বঙ্গবন্ধুর একক শক্তি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা
ফকির ইলিয়াস
============================================
একটা বিষয় খুব স্পষ্ট হচ্ছে। সময় যত যাচ্ছে ততই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও মেধার কথা জানতে পারছে এ প্রজন্ম। এর সঙ্গে সঙ্গে কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুর কাতারে কোনো কোনো নাম যুক্ত করার অপচেষ্টাও করছেন। যারা ঊনসত্তর-সত্তর-একাত্তরে নাবালক/নাবালিকা ছিলেন তারাও লিখছেন ইতিহাস। আমি প্রথমেই যে কথাটি বলতে চাই তাহলো বাঙালির জন্য একজন শেখ মুজিবেরই জন্ম হয়েছিল। ওই সময়ে শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানীসহ বেশ কয়েকজন নেতাই ছিলেন। কিন্তু বাঙালির একটি স্বাধীন দেশ চাই- এ কথা আর কেউই বলতে পারেননি। জোর গলায় বলতে পারেননি- আমরা স্বাধীনতা চাই। যে প্রত্যয় নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন, তা দ্বিগুণ হয়েছিল স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর। পাকিস্তানি হায়েনাদের জল্লাদখানা থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলার মাটিতে পৌঁছার পরপরই তার চিত্তের উদারতা আরো বিশালতায় রূপ নিয়েছিল। তিনি তার মহানুভবতা দিয়ে দেখেছিলেন চারপাশ। বঙ্গবন্ধু কখনই ভাবেননি, এ বাংলার মাটিতে কেউ তার শক্র হতে পারে। এমনকি সেই পরাজিত রাজাকার চক্রও আবার ফুঁসে উঠতে পারে সেটা ছিল তার কল্পনার বাইরে।
বঙ্গবন্ধু কেমন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন? তার কিছু পরিকল্পনা সে সময়ই প্রণয়ন করেছিল তার দল, তার মন্ত্রিপরিষদ। নয় মাসে ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাংলাদেশকে তুলে দাঁড় করানো সে সময় কোনো মতেই সহজ-সাধ্য ছিল না। তার ওপর রয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিশালী দেশের সমর্থনের অভাব। এ কথাটি অস্বীকার করার উপায় নেই বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণেই ভারত বাংলাদেশের মাটি থেকে দ্রুত সরিয়ে নেয় মিত্রবাহিনী এবং তা সম্ভব হয়েছিল ইন্দিরা-মুজিব পারস্পরিক গভীর শ্রদ্ধাবোধের কারণেই। মার্কিন কবি অ্যালেন গিনসবার্গ তার জীবদ্দশায় একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যদি সে সময় ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী না থাকতেন, তবে ভারত এতটা সমর্থন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে দিত কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ হয়। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’- অমর কবিতার জনক কবি অ্যালেন গিনসবার্গের মতে, ইন্দিরা গান্ধীর মতো একজন জননন্দিত নেত্রীর সাহসী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেছিল। আর এর নেপথ্যের কারণ ছিল ইন্দিরা-মুজিবের রাজনৈতিক মনন। সেই ‘ইন্দিরা-মুজিব’ চুক্তির আলো ধরেই বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়েছে ২০১৫ সালে। যা আর কারো দ্বারাই সম্ভব ছিল না।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ঠিক পূর্ববর্তী সময়ে একটি গোপন ছক এঁকে রেখেছিলেন শেখ মুজিব। তিনি নিজে বন্দি হয়ে গেলে নেতারা ভারতে কোথায় যাবেন, কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হবে তার পুরো নকশাই ছিল তার নখদর্পণে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা তাদের সেসব কথা এখন বলছেনও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে। এসব কিছুরই প্রধান শক্তি ছিল শেখ মুজিবের বিচক্ষণ নেতৃত্ব। এমনকি মুক্তিযুদ্ধ যখন চলছিল, তখন বন্দি মুজিবও ছিলেন ইয়াহিয়া-ভুট্টো-টিক্কাদের আতঙ্ক। স্বাধীন বাংলাদেশের অবকাঠামো পুনর্গঠনে শেখ মুজিবকে কাজ করতে হয়েছিল ঘরে-বাইরে। দেশ গঠনে আন্তর্জাতিক সমর্থন সংগ্রহে তাকে কম বেগ পেতে হয়নি; কিন্তু সেসব দুরূহ কাজ তিনি সাধন করতে পেরেছিলেন গণমানুষের ভালোবাসার কারণেই। তিনি বিশ্বের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন বাঙালির পরিচয়।
