অনেকদিন পর মুভি নিয়ে খুব লিখতে ইচ্ছে করছে। তাই ভাবলাম ঝটপট করে ফাঁকিবাজীটাইপ একটা পোস্ট দিলে মন্দ হয় না।নতুন মুভি তো মাঝেমাঝে দেখা হয়ই, কিন্তু সবগুলোকে নিয়ে সামুতে পোস্ট দেয়া হয় না। নরমালি আমার ইনটেনশান থাকে সবসময়ই একটু অন্যটাইপের পোস্ট দিতে। তবে আজকে ফাঁকিবাজীর রাত, সুতরাং সেইসব হিসাব-নিকাশের ক্ষ্যাতা পুড়ি। তাই কী-বোর্ডের আড়ালে ফাঁকিবাজীতন্ত্রকে ব্রক্ষ্মাস্ত্র বানিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লাম সামনের দিকে।
এই পোস্টে সর্বশেষ দেখা ৪টি মুভির ছোটোখাটো রিভিউ শেয়ার করবো।সাথে ডাউনলোড লিংকতো থাকছেই। সবকটি মুভিই মনে হয় আপনাদের দেখা। তাই আশা করি পোস্টে ব্যাপক আলোচনা হবে।
১। We Bought a Zoo (2011):
ট্রেইলার যখন দেখেছিলাম তখনি মুভিটার প্রতি একটু অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করেছিলো। কেন যেনো মনে হয়েছিলো, খুব ভালো টাইমপাস একটা ফ্যামিলি ড্রামা মুভি হবে।কাস্টিংয়ে ম্যাট ডেমন আর স্কারলেট জোহানসানকে দেখে আমার আগ্রহটাও আরেকগুন বেড়ে গিয়েছিলো। মুভিটা দেখলাম কিছুদিন আগে। অসম্ভব ভালো লেগেছে। শুধু তাই না, আমার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ভালো লেগেছে।
মুভিটি রিলিজ পায় ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর।পরিচালক ক্যামেরুন ক্রো, যিনি আগে পরিচালনা করেছিলেন Almost Famous (2000), Jerry Maguire (1996) এবং Vanilla Sky (2001) এর মতো দারুন সব মুভি। মুভিটা টোটালি একটি ফ্যামিলি ড্রামা, রানিংটাইমটা বেশ খানিকটা লম্বা, প্রায় দুই ঘন্টা ২০ মিনিটের মতো।তবে কাহিনীটা খুবই চমকপ্রদ আর তাতে অনেক কমেডির সমাহার থাকায় বোরিং লাগার কোনো অবকাশই নেই।
কাহিনীটা সংক্ষেপে একটু বলে নেই, মুভি্তে দেখতে পাই, বেন্জামিন মির অতি সম্প্রতি স্ত্রী মারা গিয়েছে, প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে ভীষন হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।বেন্জামিনের এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলেটা টিনএজার আর মেয়েটা একেবারেই পিচ্চি। মায়ের মৃত্যুতে তারাও মুষড়ে পড়ে। বেন্জামিন ভাবতে থাকে, কি করে এইসব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।সে ঠিক করে কান্ট্রিসাইডে বিশাল একটি বাড়ি কিনবে।নতুন জায়গা, নতুন প্রতিবেশী পেলে জীবনটাও হয়তো নতুন করে সাজানো যাবে। একটি বাড়ি ভীষন পছন্দ হয় তার। কিন্তু বাড়িটা কিনতে গিয়ে ভীষন দোটানায় পড়ে যায় বেন্জামিন। কারন বাড়ির সাথে সংলগ্ন রয়েছে একটি চিড়িয়াখানা। অর্থাৎ বাড়ির মালিকানা কিনলে সেই চিড়িয়াখানার মালিকও সে অটোমেটিক্যালি হয়ে যাবে। এইসব কাজে তার কোনো প্রকার আইডিয়া নাই, তাই এই চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধান কিভাবে হবে এই ভেবে দিশেহারা হয়ে যায়।