হয়তো তুমি বুঝতে পারো,
তোমার জগতের ক্লান্তিকর একঘেয়ে দুপুর টা গত হয়ে যায় কখন।
গ্রিল ঘেরা বারান্দা,তারপর কাচ,তারপর জানালা ভেদ করে দু হাতের আঙুল ছুয়ে যায় যখন ধ্রুপদী আলোর রেখা।
তুমি বুঝতে পারো।
তোমার ভীষন হাওয়ায় মিশে যেতে ইচ্ছে হয় তখন।
তুমি এক দুই তিন করে সিড়ি বেয়ে উঠে যাও ছাদে।
চোখ ছুয়ে হাত রাখো কপালে।
তোমার মনে হয় সেখানে এক চিলতে শুন্যতা।
এক চিমটি নীল,সবুজ বা লাল রঙা শুন্যতা।
তুমি বুঝতে পারো।
তুমি বুঝতে পারো ধুসর বিকেল পেড়িয়ে গিয়ে সন্ধ্যা নামে কখন।
বুঝতে পারো অস্তমিত সুর্য,বোঝো মেঘ,বোঝো সান্ধ্য আকাশ,বোঝো শীতল বাতাস।
বোঝো আলো,বোঝো কালো,বোঝো চাঁদ,বুঝতে পারো কালচে আলোর রাত-
কিংবা বোঝো জোৎস্না।
তুমি বুঝতে পারো।
তুমি বুঝতে পারো নক্ষত্রের নীলাভ কোমল আলো,
বোঝো রাত জাগা কর্কশ পেচা,বোঝো বিষন্ন দু:খের সমাচার,বোঝো ভ্রান্তি,বোঝো ক্লান্তি,বোঝো নির্মিয়মান অবশ্রান্তি।
তুমি বুঝতে পারো।
তুমি বুঝতে পারো অবাধ্য বাতাসের অদ্ভুতুরে শব্দ।
বোঝো এক চিলতে নোলক,বোঝো লাল নীল চুড়ি,
আকাশী পার ঘেরা ফুলতোলা জামদানী।
তুমি বুঝতে পারো।
বোঝোনা শুধু রক্তজবার ভাষা।
যেখানে বাক্য হতে না পারা লক্ষকোটি শব্দ পরে থাকে অমূলক।
নক্ষত্র ঝরে পরা ধুলিধূসরিত পৃথিবী পুরাতন হলে পরে-
পুরাতন হই আমিও।
এখানে জীবন কচি কিশলয়,তারপর গাঢ় সবুজ পত্র হয়ে বাদামী স্বপ্নে ঝরে পরে রোজ।
তোমার কৃত্রিমতার জীবনে চলে আমার নির্লোভ আবেগের চাষ।
রক্তজবায় যোগ হয় আরো হাজার খানেক অর্থহীন কথা।
জটিল সব হিসেব নিকেশ সেরে ঘরে ফেরো তুমি।
আমার জগতের অর্থহীনতার অর্থ খোজার সময় হয়না তাই।
আজকাল পৃথিবী ভীষন অদ্ভুত।
এখানে হাজারটা হিসেব নিকেশের দোলাচালে বন্দী পরে যাই আমিও।
অদ্ভুতুরে পৃথিবী ভালো লাগেনা আমার।
নক্ষত্রের কোমল আলো ছলকে পরা বিশুদ্ধ পৃথিবীতে যেতে চাই।
সেখানে তুমি থাকো তো?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১