দন,
হাত-পা, চোখের গোলক, করোটি অস্থির
তাই যদি চাও নিতে পারো নিলামে তুলে ।
বিনিময়ে নেবোনা কিছুই
শুধু দিয়ে যাবো – আঁচল খুলে রেখো
ভরে ওঠে কিনা দেখো
জোনাকীর ফুলে ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৯