একটা বিকেল কেটে যায়।
সপ্ত সুরে আযান ধরে মসজিদের মোয়াজ্জেন।
তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বলে।
প্রদীপ জ্বলে,প্রদীপ গলে-
পাতায় পাতায়,মেঘের জলে-
শিরশির শব্দে বট তলায় হয়ে যায় কত কথা।
কেউ নীরব থাকেনা।
।
কেউ নীরব নেই দেখো।
রাত ঘন হয়ে মিলিয়ে যায় তবু সবাই কথা বলে।
হাসলে হাসে,কাদলে কাদে,এক থালেতে খায়।
শুভ্র দাড়ির কাজির কাছে,ছাদনা তলায় যায়।
সবাই কথা বলে, শুধু তুমি বলো না।
।
পৃথিবী যখন প্রজাপতি,তারপর লতা,তারপর মেঘ হয়ে মিলিয়ে যাবে দূরে।
তখন দেখবে তুমি আর কথা বলতে পারছো না।
দেখবে তোমার মুখ ভীষন হালকা।
দেখবে তোমার নাকের নোলক হাতে ছোয়া যায় না।
দেখবে তুমি ঘাসে পা মেলাতে পারো না-
একটা পায়েল ঝন ঝন করে বাজেনা আর।
দেখবে আকাশের তলে আকাশ থাকেনা।
সমুদ্র থাকেনা,বালু থাকেনা সমুদ্রের পরে।
অর্থব হয়ে যাবে তোমার জগৎ কিংবা আমার জগত।
আমিও তোমায় দেখবো,কিন্তু ডাকবোনা,তখন তো ডাকা যায় না।
তখন আমার ভরাট কন্ঠ মিলিয়ে গেছে কয়েক শত গদ্য ছন্দ নিয়ে।
তখন তোমার খুব কথা কইতে ইচ্ছে করবে দেখো।
তুমি ঘাস কে হিংসে করবে,খয়েরী হাঁস কে হিংসে করবে,বট গাছের তলায় তোমার কষ্ট শুকনো পাতায় ঝরে পরবে রোজ।
আমি কি সইতে পারি ওসব বলো?
তার চেয়ে বরং কথা বলো।
যেই ভাষাতে তোমায় আমি চিনতে পারি,
নূপুর দামে কিনতে পারি।
বেচতে পারি রূপোর থালে,বকুল ফুলের শুভ্র ডালে।
সেই ভাষাতে কথা বলো।
কওনা কথা,জানছো না তো-
পুরছে হৃদয় রোজ।
তার চেয়ে বরং কথা বলো।
একটু খানি কথা বলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৩