খুব করে চাচ্ছি, একটু শান্ত হতে। কিছুটা প্রবোধ ও দিয়ে দেই নিজেকে মাঝে মাঝে।কোন ভাবে ই কিছু হচ্ছে না।কোন ওসুদ ই কাজ করছে না। লাইব্রেরীতে আস্তানা গারি সকাল সকাল, দুপুরে খেতে এসে ল্যাব এ বসি একটু রে্ট নেবার জন্য,অস্থিরতা গুলো ওত পেতএ বসে থাকে, ঠিক সুজোগ মতো হামলে পরে।আর নড়া চড়া হয় না।
দেশে যাচ্ছি এই এক অস্থিরতা,কেমন যেন ছন্নছাড়া করে ছাড়লো।দিন গুনে শেষ করতএ পারছি না, খালি মনে হয় কাল ই সেই দিন।আরেক দিকে পত্রিকার পাতা।দেশ খালি করার পায়তারা।আচ্ছা ,আমার মার্কসিট ইংরেজী করাতে যে টাকা দিয়েছিলাম তা জেনে গেল না তো।যাকে দিয়েছিলাম সে তো মরে গেছে, এখন আমাকে যদি দেশে ঢুকতে না দেয়।যেমন জোট সরকারের আমলে প্রায় ই মনে হতো , দেশে গেলাম, এয়ার পোর্ট থেকে বের হতে চাচ্ছি কিন্তু পারছি না। কারন আমার তো বোরখা নাই।বের হতে হলে বোরখা পরে বের হতে হবে।
শেষ আন্দোলনের দিন গুলোতে মনে হতো দেশে গেলাম, কিছু নাই রাস্তায়। আমি আর রাসেল বড় বড় বেগ গুলো নিয়ে দাড়িয়ে আছি।রাগে যন্ত্রনায় কাতর আমি, বিশাল বেগ গুলো টানতএ টানতে হাটছি, উদ্দেশ্য প্রেস ক্লাব। মনের ঝাল মিটিয়ে কিছু বলবো বায়রা সব রাজনৈতিকদের।
না সেই সুজোগ হয়নি। কিন্তু অস্থিরতা ঠিক তাড়া করেছে। কল্পনা গুলো জান্তব রূপ নিয়েছে।আবার ও ছুটে চলা।প্রফ এর বাবা মারা গিয়েছেন।তাড়া করে ফিরছে সব অপেক্ষমান বাবা রা।অশায় আমরা ছুটে চলছি, নিজেকে পিছে ফেলে, নিজের জন্য।
সংস্কৃতিক ,অর্থনৈতিক বিভেদ ধীরে ধীরে অসুস্থ করছে আমদের।তার প্রকাশ ঘটছে হত্যার মতো নৃশংস নাটকের মধ্য দিয়ে।সব তাড়া করে ফিরছে।বিশ্রামের প্রয়োজনে ইউটিউব ঘুরে ফুরফুরা করার খায়েসে বসতে ই হিরক রাজার দেশের ভুত চেপে বসেছে।
আবার ও এক অনিশ্চয়তা গলার টুটি চেপে ধরেছে।এতো বলার কি আছে? অন্যের চেয়ে ভাল কি না বল? তা না বলতে পারলে কথা বলো না।পত্রিকার পাতায় খাটি সবুজের জটলা, সেখানে সাদা কোন রং থাকার কথা ছিল।কালার ব্লাইন্ড হয়ে গেলাম না তো?নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছি? কে চিকিৎসা করবে?
ডাক্তার সাদা এপ্রোনে আসবে তো?!!!
মাথা কেটে মাথা বেথা কমাবে!!!