ইসলাম পালনকারীরা কি সব জঙ্গী মুসলিম? আলবদর-রাজকার?দাড়িটুপি পরলেই কি সবাই ছাত্রশিবির বা ছাগু হয়ে যায়? এ কোন পলিটিকস শুরু হলো এ দেশে?একটা ধর্মকে কেন মৌলবাদী ট্যাগ লাগিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকারে পরিনত হতে হ্য়?বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার আর তাদের কাধে ভর দেওয়া বামদল গুলোর একটাই কমন শত্রু আর তা হলো জামাতে ইসলামী।আওয়ামিলীগের শত্রু কারন আওয়ামিলীগ জামাতের সাথে জোটবেধে খুব একটা সুবিধা করতে পারে নাই তাদের সংসার সুখের ছিল না,৯৬ এর ইলেকশনে জামাতকে প্রতিশ্রুত সুযোগ সুবিধা না দেওয়ায় জামাত রাগ করে আম্লীগ ত্যাগ করে আর বিএনপি এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০০১ এ ক্ষমতয় চলে আসে,তাছারা আগস্ট মাসে গ্রেনেড হামলার জন্য আওয়ামিলীগ জামাতকেই দায়ী করে থকে।আর বাম দল তাদের কথা নাই বললাম।জঙ্গলে যখন কোন শক্তিশালী প্রানী শিকারে যায় তখন তাদের পিছে পিছ শেয়াল বা হয়েনা ঘুর ঘুর করতে থাকে বড় প্রানীগুলোর শিকার শেষ হলে হাড্ডি মংসের ভাগ পেতে।এদের শত্রুও ইসলাম কেননা বাম রাজনীতি কায়েম করতে হলে আগে মানুষের মন থেকে ধর্ম তারাতে হবে,বাম রাজনীতিতে ধর্মের কোন অস্তিত্বই নেই।যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ মুসলিম তাই ইসলাম ধর্মের বিরোধিতা করার জন্য জাসদের ইনু ও রাশেদ খান মেনন প্রফেছর আনু মোহম্মদরা আসিফ মহিউদ্দীনের মত লোকদের এদেশে নাস্তিক বনাবার মিশন নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।খেয়াল করলে দেখবেন ফেসবুকে নাস্তিকদের উথ্থান এর বয়স সাড়ে ৩ বছর অর্থাৎ এ সরকারের ছত্রছায়ায় এরা লালিত পালিত হচ্ছে।যারা ফেসবুক নাস্তিকদের সাথে যুদ্ধ করতে রতে হয়রান তাদের বলছি এসব নাস্তিকদের অনেকটা ল্যাবরেটরিতে লালনপলন করা হয়,আপনি কিছু বোঝান বা না বুঝান এরা একটা মিশনে আছে,মিশন একম্পিলসড না হওয়া পর্যন্ত এদের কাজ চলতেই থাকবে,অনেকটা বেতনভূক্ত কর্মচারির মত।এদের আবার কলাকৌশলের অভাব নাই এক একটা নাস্তিকের কমপক্ষে ৫০/৬০ টা ফেইক আইডি তাও আবার মাল্টি জেন্ডার সহ আর মজার ব্যাপার এরা যে সব নাস্তিক তাও না এদের সাথে এদেশের হিন্দু এবং পশ্চিম বঙ্গের হিন্দু আছে যাদের ইসলামের উপর অনেক আক্রোশ,বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক ভাবে ইসলাম নিধনের অভিযানের সুযোগে ওরাও সেটা মিটিয়ে নিচ্ছে।সংবিধান থেকে "বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম" উঠিয়ে ইসলাম ধর্মকে কোনঠাসা করা,সমস্ত ইসলামিক সংগঠন,অঙ্গসংগঠন গুলোকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া তথা সর্বক্ষন চাপের মধ্যে রেখে কার্যক্রম স্হগিত করাই এদের এখন মূল কাজ।