তারপর অনেক ভেবে খানিকটা ঝোঁকের বশে বাড়িটা কিনে ফেলে। তার পিচ্চি মেয়েটা ভীষন খুশি হয় নতুন বাড়িটা দেখে, কিন্তু ছেলের ভীষন অভিমান হয় তার বাবার প্রতি, কারন সে তার পুরোনো বন্ধু-বান্ধবদের ছেড়ে কিছুতেই নতুন জায়গায় আসতে চাচ্ছিলো না। এদিকে অভিমানী ছেলের সাথে বাবার মনের দরকষাকষি, তার উপর চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধানে অপরিপক্কতা সব মিলিয়ে হিমশিম অবস্থা। চিড়িয়াখানা স্টাফদের হেড কেলি ফস্টারকে নিয়ে চিড়িয়াখানাটি নতুন করে ওপেনিংয়ের চেষ্টা চালায় সে। পথে বাধা হয় অর্থনৈতিক ক্রাইসিস। আর এভাবেই কাহিনী এগিয়ে চলে সামনের দিকে।
মুভিটা ভীষন সাদাসিধে এবং ভীষন সিম্পল। পারফেক্ট ফ্যামিলি ড্রামা।তবে খুবই টাচি এবং ইন্সপায়ারিং।মুভিটি Phoenix Film Critics Society Awards অনুষ্ঠানে বেস্ট ফ্যামিলি ফিল্ম ক্যাটাগরিতে নমিনেশান পেয়েছিলো।মুভির পিচ্চিটা ভীষন ভীষন সুইট, বেশ কিছু হাসির সিকোয়েন্স আছে যেগুলো দেখে ভীষন মজা পেয়েছি। বেন্জামিন আর কেলির চরিত্রে ম্যাট ডেমন আর স্কারলেট জোহানসান দারুন অভিনয় করেছেন। খুবই রিফ্রেসিং একটা মুভি। সবার জন্য রেকমেন্ড করলাম। দেখে ফেলুন, অ্যামেজিং টাইম পাস হবে।
মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৭.২/১০, আমার পার্সোনাল রেটিং ৮/১০।
ডাউনলোড লিংক:
Click This Link
২।Kahaani (2012):
হিন্দি মুভি আমি একেবারেই দেখি না।কারন একটাই, গতবাঁধা কমার্সিয়াল নাচ গানে ভরপুর হিন্দী সিনেমা।তবে অন্যরকম মুভিও যে বলিউডে হয়না তা নয়। বছরে হাইয়েস্ট দুই-তিনটা দেখি।তবে এই মুভির ট্রেইলার যখন দেখি তখন থেকেই ঠিক করেছিলাম, আর কিছু দেখি কিংবা না দেখি এই মুভিটা মাস্ট দেখতে হবে।বিশেষ করে ট্রেইলারে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় যখন বিদ্যা ব্যালানকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের নীচে ফেলে দিচ্ছিলো, তখন ভয়ংকর শিহরিত হয়েছিলাম। শেষমেষ দেখেও ফেললাম।আর বলতে বাধ্য হচ্ছি, এইরকম ইম্প্রেসিভ সিনেমা যদি বলিউডে বছরে ১০ টিও রিলিজ পায় তবে অবধারিতভাবে ১০টিই দেখতে বসে যাবো।
কাহানী মূলত একটি থ্রিলারধর্মী ড্রামা মুভি।গল্পের প্লটে অসম্ভব ইনটেনস একটা মিস্ট্রী আছে।মুভির গল্পটি কলকাতার উপর বেস করে বানানো, যাতে দেখা যায়, প্রেগন্যান্ট বিদ্যা ব্যালান লন্ডন থেকে কলকাতায় আসে তার নিখোঁজ স্বামী অর্নবের হদিশ বের করতে।কি্ন্তু সে যেখানেই যায় সেখানেই গিয়ে দেখে তার স্বামীর আসলে কোনো প্রকার অস্তিত্বই ছিলো না, তার সমস্ত কলিগরা ডিনাই করে অর্নব নামে তারা কাউকে চিনে না, এমনকি অর্নব যেই হোটেলে ছিলো সেখানে রেজিস্টার খাতাতেও অর্নবের কোনো নাম থাকে না। বিদ্যা থানায় যায় জিডি করতে। পুলিশের পাশাপাশি সে নিজেও খোঁজাখুঁজি্তে নেমে পড়ে।সেখানে তাকে সাহায্য করে তরুন ইন্সপেক্টর রানা।তদন্তে বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক চান্চল্যকর সব স্টোরি। আর সবশেষে একটা দুর্দান্ত টুইস্টের মাঝে মুভিটির পরিসমাপ্তি ঘটে।
