হয়তো তার চোখে পৃথিবী ধূসর স্বপ্নের মত।
রঙ চঙহীন নির্লিপ্ততার জগত।
যেখানে রক্ত রঙা ভোরের কোনো মানে হয় না।
যেখানে ফড়িঙের লেজে কল্পনা মাখা থাকেনা।
মাখা থাকে দু:খ; দাড়কাকের চোখের বিষন্নতা।
।
সন্ধ্যা নামে যেখানে আচমকা।
ভীষন ভয়ে কেপে ওঠে আত্না।
ভয় যেখানে অর্থহীনতায় রূপ নেয় ধীরে।
বরফ শীতল রাত্রির মত অস্তিত্ত্বহীনতা বসে জেকে।
।
যেখানে তারে কেউ বলেনাই ডেকে,
মানুষ মরলে পরে মাটি হয়ে যায় মাটি,মৃত নয়।
।
তাই বিষন্নতা গাঢ় হলে পরে,
ধূসর জগতে গেয়েছে সে মৃতের প্রলাপ।
ফাস হয়ে ঝুলে আছে অন্ধকার পৃথিবীর পথে।
নত মুখে ভেঙচি কেটেছে নিদারুন পরিহাসে।
।
আপন কত চারিধারে ছিলো তবু,
ভগ্ন হৃদয় বিদ্রোহ বুঝেছে শুধু,বন্ধন বুঝে নাই।
অত:পর শুষ্ক কারো অশ্রুতলে,
রয়েছে পরে হয়ে স্মৃতির উপাখ্যান।
।
এইসব ঘাস,ফল, ফুলের ছোয়া,
পাতা মর্মর ধ্বনি,প্রিয় মুখ-
সেই প্রান দেখবে না আর।
।
দেখবেনা অস্তগামী পৃথিবীর পথে,
নীড়ে ফেরা পাখির অস্পষ্ট ডানার স্বপ্ন।
দেখবেনা আর।
।
অদ্ভুত এই পৃথিবীর রহস্য ছেড়ে,
কষ্ট মানব মিলায়ে গিয়েছে দূরে।
আর কোথাও পাবেনা তার নশ্বর দেহ খুজে।
বিষন্ন কোনো সন্ধ্যা,নষ্ট করা ভোরে।
নরম মৃত্তিকা তলে চাপা পরে থাকে দেহ।
মৃত হয় নাকো তবু,রয়ে যায় স্মৃতি তলে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৭