মনে পড়ে মায়ের কথা
দূর প্রবাসে যথা তথা
ঘুরি সারাদিন।
মায়ের কোলের নির্ভরতা
ভুবনে নাই কোথাও তা
খুঁজি প্রতিদিন।
শিরোনামের সাথে মোটেই মিল নেই উপরের পংক্তিগুলোর। আমি জানি।
তবু এই বদ্ধ হৃদয়ের জানালা কপাট সব ভাঙ্গবো বলে তুলে দিলাম কিছু লাইন। অনেক পুরোনো, জানি না কবেকার। খুঁজে পেয়েছিলাম সেদিন। মাঝে মাঝে এখানে ওখানে দু'চার লাইন লেখা হয়ে যায়, তেমনি হবে হয়ত।
দু'হাতের বন্ধন ছিঁড়বো বলে লিখে দিচ্ছি কিছু উদ্ভ্রান্ত কথা। হয়ত কিছু হবে, হয়ত কোন ক্যাটেগরীতেই ফেলা যাবে না। তবুও তো লিখছি। এতেই বোধ করি আজকের মত খুশী থাকতে পারবো।
বয়স একজন মানুষের পুঁজি। আপাতঃদৃষ্টিতে আমরা সেটার বৃদ্ধি দেখতে পেলেও জ্ঞানবুদ্ধি বলছে আসলে সেটার ঘাটতি হচ্ছে দিনে দিনে। এরকমই হবে। বিকল্প নেই। মানতে কষ্ট হলেও এটাই স্বাভাবিক।
প্রতিভা প্রতিজন মানুষই ধারণ করে থাকেন। জীবনের এই প্রতিযোগিতায় সবাই আঁকেন। যার যার ক্যানভাস ভিন্ন, তুলি ভিন্ন, রং ভিন্ন, দেখার দৃষ্টি ভিন্ন। তবু সব মিলিয়ে জীবনের জন্য, জগতের জন্যই আমাদের এই প্রাণান্ত দৌড়।
ভাবছি একটি প্রতিভা মানুষকে কতদিন আঁকড়ে থাকে। যতদিন আঁকড়ে থাকে, ততদিনই তো সে প্রতিভার বয়স ধরতে হবে। হাঁ, কেউ কেউ প্রতিভা অর্জনের পর কিংবা প্রকাশের পর থেকে যতদিন জীবন পায়, ততদিন তা ধারণ করতে পারেন। কিন্তু সবাই কি পারেন?
তাই তো প্রশ্নটা কিলবিল করছে মগজে, ঠিক কিলবিল নয়, বলা যায় 'কিলাকিলি' করছে।
হুম, বিভ্রান্ত হবেন না। বুঝতেই পারছেন, আমি এখানে একজন কবি প্রতিভাধারী মানুষের বয়স জানতে চাইনি; বরং একজন মানুষের মধ্যকার কবি প্রতিভার বয়স জানতে চেয়েছি।
২২ জুন ২০১১
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৩