ভারতীয় আগ্রাসন ও আমাদের করনীয়
========================
"ভারত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শহীদ আবরার ফাহাদ আওয়াজ তুলেছিল। যাকে ছাত্রলীগের গুন্ডারা সারারাত নির্মম টর্চার করে শহীদ করেছিল"
দীর্ঘ ১৯৭ বছর ব্রিটিশদের দাস থেকেও ভারতের নৈতিক শিক্ষা হয়েছে বলে মনে হয় না। ভারত অনৈতিক ভাবে প্রতিবেশী দেশগুলো (শ্রীলংকা, নেপাল, আফগানিস্তান, এবং মালদ্বীপ) উপর নগ্ন নিয়ন্ত্রন ও আধিপত্যর চেষ্টা করেছে-করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উপরও অনুরুপ চেষ্টা অব্যহত।
হায়দ্রাবাদ-সিকিম-কাশমির(একাংশ) স্বাধীন দশেগুলো ইতিমধ্যেই ভারতের গর্ভে বিলিন হয়েছে। নিয়ন্ত্রন নিতে ভারত যা করে তা হলো ভারতের পা চাটে এমন একজন শাসককে ক্ষমতায় রাখে, চেষ্টা করে ঐ দেশে জাতিগত বিভাজন তৈরি করতে, জাতিগত ঐক্য না থাকলে ঐ দেশ নিয়ন্ত্রন করতে সহজ হয়, সাথে চেষ্টা করে অর্থনৈতিক, খাদ্য, চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো যেন ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়, মিডিয়া নিয়ন্ত্রন, পশ্চিমা বিশ্বকে ভারতের চোখ দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোকে দেখতে বলে।
আমাদের করনীয় -
=> ভারত বড় প্রতিবেশী দেশ তাই তার সাথে ঝগড়া নয় মেধা দিয়ে লড়তে হবে। শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষনের মাধ্যেমে প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
=> আমাদের দেশের অভ্যান্তরীন কোন বিষয়ে ভারতকে নাক গলাতে দেওয়া যাবে না বিশেষ করে রাজনৈতিক পটভূমিতে।
=> ভারত যেনো কোন ভাবেই লেন্দুপ দর্জির মতো পা চাটা কাউকে বাংলাদশে তৈরি করতে না পারে সে দিকে সজাগ থাকতে হবে।
=> আমাদের দেশ ছোট হতে পারে, পৃথিবী ছোট নয়। তাই দক্ষ রেমিটেন্স যোদ্ধাদের দিয়ে পৃথিবীর শ্রমবাজার দখল নিতে হবে। তাহলে অর্থনৈতিক ভাবে সবসময় সবল থাকবে দেশ।
=> রাপ্তানি পন্যর পরিধি বাড়াতে হবে-গার্মেন্টস পন্য, কৃষি পন্যর সাথে আরো নতুন রাপ্তানি খাত বাড়াতে হবে
=> ফ্রিল্যান্সিং কাজের পরিধি বাড়াতে হবে, রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করতে হবে যাতে ঘরের গৃহিনী পর্যন্ত পশ্চিতা অফিসগুলোতে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
=> নিজেদের খাদ্য উৎপাদনের সয়ংসম্পন্ন হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ভারত ছাড়াও আর কোন কোন দেশ থেকে সহজলভ্যে খাদ্য আমদানী করা যায় সেদিকে চেষ্টা করতে হবে।
=> দেশেই উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে যাতে রুগীদের ভারতমুখী হতে না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