২০২৪-নির্বাচনের ঘন্টা বাজছে। তফসিল ঘোষনা, মনোনয়ন দাখিলের পরে এখন মনোনয়ন বাছাই চলছে -
২০২৪ এর নির্বাচনটাও ২০১৪-২০১৮ এর মতোই স্বাধারন মানুষকে হতাশ করবে মনে হচ্ছে। নির্দিষ্ট দলের কর্মী-সমর্থকের পাশাপাশি কিছু নিরহ ছা-পোষা স্বাধারন নাগরিক আছে যাদের নির্বচনী ভাষায় সুয়িং ভোটার বলে। স্বাধারন ভোটারদের প্রত্যাশা থাকে যেনো একটা প্রতিদ্বন্দীতামূলক নির্বাচনের মাধ্যেমে সর্বস্তরের জনগনের সতস্ফুর্ত অংশগ্রহনে অধিকতর যোগ্য মানুষটি নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাবে, যাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে।
২০১৪ এ বিনা ভোটে
২০১৮ এ রাতে ভোটে
২০২৪ এ আমি আর মামু ভোটে যে জিতে
কৌশলের ধরন যেটাই হোক স্বাধারন মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছে না। আমার জীবনের প্রথম ভোট দিয়েছিলাম আমাদের প্রিয় শিক্ষক প্রয়াত আহসানউল্লাহ মাষ্টারকে। একজন ভালো মানুষকে ভোট দিতে পেরে যে কি আনন্দ লাগে তা এখনো অনুভব করি। সন্ধায় যখন খবর পেলাম আমার পছন্দের মানুষটি গনমানুষের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তখন কি যে এক অদ্ভূত ভালো লাগা কাজ করেছে তা বুঝানো যাবে না।
প্রতিদ্বন্দী দলগুলোর মধ্যে একে-অপরের প্রতি দমন-পীড়ন-কুটকৌশল কিংবা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের টানাপোড়নে স্বাধারন মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। পারলে যে কোন দল জনগনের সন্তুষ্টি অর্জন করে হাজার বছর দেশ পরিচালনা করুক, তাতে তো সমস্যা দেখি না।
প্রত্যাশা - ২০২৪ নির্বাচনে যেটা হতে যাচ্ছে "আমি আর মামু নির্বাচনে যামু" এমনটা যেনো না হয়। সবদলের অংশগ্রহনে উৎসবমুখর হোক নির্বাচনের দিনটি। নেতা নির্বাচনের আনন্দ ছড়িয়ে পরুক শহর থেকে গ্রামে সব ভোটাদের মাঝে। ভোটারদের মাঝে চায়ের কাপে তর্কের ঝড় উঠুক কার নেতা বেশি যোগ্য দেশ পরিচালনায়। পাড়া মহল্লায় নেতাদের প্রচার করা নির্বাচনী ইস্তিহার নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হোক কোন নেতা কি স্বপ্ন দেখছেন তার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০১