সত্য মিথ্যে জানিনা।
অতকিছু জানা লাগেনা আমার।
যখন কুয়াশা বিবরে ঢেকে যায় আমার জানালা।
আমি আলগোছে হাত ছোয়াই তোমার গালে।
নিষ্পাপ সত্যের মতন চেপে ধরি হাত।
আমার ভীষন তৃষ্ণা পায়।
জাগতিক সব হিসেবের খাতা ছিঁড়ে ছুড়ে ফেলি তখন।
ঘড়ঘড়ে ফ্যানের আঘাতে দেয়াল জুরে চলে উত্তপ্ত বাতাসের মহড়া।
তোমার ক্লান্ত অবয়বে চেয়ে থেকে দিন আকি আমি।
নিরলস দুপুরের মতন পরে থাকা অজস্র দিন।
তখন এলোমেলো হয়ে যায় শব্দ সব; এখন যেমন হচ্ছে।
আমি নিশ্বাস গাঢ় করে জিজ্ঞাসা করি রোজ;
একসাথে থাকা যায় না?
যাপন করা যায় না এক জোড়া মেঘের মত জীবন?
প্লিজ,একসাথে থাকি আমরা?
এক খন্ড ঝড়ো হাওয়া অযথাই দোল খায় তখন।
সম্মতি কিংবা অসম্মতির দোলাচালে ঝুলে থাকে অন্তর।
ভেবে নিই,
হয়তো আমায় মাপছো তুমি উপদ্রবের পাল্লায়।
নয়তো না।
আচ্ছা,তোমার মিথ্যে সংজ্ঞায়নেও বুঝি আমার দোষ ছিলো?
তাও তো বলোনা তুমি।
হয়তো আমায় দন্ডিত করো তোমার মিথ্যে সংজ্ঞায়নের দন্ডে।
নাকি করোনা?
আমি বুঝতে পারিনা।
কল্প অবয়বের অভিলাষ কে বুঝেছে বলো কবে?
আমিও বুঝিনা।