একদিকে পদ্মা সেতুর জন্য মায়াকান্না,নাটক,সিনেমা,চাপাবাজি।। কত বড় বড় নাটক যে বাচ্চাদের টিফিনের টাকা দিয়ে পদ্মাসেতু আর আসল চিত্র হলো দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে উনারা মহাসম্মেলনের নামে ফূর্তি করবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।আসলে প্রতিনিয়ত মিথ্যার সাথে অন্যায় আর দূর্নীতির সাথে যাদের বসবাস সেই আওয়ামিলীগের কাছ থেকে এর চাইতে আর ভালো কি আশা করা যায়?
আসছে ৫ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দু’দিনব্যাপী একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। যে সম্মেলনের বিষয় হচ্ছে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’। দু’দিনের এ সম্মেলনে বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে ৬০ থেকে ৭০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। এসব প্রতিনিধিদের বিমান ভাড়া, আতিথেয়তা, যানবাহনসহ বিভিন্ন ব্যয়ের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। আর এই অর্থ জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস। ১২ জুলাই অর্থ সচিবের কাছে লেখা এক আধা-সরকারিপত্রে তিনি এই অনুরোধ জানান। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই সম্মেলনের আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ১০ জুলাই সম্মতি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে অর্থ বরাদ্দেরও অনুমোদন দিয়েছেন। গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৬তম নিয়মিত অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক একটি মডেলের ধারণা উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবের ধারাবাহিকতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি খসড়া রেজুলেশন উপস্থাপন করা হয়। যা পরবর্তীতে অর্থাৎ একুশে নভেম্বর জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও আর্থিক বিষয়ের দ্বিতীয় কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। একই সঙ্গে পরবর্তীতে অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর প্লেনারিতে গৃহীত হয়। জানা গেছে, চলতি বছরে এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে সভাপতি করে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। জাতীয় কমিটির দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ১৩ জুন প্রস্তাবিত মডেলের ওপর সিরডাপ মিলনায়তনে দিনব্যাপী সংলাপের আয়োজন করা হয়। এরই মধ্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনার ভিত্তিতে আগামী ৫ ও ৬ আগস্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র আপনার একটি বক্তৃতার জন্য এইরকম অপচয় না করলে কি হতো না?