১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ তারিখে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। এর পরপরই সরকারপ্রধান হিসেবে ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলা ভাষায় দেয়া সে ভাষণে তিনি বাংলাদেশে রক্তাক্ত, নৃশংস গণহত্যার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি পেশ করেন বাঙালি জাতি এবং বিশ্ব মানবের কল্যাণে তার চিন্তা-চেতনার রূপরেখা। তিনি তার ভাষণে বিশ্বে নারী সমাজের অগ্রগতি, শিক্ষা, খাদ্য, স্বাস্থ্য, পানি, বিদ্যুৎ বিষয়াদিসহ তার সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু, কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে অধিক ফসল ফলানোর প্রয়োজনীয় সাহায্যও চান বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে। ডাক দেন সবুজ বিপ্লবের। বঙ্গবন্ধুর জাতিসংঘে ভাষণ দৃষ্টি কাড়ে গোটা বিশ্বের রাষ্ট্রনায়কদের। ফিলিস্তিনের কিংবদন্তি নেতা ইয়াসির আরাফাত শেখ মুজিবকে গণমানুষের মহানায়ক উল্লেখ করে বলেন, মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে মুজিবকে সর্বোতভাবে সাহায্য করবেন তিনি। একই সহযোগিতার কথা ব্যক্ত হয় সমাজতন্ত্রী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর পক্ষ থেকেও।
শেখ মুজিব বাংলাদেশকে, বাঙালি জাতিকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করতে চেয়েছিলেন। কৃষি খাতে বিপ্লবী ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে চেয়েছিলেন তিনি। তার এই অদম্য কর্মযজ্ঞ কারো কারো হিংসার কারণ হয়েছিল বৈকি। বিশ্বের ইতিহাস প্রমাণ করে যারা ফন্দি-ফিকির করে মহামানব নেলসন ম্যান্ডেলাকে কারাগারে পুরে রেখেছিল, পরবর্তী সময়ে তারাই ম্যান্ডেলার ভক্ত-অনুরাগী বলে বিশ্বে পরিচিত হয়েছে। কিংবা যারা মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্টিন লুথার কিংকে হত্যার ইন্ধন জুগিয়েছিল, তারাই পরবর্তী সময়ে কিংকে বিশেষভাবে সম্মানিত করতে চেয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মোড়ল মনোভাবাপন্নদের জন্য আতঙ্কের কারণ ছিল ঠিক একইভাবে। তা না হলে যারা মানবতার ধ্বজাধারী বলে নিজেদের ঢোল নিজেরা পেটায়, সেই মার্কিন প্রশাসন একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার নিন্দা জানায়নি কেন? কেন রক্তবন্যায় মদদ দিয়েছিল তারা?
আমি স্পষ্ট করেই বলতে পারি, পঁচাত্তরে জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতায় এই চার মূলনীতির সমাধিই শুধু রচিত হয়নি, একটি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া হয়েছিল। আর তা করা হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। যারা একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি, যারা দায়ে পড়ে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিল, মুজিব হত্যায় তাদের নেপথ্য ইন্ধন ছিল। পরবর্তীতে তারাই রাষ্ট্রক্ষমতার দখল নেয়। ভাবতে অবাক লাগে আজ যারা বঙ্গবন্ধুর বাকশাল পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনায় পঞ্চমুখ হন- তারাই সেদিন বাকশালের সদস্য হওয়ার জন্য প্রথম সারিতে থেকে আবেদন করেছিলেন। জাতির জনককে সপরিবারে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু হয়। ‘চুয়াত্তরের মন্বন্তর’ নাম দিয়ে মাঠ গরম রাখার চেষ্টা করা হয়। অথচ এর চেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মুজিবের তিরোধানের পর বাংলাদেশের ওপর দিয়ে কয়েকবারই গেছে। সব চেয়ে মর্মান্তিক কথা হচ্ছে, খুনিদের বাঁচাতে যে দেশে অধ্যাদেশ পর্যন্ত জারি করা হয়, সে দেশে গণঅধিকার কতটা কিভাবে সংরক্ষিত হতে পারে? সে প্রশ্নটি ক্রমশ করতে শুরু করেছিল আশির দশক পরবর্তী প্রজন্ম।
শেখ মুজিব কখনই মৃত্যুকে ভয় পেতেন না। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি প্রাণ হাতের মুঠোয় নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। তার অগ্রজ কিংবা সমসাময়িক অন্য কোনো নেতা যা পারেননি তিনি সেই অসাধ্য সাধন করেছিলেন। যে গোষ্ঠী এখনো শেখ মুজিব নামটিকে ভয় পায়, তারা কারা?