বলছিলাম এশিয়া ক্রীড়ার মেগাস্টার ম্যানই পাকিয়াও এর কথা । তার জীবনটা এক এশীয় রুপকথা । ফিলিপাইনের দক্ষিনাঞ্চলের মিন্দানাওয়ের এক অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে আজ তিনি এক মেগাষ্টার । ছোট বেলায় খাবারের অভাবে পানি খেয়ে থাকা এক কিশোর শুধু তার পরিবারের লোকজনের মুখে খাবার তুলে দিতে জীবন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে । হাতিয়ার বক্সিং, এই বক্সিং ও তাকে দিয়েছে দুই হাত ভরে ...
১. প্রথম ও একমাত্র ৮ টি ভিন্ন ভিন্ন ওজন শ্রেণীতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সহ ১০টি বিশ্ব শিরোপা ।
২. ২০০৬, ২০০৮, ২০০৯, ২০১১ সালে ফাইটার অফ দি ইয়ার নির্বাচিত হওয়া ।
৩. ২০০৫ থেকে ২০১১ কোনো প্রফেশনাল ম্যাচ না হারা ।
৪. ২০০০ থেকে ২০১০ এই দশকের সেরা ফাইটার নির্বাচিত হওয়া ।
৫. প্রফেশনাল ক্যরিয়ার এ ৬৪ টি খেলায় মাত্র ৫ টিতে পরাজিত ।
এত কিছুর সাথেও কিন্তু থেমে থাকেনি করেছেন আরো অনেক কিছু
১. ফিলিপাইনের জাতীয় বাস্কেটবল লীগ এ নিজের একটি দল আছে, বক্সিং এর সাথে সাথে ওই দলে খেলেছেন, এক সময় ওই দলের কোচ ও ছিলেন, সবচেয়ে খাট ও বয়সী প্লেয়ার হিসাবে ফিলিপাইনের জাতীয় বাস্কেটবল লীগ এ বাস্কেট করার রেকর্ড তার ।
২. ফিলিপাইনের আর্মি রিজার্ভ ফোর্স এ যোগ দিয়েছেন ২০০৬ সালে সৈনিক হিসাবে, প্রয়োজনে যেন দেশের জন্য কিছু করা যায় ।
৩. ২০১০ সাল থেকে তিনি ফিলিপাইন পার্লামেন্ট এ কংগ্রেসম্যান, রাজনীতিতে আসার আগে রাজনীতির উপর ডিপ্লোমা করেছেন ।
ফিলিপাইনে এই লোকটার জনপ্রিয়তা আকাশ চুম্বি, অনেকে তাকে দেশটির ভবিষ্যত প্রেসিডেন্ট ও মনে করে । আগামী রবিবার আবার পাকিয়াও বক্সিং রিঙে নামছেন, এই উপলক্ষে সারা ফিলিপাইনে এক ধরনের উত্তেজনা মানুষের মধ্যে । এই ৩৭ বছর বয়সে পাকিয়াও কি পারবেন আবার ফিলিপিনো সহ সকল বক্সিং পিপাসু মানুষদের আরেকটি আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিতে ?
ই এস পি এন তার উপর ১০ মিনিটের একটি ছোট ডকুমেন্টারী করেছে, খুব মুগ্ধ হয়ে দেখলাম