নীলয়, বিজয় ইত্যাদিামসমূহের হত্যার পরে অনেকে লিখিয়াছিলেন, উহারা মরিয়াছে তাহাদের “এক্সপোজের” জ্বালায়!!!
আজিকার ইহারা কিসের জ্বালায় মরিলেন???
বুঝলেন না???
দেশের আইন বা সরকারের সদিচ্ছার নাহয় আপগ্রেড নাই বা হইল, তা বলে কি চাপাতি-ওলা দের আপগ্রেডেশান হইবে না???
তাহাদিগের আজকাল কেবল ব্লগার মেরেই সুখ হচ্ছেনা, এখন চাই কবির রক্ত, প্রকাশকের রক্ত! কদিন পর শিক্ষক, গবেষক, ছাত্রদের রক্ত চাইবে এও আর অবাকের কী আছে.....!
সুতরাং যারা সীমা লঙ্ঘন না করিবার উপদেশ দিতেছিলেন, যাহারা প্রকাশের স্বাধীনতাকে চোদ্দ পুরুষকে নিম-নিশিন্দায় ধুইয়ে দিচ্ছিলেন, তাহাদিগের এবার বোঝা উচিত, এ মরণ কেবল প্রকাশের জ্বালায় হবেনা, এ মরণ হবে অক্ষরের জ্বালায়......!
তা সে অক্ষর মুখে প্রকাশ হোক, লিখে প্রকাশ হোক, প্রকাশনার বাজারে প্রকাশ হোক তা সে যেমন করেই প্রকাশ হোক না কেন...!
ঐ সব অক্ষর....... অ আ ক খ যেসব একেবারে মুছে ফেলবার কথা ছিল, কিন্তু কেমন করে যেন আর মোছা হয়নি.......! ঐ সব অক্ষর, এক একটা হীরের কুচি, যেসবকে দস্যুর হাত বাঁচিয়ে আনা হয়েছিল নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে......ঐ সব অক্ষর!!
হ্যাঁ রে সুশীল আমার, হ্যাঁ!!! ওদের আসল লড়াই অক্ষরের সাথে!!! ও অক্ষরের সাথে যাদের যাদের সম্পর্ক আছে, তাদের কাউকে ওরা বাঁচতে দেবেনা.....কাউকে না, কাউকে না!!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৮