মুভিটির মেকিং খুবই ভালো লেগেছে।একটা ইনটেনস মিস্ট্রি থ্রিলারকে খুবই চমকপ্রদ উপায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।প্রথমে ভেবেছিলাম, অ্যান্জেলিনা জোলির এ মাইটি হার্ট সিনেমার মতোই বুঝি স্টোরিটা,পরে দেখলাম যে না, আসলে পুরাই অন্যরকম। অভিনয়ের দিক দিয়ে বলবো, প্রত্যেকেই অসাধারন অভিনয় দেখিয়েছেন।বিদ্যা ব্যালান কিংবা পরমব্রতের কথা নাই বললাম, দুইজনের নাম আলাদা করে না বললেই নয়, তারা হলেন শাশ্বত আর মি. খানের চরিত্রে নওয়াজুদ্দীনের কথা। অনবদ্য পারফরমেন্স।মুভির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কিংবা বিভিন্ন দৃশ্যের ডিটেইলিং খুবই ভালো লেগেছে।আর এন্ডিংটা দারুন একটা টুইস্টে মোড়ানো।মুভিটির আইএমডিবি রেটিংটাও বেশ ভালো, ৮.৫/১০।আমার পার্সোনাল রেটিং ৮/১০।
ডাউনলোড লিংক:
Click This Link
৩। The Adventures of Tintin (2011):
এই মুভির জন্য প্রায় এক বছর ধরে বসে ছিলাম।প্রথম যখন মুভির পোস্টার দেখি তখন থেকেই অধীর হয়ে ছিলাম, কবে মুক্তি পাবে আর কবেই বা ব্লু রে তে দেখবো।অবশেষে দেখেই ফেললাম।যদিও এই মুভিটি প্রায় ১৫-২০ দিন আগে দেখেছি।
টিনটিনকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।আমার ছোটোবেলার সবচেয়ে প্রিয় ফিকশনাল ক্যারেক্টার।তার সবকটি বইতো পড়েছিই, এমনকি টিনটিনকে নিয়ে নির্মিত কার্টুন সিরিজটিও যে কতোবার দেখেছি বলে শেষ করা যাবে না।আর নতুন মোশান পিকচারের এই ফ্র্যান্চাইজকে ঘিরে আরো বেশি আগ্রহ কাজ করছিলো।মূল কারন, মুভিটি বানাচ্ছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ, তার উপরে স্ক্রিপ্টের কাজ করছেন আমার খুব পছন্দের স্টিভেন মোফাট (টিভি সিরিজ শার্লকের ক্রিয়েটর)।আর সাথে মোশান ক্যাপচার টেকনোলজিতো আছেই।
সুতরাং সব মিলিয়ে মুভিটার ব্যাপারে শুধু আমিই নই সকল টিনটিনপ্রিয় মানুষদের উৎসাহ ছিলো আকাশছোঁয়া।তবে বিভিন্ন গ্রুপ কিংবা ফোরাম পড়ে মনে হলো কারো কারো কাছে এই আকাশছো্ঁয়া আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন তাদেরকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারে নি।তবে আমার কাছে কিন্তু মুভিটা দারুন লেগেছে। দারুন অ্যানিমেশান, দারুন ক্যামেরাওয়ার্ক, দারুন জমজমাট একটা অ্যাডভেন্চারের কাহিনী, প্রিয় প্রিয় সব ক্যারেক্টারের চমৎকার চিত্রায়ন,আর দারুন দারুন সব অ্যাকশন সিকোয়েন্স ---- সব মিলিয়ে দুর্দান্ত একটা মুভি !!!!