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই শাণিত আঙুলটি একটি বাণী জানাতে চেয়েছিল গোটা বিশ্ববাসীকে। আর তা হচ্ছে- বাঙালি জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের সত্তা নিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির নাগরিক হতে চায় বাঙালিরা। এটাই ছিল তার অপরাধ। শেখ মুজিবের বিশিষ্টতা ছিল এই, তার অগ্রজ প্রতিম অথবা তার সমসাময়িক আরো বেশ কজন রাজনৈতিক নেতা বর্তমান থাকার পরও তারা কেউ ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এই চেতনা বাণীটুকু জাতিকে শোনাতে পারেননি। ‘স্বাধীন বাংলাদেশ চাই’- এই দৃঢ়তা পোষণ করতে পারেননি। কোনো কোনো অপপ্রচারক বলে থাকেন, শেখ মুজিব নাকি নিজের প্রাণ বাঁচাতেই পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে ধরা দিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন গ্রেপ্তার হয়ে। আমি তাদের অবগতির জন্য বলি, সেদিন, সে সময়ে বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদগুলো আপনারা আর্কাইভে গিয়ে একটু খুঁজে দেখুন। শেখ মুজিব মহানায়কের মতোই নিজ মাতৃভূমির মাটি পায়ে চেপে রেখেছিলেন। তিনি গ্রেপ্তার হবেন তা জেনেও আত্মগোপন করেননি। এটাও জানতেন হানাদার বাহিনীর বুলেট তার বুক ঝাঁঝরা করে দিতে পারে যে কোনো সময়। তারপরও তিনি তার পদযুগল সামান্য বিচ্ছিন্ন করেননি বাংলার মাটি থেকে। সত্য উচ্চারণে কুণ্ঠিত হননি।
ইতিহাস আমাদের বলছে অনেক কথা। ১৯৪৭ সালে জন্ম নেয়া পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির ভৌগোলিক মর্যাদা এবং জাতিসত্তার উন্মেষ এখন পর্যন্ত কতটা বিস্তৃত- তা কারো অজানা নয়। চরম মৌলবাদী আর হীনমন্যতার পসরা সাজিয়ে যে একটি চক্র পাকিস্তানের শান্তি হরণ করে নিয়েছে তারা হয়তো এই ভূখণ্ডকে আরো বিভক্ত করেই ক্ষান্ত হবে। বাংলাদেশ নামক ভূ-সীমাটি যদি সেই ১৯৪৭ সালেই ব্রিটিশের কাছ থেকে নিজস্বতায় মুক্তি পেত তবে আজ বাংলাদেশের অবস্থান অন্যরকম হতো। তা সম্ভব হয়নি কারণ বাঙালির যোগ্য নেতৃত্ব ছিল না। সেই নেতৃত্ব সামনে এগিয়ে আসতে কিংবা গড়ে উঠতে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। কথায় কথায় কিছু তথাকথিত গবেষক এখনো জাতির জনকের আদর্শের বিরুদ্ধাচারণ করেন। তারা তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জেনারেল ওসমানী প্রমুখের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ‘ভিন্নমত’-এর ফাঁক খুঁজতে চান। কারো কারো বানোয়াট কাহিনীকে উদ্ধৃতি হিসেবে হাজির করতে চান। এ বিষয়ে আমি প্রয়াত জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদের কাছ থেকে অনেক কথাই জেনেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, সব সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মুজিব সবার কথা কান ভরে শোনতেন। তারপর সিদ্ধান্ত নিতেন। তাজউদ্দীনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল- এমন কথা বারবারই নাকচ করে দিয়েছিলেন জননেতা সামাদ আজাদ।
না- জাতির জনকের বিরুদ্ধাচারণকারীরা এখনো মাঠ থেকে সরে যায়নি। তারা আছে। এবং আমাদের পাশে থেকেই জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে। চাইলেই দেখা যাবে এরা মূলত এখনো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী। নানা ছলে-কৌশলে তারা মুজিবকে বিতর্কিত করার ফন্দি-ফিকির করেই যাচ্ছে। এদের বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। শেখ মুজিব ছিলেন টিম লিডার। তার একক শক্তি ছিল অপরিসীম। তার প্রজ্ঞা ছিল সব সব চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীর সেই নেতা নিজের দিকে একবারো তাকাননি।
স¤প্রতি আমরা জেনেছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা আরো দুটি নোটবুক পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র অনুবাদক কাজুহিরো ওতানাবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন চলাকালে বঙ্গবন্ধু যখন কারাবন্দি ছিলেন, জেলে বসে লেখা বঙ্গবন্ধুর আরো দুটি খাতা উদ্ধার করা গেছে। তখন অবসর সময়ে বসে বসে এগুলো লেখেন তিনি। জাতির জনকের সেসব কথা প্রজন্মের জানা দরকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁর কী ত্যাগ ছিল- তা অনুধাবন করতে পারলেই তাঁর আদর্শ বুকে লালন করা সম্ভব হবে। অমর এই মহানায়ক, তাঁর কর্ম-মনন-ধ্যানের জন্যই বেঁচে থাকবেন বাঙালির জীবনে হাজার হাজার বছর।
------------------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ১৫ আগস্ট ২০১৫ প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৭