নাহয় আমি ভীষন আটপৌরে চলি,
কথার পিঠে খাপছাড়া কথা বলি হুটহাট।
হাসতে চাইলে হাসি,ভাসতে চাইলে ভাসি পলকা মেঘের মত।
কিংবা গম্ভীর হয়ে কংক্রিটের দেয়ালে হেলিয়ে কাটিয়ে দিই সহস্র কাল।
রুপালি রোদ ছায়া হয়ে মিলিয়ে যায় মাথার পরে;
হয়তো খেয়াল করি না।
.
নাহয় ভীষন খামখেয়ালী চলি।
ছাই রঙা রঙ জ্বলা শার্টে চূর্ন বিচূর্ন করি ফুটপাত।
চলি ঠিক তোমাদের পাশে; কথা বলি না।
আবার বললে কথা বলতে থাকি পশলা বৃষ্টির মত।
হঠাত রাগ ভাঙি,রাগ করি।
বর্ষার আকাশের মতন আমার কোনো স্থিরতা থাকে না।
বজ্রের ঝলকানির পর,আবার ক্লান্ত হয়ে ঝরে পরি শুকনো জীবন পথে-
ক্লান্ত সমারোহে।
.
নাহয় আমি অপাঙক্তেয়।
গোলাপের পাপড়ি মাখা সুগন্ধী ডায়েরীর ঠিক যেই খানে-
উঠতি যুবতী লিখে রাখে তার প্রথম পদ্য কথা।
আমি সেই পাতার এক কোনে লেগে থাকি।
শুকিয়ে যাই ব্যর্থ কালির ফোটায়।
শুকনো খয়েরী পাপড়ি আমাকে স্পর্শ করেনা।
একলা দুপুরের আঙুলের ছোয়ায় আপ্লুত হইনা কখনো।
.
নাহয় আমি অগোছালো থাকি খুব।
অগোছালো থাকি হাসিতে,অগোছালো লাগে ভাষাতে,
ছোট্ট মেয়েটার মেলায় কেনা মুক্তো মালার মত-
আমি শব্দের পরে শব্দ জুড়ে দিতে পারিনা।
তোমরা তখন দন্ডিত করো আমায় অসামাজিকতার দন্ডে।
আমি চুপ করে থাকি।
টুক টুক করে ভাবনা জমে মাথার ভেতর।
একটা নদী কুলকুল করে বয়ে বেড়ায় তাতে।
আমি নদীর সাথে কথা বলি,
নদীর স্রোতের ছন্দ থাকে,আমার ছন্দ না হলেও চলে তখন।
।
আমায় ভীষন অদ্ভুত ভাবো জানি,হয়তোবা ভূতুরেও।
তোমাদের ব্যাক্তিত্বের সজ্ঞায় আমি পাই নি কখনো ঠাই।
অথচ তোমরা ভাবোনা;
একলা যতটা পথ হেটে গেলে ভীষন ক্লান্তি গ্রাস করে অন্তর-
আমি হেটেছি অনেক তার চেয়েও বহু পথ বেশি।
তোমরা জানোনা-
ভালোবাসি আমিও,আমারো হৃদয় কম্পিত হয় অথৈ জলের মত।
সচ্ছ জলের অগভীর মাছের মত আমিও ঘুরে বেড়াই এই গাঙ সেই গাঙ।
সোনালী বকের ভয়ে প্রকম্পিত হৃদয় নিয়ে আমিও বেচে থাকি-
তোমরা জানোনা।
এই পৃথিবী কালচে থেকে ধূসর হলে পরে-
টুপ টাপ শিশিরের জলে আমিও ভেজাই মস্ত রঙীন ঘুড়ি।
তোমরা সেসব দেখোনা।
একটা বিষন্ন সন্ধ্যা দিন শেষে জেগে থাকে একলা।
আমি অবিন্যস্ত শব্দ নিয়ে ফিরে যাই আবার আসবো বলে।
দগ্ধতার সীমারেখা ভেদ করে যায় অন্তর।
শব্দ পোড়ে,ম্লান হয়ে যায় অগোছালো হাসি।
তবু তোমরা ভাষা খোজো না।
শব্দ খুজে মরো তবু,ভাষা বোঝো না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৪