সময়কে ফিরে দেখতে কি অদ্ভূত লাগে!
বিকেলের রোদে পুরনো সময়ের শরীরে হেঁটে যাওয়া-
এ এক অদ্ভূত ব্যাপার।
বোবা অভিমান, দীর্ঘশ্বাস আর
সকলের অলক্ষ্যে অশ্রুত কান্না!
এই যে এই অখ্যাত ক্লিনিক, ইশকুল, খাবার দোকান, ফুটপাত;
বিরাট বিরাট খান দুই মাল্টিস্টোরিড, জাহাজ-মার্কা “বাতিঘর”
আর
প্রেসক্লাবের এই সূর্যধোয়া উঠান,
মানচিত্রের এই অংশটা জুড়ে আমার সেই প্রথম ডানা ঝাপটানো!
উড়বার স্বপ্ন দেখা...!
এই এতটুকু ক্ষেত্রফল, আর
কতগুলো প্রাণ......!
আমার সেই সব অবাধ্যতার দিন-
শিখবার দিন!
শিখতে না চাইবার ও দিন!
অবাধ্য হওয়াকে আরাধ্য করবার দিন...!
ফিরে ফিরে দেখি।
হাতড়ে হাতড়ে যাই মস্তিষ্কের গলি-ঘুচি।
শুঁকে শুঁকে যাই সেই সময়ের গন্ধ।
বড় অদ্ভূত জিনিষ সময়!
না আছে আকার, না আছে শিষ্টাচার!
তবু খানিক বাদে বাদে তার রূপের বদল, গল্প বদল.....!
নিজেকে কেমন উদ্বাস্তু মনে হয়...!
কী ছিলো আমার...?
এখন কী নেই...?
এক সীমান্তের উদ্বাস্তু আরেক সীমান্তে শরণার্থী হয়,
আমি কোন সময়ের উদ্বাস্তু, কোন সময়ে শরণ নেব???
সূর্য যেখানে পৌঁছেনা, সেখানে ছায়াও পড়েনা।
আমারও ছায়া নেই!
কিন্তু আমার আশেপাশে অসংখ্য কিলবিলে কালো ছায়া!!!
বিনা সূর্যে এ কিসের কায়া দেখা যায়???
কিসের মৃত্যুময় বীভিষিকা ঝলসে উঠে এখানে সেখানে...?
সূর্যধোয়া উঠানে.....?
২৫/০৩/২০১৫।।।