> মাত্র ৩/৪ জন বাংলাদেশী মেয়ে #মিটু তে নিজের প্রতি হওয়া যৌন নিপীড়নের কাহিনী তুলে ধরছে তাতেই পুরুষ সমাজের ( বেশির ভাগ) পায়ের নীচের মাটি সরে যাচ্ছে! কেন যাচ্ছে বলছি-
> যখন-ই কোন নারী তার প্রতি হওয়া অবিচারের কথা তুলে ধরে, কিংবা প্রকাশ পায় তেমন কিছু, তখন- ই এই পুরুষ ( বেশির ভাগ) নিজদের দোষ স্বীকার না করে আগেই সেই নারীকে চরিত্রহীন বানাতে ব্যস্ত হয়ে যায়! কিভাবে জানেন?
>> অই যে যখন-ই কোন নারী ধর্ষিত হয় কিংবা লাঞ্ছিত হয়, কিংবা যৌন নিপীড়নের শিকার হয় তখন-ই এই পুরুষ সমাজ ( বেশির ভাগ) সেই নারীর পোশাকের কথা আগে তুলে!! অথচ ৩/৪ বছরের বাচ্চাও এদেশে ধর্ষিত হচ্ছে!
>>> এই যে #মিটু যেসব নারী তাদের প্রতি হওয়া যৌন নিপীড়নের কথা তুলে ধরছে, সেই প্রেক্ষিতে একদল পুরুষ প্রথমেই শুরু করেছে এই ক্যাচাল-
১/ এত বছর আগের ঘটনা এখন কেন প্রকাশ করছে?
২/ মামলা করেনি কেন?
৩/ অই নারী নিজেকে ফেমাস বানাতে চাচ্ছে
৪/ আরে অই নারী তো চরিত্রহীন
২য় দল--- #মিটু তে নিজেদের কেচ্ছা কাহিনী তুলে ধরছে! ছোডুকালে আমার অমুক আন্টি/তমুক আপু আমারে চুমু দিছে, আমার প্যান্ট খুলছে হেন তেন!! ( এরা জাস্ট ট্রল করতে চাইছে! আবার এমন নয় যে ছেলেরাও এ ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়নি এটা মিথ্যে!! )
>>> অথচ তারা ডিরেক্টলি এই কথাটা বলতে পারছে না-
#মিটু কে স্বাগতম ! #মিটু আন্দোলন সফল হোক! আমরা সেসব মেয়েদের পাশে আছি! কিন্তু অভিযোগ যেন সত্যি হয় অযথা কাউকে যেন হেনস্থা করা না হয়! এক্ষেত্রে কোন ছেলেও যদি এধরনের নিপীড়নের শিকার হয় তার পাশেও আছি!
কিন্তু তা না- তারা প্রথমেই তেনা পেঁচিয়ে দিচ্ছে উপরে উল্লেখিত কথাগুলোকে!
>>> এতেই প্রমাণিত হচ্ছে যে- বাংলাদেশের কিছু পুরুষের পায়ের নীচের মাটি সরে যাচ্ছে এই #মিটু আন্দোলন কে দেখে! এখন পর্যন্ত মিডিয়াতে এই নিয়ে তেমন কোন প্রচার হয়নি... যেদিন পুরোদমে শুরু হবে সেদিন কি হবে তাই ভাবছি----- !
তাই বলছি- সাধুবাবারা সাবধান.........! এরপর শুধু ফেসবুকের ইনবক্সের শর্ট দিয়েই এক একটা পুরুষের মুখোশ যখন খোলা হবে তখন পালাবার রাস্তা পাবেন না.........!