কোন এক পর্যায়ে স্বেচ্ছায় মানুষের কিছুই করার থাকেনা; প্রচন্ড স্রোতে খসে পড়া ছোট্ট নুড়ি পাথরের মতন কেবলই ক্ষয়ে যেতে হয়, কেবলই বয়ে যেতে হয়! কখনো কখনো জীবন জীবন্তও হয়না মৃতও হয়না । তবুও মানুষ জীবন বড় ভালোবাসে! কেন এত আকাঙ্খা প্রোত্থিত থাকে জীবনের গভীরে? কেন তবে মন এত কথা বলে? আজ ১৩ বছর পর তার হৃদয়ের ডাক যখন হ্রস্ব হয়ে এসেছে তখন মস্তিস্ক তাকে নিজস্ব আয়নার মুখোমুখি দাঁড় করায় সেখানে মতিউর যে নিজেকে দেখে তাকে সে চেনেনা-জানেনা । হৃদয় এবং মস্তিস্কের দোটনায় সেদিন জয়ী হয়েছিল হৃদয় কিন্তু আজ তাকে বড্ড বেশী টানছে যুক্তি এবং সাম্প্রতিকতা । সেদিনের সেই উজ্জল-উচ্ছল চোখ মতিউরকে আকর্ষণ করতে পারেনি অথচ আজ বিষন্ন মলিন চোখজোড়া তীব্রভাবে টানতে থাকে । দ্বিধাভক্ত মতিউরের সমস্ত আত্মা ক্রমশ জেগে ওঠে নতুন বানের টানে । সে প্রতিদিন আরেকটু বেশী করে লোভাতুর হয়ে উঠছে ঐ কিশোরটিকে নিজের করে পাবার জন্যে ।
মাথার উপরে উঠতি সুর্য্যটা তখন গিলে খেতে চায় আত্মার সকল রস । একটি হাফ জার্সি আর মাত্রাতিরিক্ত ঢিলেঢালা নীল-সবুজ প্রিন্ট শার্ট ভ্যানের হাতল হাতড়ে এগিয়ে চলে, পিছনে জংলী ছাপার হলুদ ওড়নায় আবৃত একটি নারীদেহ এগুতে থাকে শহুরে সব আবর্জনা ঠেলে ঠেলে । এগিয়ে যায় ওদের দিন-রাত্রি-ভূত-ভবিষ্যত! দূর থেকে সেদিকে তীব্র পিপাসার্ত দু’টো নয়ন তাকিয়ে দেখে । আজও মতিউরের সাহস হলোনা ওদের মুখোমুখি হবার!
নিনাদ
কানিজ ফাতেমা
পৃষ্ঠা সংখ্যা - ১৪৮
মূল্য - ২৭০
প্রচ্ছদ - নবী হোসেন
প্রকাশক - এক রঙ্গা এক ঘুড়ি প্রকাশনী
ষ্টল নং- ৪৩৪
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