বেশ কয়েক মাস ধরে তুরস্ক তার ইসলামী নেকাব সরিয়ে দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ওসমানীয় যুগের আচারণ করছে। নিরাপত্তার দিক থেকে সিরীয়া একটি অতিশান্ত দেশছিল কিন্তু সেই শান্ত দেশটিকে আমেরিকা কাবু করার জন্য নতুন এক পারিকল্পনার ছকে ওহাবীবাদী দেশ সৌদি, কাতার .. এর আর্থিক সহযোগীতায় এবং তুরস্কের পৃষ্ঠপোষকতায় আল-কায়েদার গুন্ডাদের হাতে আমেরিকা ও ইস্রাইলের অস্ত্র তুলে দিয়ে আজ একটা দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
একই ভাবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাকে যখন শান্তি ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ঠিক তখনই আমেরিকার পলিত কুত্তা এরদোগান দেশটিকে অশান্ত করার হুমকী দিলেন।
ইরাকের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, দেশটিকে ঘিরে নয়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ইরাকের আল-আনবার, সালাহউদ্দিন ও মোসুল শহরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সাবেক বাথ সরকারের অনুগতদের সংখ্যা ছিল প্রচুর। তারা সাবেক বাথ শাসনামলের ইরাকি পতাকার পাশাপাশি সিরিয়ার সরকার বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী এসএনসি'র পতাকা বহন করছিল। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
এদিকে কাতারের অর্থায়নে ইরাকের পরাজিত বাথ সরকারের অনুচররা 'ফালুজা' নামে একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু করেছে। পাশাপাশি সাবেক শাসক সাদ্দামের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ্জত ইব্রাহিম আদ-দুরি বাথ পার্টির লোকদেরকে আবার সংগঠিত করে 'ইরাকি লিবারেশন আর্মি' নামের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী গঠনের চেষ্টা শুরু করেছেন।
ইরাকের এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বিষয় হিসেবে দেখতে নারাজ বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এসব ঘটনা দেশটিকে ঘিরে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা আরো বলছেন, ইরাক সরকারের সঙ্গে কুর্দিদের সম্পর্কের জটিলতা বাগদাদ সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের সুযোগ এনে দিয়েছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানির অসুস্থতা ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। ইরাকের প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলের কাছে তালাবানি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব এবং তিনি এ পর্যন্ত বহুবার বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
এ অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে, পাশ্চাত্য ও মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্ক মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা জোরদার করেছে। এসব দেশ ইরাককে কয়েক খণ্ডে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্রের কারণে লেবানন, সিরিয়া ও ইরাকে যে সহিংসতা চলছে তা আরো ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলো। এসব দেশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে তুরস্কও।
লেবাননের উত্তরাঞ্চলে জাতিগত সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দেয়ার পর গোটা সিরিয়াকে রণক্ষেত্র করে ফেলেছে পশ্চিমা ও আরব দেশগুলো। এসব দেশের নতুন টার্গেট এখন ইরাক। বাগদাদ সরকারের সঙ্গে উত্তর ইরাক নিয়ন্ত্রণকারী কুর্দি কর্মকর্তাদের মতবিরোধের জের ধরে সম্প্রতি দু'পক্ষ বিতর্কিত এলাকায় সেনাও মোতায়েন করেছিল।
এবার বাগদাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হওয়ায় বোঝা যায়, ইরাকের সুন্নি অধ্যুষিত এলাকায় শিয়া-সুন্নি মতবিরোধ উস্কে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে- যা ইরাকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হবে। এ ষড়যন্ত্রের ফলে ইরাকের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হবে।
তুরষ্কের প্রধান মুন্ত্রী ইরাককে সিরিয়ার পরিণতি ঘটানোর হুমকী দিলেন
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
এক্স লইয়া কি করিব
যাচ্ছিলাম সেগুনবাগিচা। রিকশাওয়ালার সিট কভারটা খুব চমৎকার। হাতে সেলাইকরা কাঁথা মোড়ানো। সুন্দর নকশা-টকশা করা। নর্মালি এররকম দেখা যায় না। শৈল্পিক একটা ব্যাপার। শুধু সিটকভার দেইখাই তার-সাথে কোন দামাদামি না কইরা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইলিশনামা~ ১
১৯৮৫ সালে ডক্টর মোকাম্মেল হোসাইন ‘ ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে যেই রিসার্চ পেপারটা( থিসিস – এম এস এর জন্য) জমা দিয়েছিলেন সেটা এখানে মিলবে;
[link|https://open.library.ubc.ca/cIRcle/collections/ubctheses/831/items/1.0096089|Spawning times and early life history of... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার | SAD
শীতকালীন সর্দি-কাশি, জ্বর, হাঁপানি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, কনজাংকটিভাটিস, নিউমোনিয়া কিংবা খুশকি মতো কমন রোগের কথা আমরা জানি। উইন্টার ডিসঅর্ডার বা শীতকালীন হতাশা নামক রোগের কথা কখনো শুনেছেন? যে ডিসঅর্ডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন
চট্টগ্রাম আদালত চত্বরের একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে লিখছি
আজ চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তা নানান গুজব ও ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা এড়াতে প্রকৃত ঘটনাটি নিরপেক্ষভাবে একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে লিখছি।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে... ...বাকিটুকু পড়ুন