কাহিনীর কিছুটা কয়েকটি লাইনে বলে ফেলি। টিনটিন একটি লোকাল মার্কেট থেকে একটি জাহাজের মডেল কিনে।কিন্তু সেটা কিনবার পরপরই মি. সাখারিন নামের একজন অনেক বেশি দামে সেই মডেলটি কিনার প্রস্তাব দেয় টিনটিনকে। কিন্তু টিনটিন রাজী হয় না। বাসায় গিয়ে জাহাজের মডেলটি এক জায়গায় রেখে সে বেরিয়ে পড়ে।তার আগে টিনটিনের পোষা কুকুর স্নোয়ি দুষ্টুমি করতে গিয়ে ঐ মডেল জাহাজটির মাস্তুলটি ভেঙ্গে ফেলে, যেখানে এক টুকরা লুকানো কাগজ ছিলো,যেটা ছিলো একটি গুপ্তধনের গোপন কোডের একটি অংশ।টিনটিন বাইরে থেকে ফিরে এসে দেখে তার জাহাজটি কেউ এসে চুরি করে নিয়ে গেছে।টিনটিন ঐ কাগজটি টেবিলের নীচে পড়ে থাকতে দেখে। ঐদিকে চোরেরা কাগজটি সেই জাহাজে খুঁজে না পেয়ে টিনটিনের বাড়িতে হামলা চালায়।টিনটিনকে মারধোর করে মরক্কোর উদ্দেশ্যে একটি কার্গো শিপে তুলে নিয়ে যায়।এরপর শুরু হয় গুপ্তধন উদ্ধারের পিছনে চমৎকার সব অ্যাডভেন্চারাস কাহিনী। সেই জাহাজেই টিনটিনের সাথে প্রথমবারের মতো পরিচয় হয় ক্যাপ্টেন হ্যাডকের।
বইয়ের কাহিনীর সাথে বেশ কিছুটা জায়গায় মুভিতে পরিবর্তন এসেছে।যেমন সিনেমার মেইন ভিলেনের কোনো অস্তিত্ব বইতে খুঁজে পাওয়া যাবে না।বইয়ের ভিলেন আর সিনেমার ভিলেন টোটালি আলাদা।এইরকম আরো কিছু উদাহরন আছে, তবে প্রফেসর ক্যালকুলাসের অনুপস্থিতি বেশ পীড়া দিয়েছে।
মুভিটি টেকনিক্যালি অসাধারন মাপের, বেশ কিছু কিছু সিন আছে যেগুলো রীতিমতো মুগ্ধ করে।মুভিটির গতি অনেক ফাস্ট,ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ডটাও বেশ মানানসই।অ্যানিমেশান আর ক্যামেরার কাজ মাত্রারিক্ত লেভেলের সুন্দর।এই মুভি 3D তে দেখতে না পারায় ভীষন আফসোস লাগছে।কাহিনি কিংবা ক্যারেক্টারাইজেশান যতোই ভালো বলি না কেন মুভিটাকে টেনে নিয়ে গেছে ব্রিলিয়ান্ট ভিজ্যুয়ালস।
তবে এই মুভিটিকে অস্কারের আসরে সেরা অ্যানিমেশান মুভিতে নমিনেশান না দেওয়ায় একাডেমী ব্যাপক সমালোচনার উপরে পড়েছিলো।তবে অস্কারে না পেলেও গোল্ডেন গ্লোবে ঠিকই সেরা অ্যানিমেশান মুভিতে পুরষ্কার জিতেছিলো এই মুভিটি।তাছাড়া Best Achievement in Music এ অস্কারের নমিনেশান সহ সেরা অ্যানিমেশান ক্যাটাগরিতে বাফটা, Broadcast Film Critics Association Awards, Toronto Film Critics Association Awards সহ প্রচুর নামী দামী ফেস্টিভ্যালে নমিনেশান পায়।
মুভিটি বক্স অফিসেও বেশ সাড়া ফেলেছিলো।১৩০ মিলিয়ন বাজেটের মুভিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার আয় করে।তবে আমি মনে করি, সবার প্রথমে গোটা ইউরোপ কিংবা এশিয়াতে মুক্তি না দিয়ে যদি প্রথমে হলিউডে সবার আগে মুক্তি পেতো তাহলে এটি আরো ব্যবসাসফল হতো।সামনে টিনটিনের আরেকটি নতুন পর্ব বের হবে, খুব সম্ভবত প্রিজনারস অফ দ্যা সান গল্পটিকে ঘিরে।তবে দেরি আছে বেশ।