লক্ষ্য করলে দেখবেন সামাজিক অপরাধ দমনে সরকার যতটা না আন্তরিক তার চাইতে বেশী আন্তরিক হিজবুত তাহরীর,ছাত্র শিবির,তথা ইসলামপন্হী দলগুলোর কর্মী গ্রেপ্তার এবং দলীয় কার্যক্রম দমনে।সাগর রুনী হত্যাকান্ড,শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকান্ড কিংবা বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর গুম রহস্য উন্মোচন করার চাইতে সেচ্ছাপ্রনোদিত হয়ে হিজবুত তাহরীর এর কর্মী গ্রেফতার করাতে পুলিশের আগ্রহ অনেক বেশী।কেননা সাগর রুনীর হত্যাকারীকে ধরলে পুরষ্কার নাও পাওয়া যেতে পারে কিন্তু দুইটা হিযবুত ধরলে গোল্ড মেডাল এখন কনফার্ম। যেহেতু বাম এবং আওয়ামিলীগের শত্রু এক তাই তারা এখন কোমড় বেধে নেমেছে।যুদ্ধাপরাধী বিচারর নামে রাজনৈতক শত্রু দমনের এমন সুযোগ হয়তো দ্বিতীয়বার আর নাও আসতে পারে।যদিও এটা একটা ভন্ডামী ছারা কিছুই না কেননা এদের বাচিয়ে রখলেই পরেরবার এদের ইস্যু বানিয়ে ক্ষমতায় যাবার রাস্তা বানানো যাবে।অর্থাৎ অনেকটা সোনার ডিমপারা হাসের মত।পরবর্তী ইলেকশনে এইটা আরেকবার ইস্যু তথাএক মুরগী দুইবার জবা করা যাবে।ইসলাম ধর্মকে এখন রাজনৈতিক পথ পরিষ্কার তথা স্বার্থ উদ্ধার করতে কলুষিত করা হচ্ছে,সাধারন মানুষ যারা রাজনীতির সাথে জড়িত না তাদের মাথায় কৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে দাড়ি টুপি রাখা, নামায পড়া,ইসলামি কথা বলা এগুলো সব জঙ্গিবাদের লক্ষন অর্থাৎ ইসলামের ইমেজকে জঙ্গিবাদের সাথে মিশিয়ে সাধারন মানুষকে ধর্ম পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে।আমরা যারা রাজনীতি বুঝি না যারা সত্যি সত্যিই ধর্মকে ভালবাসি ধর্মকে শ্রদ্ধা করি রাজনৈতিক রেষারেষিতে তাদের জন্য এখন নিজ ধর্ম পালন করাই মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে।নিজ ধর্ম সম্পর্কে নতুন জেনারশনের মনে কৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে একরাশ ঘৃনা।সাধারন মানুষ রাজনীতি কি জিনিষ বুঝে না বুঝতেও চায় না চায় শুধু শান্তি।
এল.আর.বির একটা গানের কয়েকটি লাইনে আমি আমার দেশকে খুজে পাই,যেখানে খুব সুন্দর করে এদেশের ছবি আকা হয়েছে...আমরা কি কোনদিন এরকম শান্তির দেশটি খুজে পাবো না?
তুমি প্রিয় কবিতার ছোট্ট উপমা,
তুমি ছন্দের অন্তমিল,
তুমি বর্ষার প্রথম বৃষ্টি
তুমি পদ্ম ফোটা ঝিল
তুমি ভোর রাত্রির প্রার্থনা
তুমি চেনা নদীর ঢেউ
তুমি সুখের সেই দিনগুলো শেষে হারিয়ে যাওয়া কেউ
তুমি ভ্রান্তি নয় বাস্তবতার শূন্য ভাতের থালা
তুমি ক্রোধ ঘৃনার ব্যাকরনের বিবেকের বন্ধ তালা।
তুমি সংঘাত আর প্রতিঘাতের অস্হির রাজপথ
তুমি আজও আআগামীর মাঝে বেদনার নীল ক্ষত।
তুমি ভুল নায়কের হাতছানিতে মায়ের শূণ্য বুক
তবু তোমার মাঝেই স্বপ্নের শুরু
তোমার মাঝেই শেষ।।
ভালো লাগা ভালোবাসার তুমি আমার বাংলাদেশ।।
আমার বাংলাদেশ।।আমার বাংলাদেশ।।আমার বাংলাদেশ।।