বুনেছিলাম যে স্বপ্ন রঙীন, তা আজ ধুসর হয়ে গেছে
তবুত্ত আমার বাঁচতেই হবে, যেতে হবে জীবনের শেষে
শুধু আজ হব আগুয়ান, স্রষ্টা যেভাবে এঁকে দিয়েছেন ছকে।
রাতের বেলায় যখন চাঁদের মায়া, জোস্না হয়ে ঝরে
এখনও আনমনে আমি গান গেয়ে যাই, ঝিঁ ঝিঁ পোকাদের সনে
শুধু আজ এই মন থাকতে পারেনা, কোন তাল আর কোন লয়ে।
পাখীরা যখন কিচির মিচির করে,কোকিল করে কুহুতান
এখনও সেই শব্দে মুখরিত হয় চারিধার, ঘুম ভাঙ্গে আমার
শুধু আজ এই মনে বাজে না বাঁশী, বিমোহিত হয় না প্রান।
ভোরের সূর্য যখন কিরণ ছড়ায়, এই ধরায় অজোর ধারায়
এখনও সেই কিরণে, আমি দিনের চৈতন্য খুঁজে পাই
শুধু আজ হারায় না এই মন, কোন স্নিগ্ধতায়।
দূর্বাঘাসে যখন শিশির কণা, মুক্তা হয়ে হাসে
এখনও সেই শিশিরে পা ভিজায়ে হাঁটি, ঘন সবুজ ঘাসে
শুধু আজ এই হৃদয়ে নাই কোন স্পন্দন, শিহরণ জাগেনা মনে।
ক্লান্ত দুপুরে বৃষ্টি যখন মিষ্টি করে, ঝুম ঝুমিয়ে আসে
এখনও সেই বৃষ্টিতে ভিজি, বৃষ্টির রেণু মেখে গায়ে
শুধু আজ কাঁপে না এই বুক, কোন আবেগ কিংবা আবেশে।
নীলাভ্র আকাশ যখন সাদা মেঘের সাথে, খেলে লুকোচুরি
এখনও আমি সেই খেলা দেখি,আনমনে আকাশ পানে চেয়ে
শুধু আজ এই মন হয় না উদাস, কোন রঙধুনু দেয়না উঁকি।
সমুদ্রের ঢেউ যখন ধেয়ে এসে আছড়ে পড়ে, তপ্ত বালুর বুকে
এখনও আমি সেই সৈকতে দাড়িয়ে হারাই দৃষ্টি, দিগন্তের সীমা ছেড়ে
শুধু আজ এই মন হয় না উচাটন, খুঁজে না কিছু ঐ নীল গগনে।
পাহাড়গুলো যখন জড়িয়ে থাকে গভীর আবেশে, মেঘের ভাঁজে ভাঁজে
এখনও আমি হয়ে যাই খেয়ালী, পাহাড় আর মেঘের মিতালি দেখে
শুধু আজ এই মনে নাই কোন সমীরণ, না কিছু ছন্দ হয়ে ভাসে।
গোধূলি বেলায় যখন রক্তিম আভায়, পশ্চিমাকাশে সূর্য দেয় ডুব
এখনও সেই আভায় আলো আধাঁরের খেলায়, রক্তিম হই আমি
শুধু আজ অবাদ জীবনের হাসিগুলি, নিলিপ্ততায় হয়ে আছে চুপ।
জোনাকি পোকা যখন আলো জ্বালে, আমবস্যার অন্ধকারে
এখনও সেই আলোতে আমি পথ হাঁটি, আধাঁর কেটে কেটে
শুধু আজ নেই কোন পুলক, হই না পুলকিত হৃদয়ের গহীন্তে।
জীবনের খেলায় হেরে গেছি বুঝি, জীবনের মধ্যাহ্নে এসে
তবুত্ত হতাশা ঠেলে দিয়ে দূরে, লড়ছি জীবনের ময়দানে
শুধু আজ আঁকিনা হৃদয়ের ক্যানভাস, স্বপ্নগুলো দিয়েছি মুছে ।
ফেনী বুলবুল ১৪.০৩.১৭