এটি পূর্ববর্তী পোস্টের সম্পুরক পোস্ট
ফিলিপাইনে রমজান শুরু হলো রবিবার। এখানে সাধারনত মালয়েশিয়ার (দুই দেশের সময়ও একই) সময়ের সাথে মিলিয়ে চন্দ্রমাস গননা করা হয় । দেশের বাইরে এটি আমার প্রথম রমজান। তাই প্রথম দিনটা একেবারেই অন্যরকম। সেহেরিতে উঠে মনে হলো সমস্ত পৃথিবী নিস্তব্ধ, আমাদের দেশের মত মাইকের কোন আওয়াজ নেই, পথচারির ঘুম ভাঙ্গানী গান নেই। সেহেরীর শেষ সময় ছিল ০৪ টা ১১ মিনিট, খাওয়া শেষ করে ঔষধ খেয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ০২ মিনিট পার হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ মনে হলো, সময় শেষ হলো কিন্তু আমি কোন সাইরেন বা মাইকের আওয়াজ তো শুনলাম না, সাথে সাথে ই মনে হলো এটা ফিলিপাইন, বাংলাদেশ না !! ইফতারিতে ও প্রায় এক ই অবস্থা। ইফতার ০৬টা ৩৩ মিনিটে কিন্তু সময় ৫ মিনিট পার হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। দিনটি রবিবার, ছুটির দিনে প্রথম রোজা তাই বুঝতেই পারিনি কিভাবে দিনটি পার হলো। আলহামদুলিল্লাহ।
প্রথম দিনে ইফতারে সঙ্গী হিসাবে পেলাম পাবনার (পোলা !!) আরিফকে (কেপেল সুবিক শীপইয়ার্ড এ কোয়ালিটি ইন্জিনিয়ার)। ইফতারের পর আমরা বের হলাম ওয়াটার ডিসপেনসার কেনার জন্য। দোকানে অনেক ওয়াটার ডিসপেনসারের মাঝে পছন্দ হলো GE এর Model : GDV25FTNLG, সুবিধা হলো এখানে একটি ছোট চিলার কম্পার্টমেন্ট ও আছে। যাই হোক কেনার পর রওয়ানা হলাম মসজিদে তারাবির নামাজে। নামাজের পর মসজিদ কমিটির সভাপতি ও ইমাম সাহেব কে ডেকে যখন ওয়াটার ডিসপেনসারটি দিলাম, বল্লাম এটা বাংলাদেশের সকল মানুষের পক্ষ থেকে ফিলিপাইনের মুসলিমদের জন্য রমজানের উপহার। উনারা এটা পেয়ে সত্যিই অভিভূত হয়েছেন, অনেকবার ধন্যাবাদ দিলেন। আমরাও একটা মানসিক তৃপ্তি পেলাম যে রমজান মাসের শুরুতে একটা ভালো কাজ করতে পারলাম।
যাই হোক, আমরা আল্লাহর রহমতে আমাদের প্রথম টার্গেট পূর্ন করতে পেরেছি। আপনারা এই রমজানে আপনাদের দোয়ায় আমাদেরকে ও সাথে রাখবেন যেন আপনারা আমরা সকলে এই রমজানের নাজাত, মাগফেরাত ও মুক্তি লাভ করি এবং এই রমজানের বরকতে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক কল্যান লাভ করি। আমীন