যাই হোক, এই মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৭.৫/১০।আমার পার্সোনাল রেটিং ৮.৫/১০।
ডাউনলোড লিংক:
Click This Link
৪। Sherlock Holmes: A Game of Shadows (2011):
পরিচালক গাই রিচি এমনিতেই আমার বেশ ফেভারিট। আর রবার্ট ডাউনি জুনিয়র আর জুড লকে নিয়ে তিনি শার্লক হোমসের যেই ফ্র্যান্চাইজটি বানাচ্ছেন তাও আমার কাছে ভালোই লাগে।বইয়ের শার্লকের সাথে তার কোনো প্রকার মিল নেই।বরং এই শার্লক সারাক্ষণ ধুমধুম মারমার কাটকাট করে, টিপিকাল শার্লকীয় ইনভেস্টিগেশানের বালাই নাই। পুরাই অন্যরকম ফ্লেভার।
২০০৯ সালে যখন Sherlock Holmes এর প্রথম পার্টটি দেখি তখনই বুঝতে পারি, এইটা একেবারেই বইয়ের বাইরের একটি অ্যাডাপ্টেশান।তাই এবারো ঐভাবেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।আজকেই দ্বিতীয় পা্ট অর্থাৎ Sherlock Holmes: A Game of Shadows দেখলাম।মুভিটি ২০১১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিলো।নতুন পার্টটাও ঠিক আগের মতোই হয়েছে, ফুল অ্যাকশান প্যাক সিনেমা।
কাহিনীটাও ঐরকমই। শার্লক হোমস তার সঙ্গী ওয়াটসনকে নিয়ে অ্যাডভেন্চারে নামে ড: মরিয়ার্টির ষড়যন্ত্র রুখেে দেওয়ার, যেখানে মরিয়ার্টির প্ল্যান থাকে জার্মানি আর ফ্রান্সের মধ্যকার রাজনৈতিক সমস্যা আর নারসিসিস্টিকদের সেইখাতে ব্যবহারের মাধ্যমে একটি বিশ্বযুদ্ধ লাগানোর জন্য।
এইবার একটু বিশ্লেষনে আসা যাক।আমার কাছে মুভিটিকে টিপিক্যালি বড়ো পর্দার মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা লেগেছে। জমজমাট অ্যাকশান আর অ্যাডভেন্চার ছাড়া আর তেমন কিছুই বলার মতো নেই।প্লট খানিকটা দূর্বল হলেও কাহিনীটা খুবই ফাস্ট লেগেছে।অ্যাকশান সিকোয়েন্সগুলো দেখার মতোন ছিলো।বিশেষ করে স্লো মোশান সিনগুলো।
অভিনয়ে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, আর জুড ল বরাবরের মতোই ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।মরিয়ার্টির ক্যারেক্টারে আরেকটু এক্সপেরিমেন্ট করা যেতো।তবে সব মিলিয়ে মুভিটি খুবই উপভোগ্য লেগেছে।
আসলে সমস্যাটা হয়েছে, বিবিসির প্রোডাকশানে শার্লক টিভি সিরিজটি শেষ করার পর শার্লকের যাই দেখি তাই কিছুটা পানশে লাগে।এখানেও তাই হয়েছে। স্পেশালি টিভি সিরিজের রাইচেনবাক ফলের কাছে মুভিটির রাইচেনবাক ফলের দৃশ্যায়নটা খুবই সাদামাটা লেগেছে।
যাই হোক, Sherlock Holmes: A Game of Shadows মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৭.৬/১০। আমেরিকায় প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে এই মুভিটি।
আমার পার্সোনাল রেটিং ৮/১০।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link