পৃথিবীর নব অভ্যাগতেরা জানেনা,
ঐসব মেকি সুখের ফোয়ারায় আমি করিনি কখনো স্নান।
অংশ নেইনি ফ্যাকাশে রঙা অর্থহীনতার সংলাপে।
শতবর্ষী আমি আকড়ে ধরেছি মাটি।
বিষাদের গাঢ় নীলেতে টেনেছি করুন মৃত্তিকা রস।
অবগাহন করেছি ধীরে,
অর্থহীনতার অর্থ খোজার জগতে।
.
পৃথিবীর নব অভ্যাগতেরা জানেনা,
কত বর্ষার জল ছুয়ে গেলে পরে,
নরম পলিতে ঢাকা পরে মরা শেকড়,
খোলা আকাশের মেঘ কেটে যায় ধীরে।
শরৎ আসে,শতবর্ষের বসন্ত কত নির্মম।
জীবনের আপাত সব সৌন্দর্য দেখা হয়ে গেলে,
ঘুনে ধরা সব সন্ধ্যায় জ্বলে প্রদীপের বাতি।
ঘিয়ে রঙা পুকুরে দোল খায় খসে যাওয়া মৃত পাতা।
ওরা জানেনা।
.
পৃথিবীর নব অভ্যাগতেরা জানেনা,
প্রদীপ জ্বলা সন্ধ্যায় তারস্বরে ডাকা ঝিঝি,
উদরে সবুজ আলো নিয়ে চলা কীট কিংবা,
ডিম দিয়ে মৃতের জগতে চলেছে যে ফড়িঙ যুগল-
ঐসব ক্ষনস্থায়ী প্রানেদের পৃথিবীর অদ্ভুত ভোর।
তারা দেখে নাই।
তারা নতুন অভ্যাগত সব,
ক্ষনিকের তৃপ্ততায় খুজেছে জীবনের স্বাদ।
পৃথিবীর খুব গভীরে জমা পরম অনুভূতি,
কিংবা প্রশান্তির গাঢ় বিষাদে মিশে থাকা অতৃপ্ততার তৃপ্তি।
তারা দেখে নাই।
তার আগে এসেছে আরো বহু।
দেখে নাই কেউ দেখে নাই।
চর্ম চক্ষুর আড়ালে গিয়েছে মিশে।
পুরোনো বানের জল নেমে গেলে পরে,
শক্ত বাকল ছুয়ে যায় যেনো কিসে।
ধীর হয়ে ছুলে পলি,
বিষাদের আড়ালে সন্ধ্যা নামে নিশ্চল শব্দের মতন।
শতবর্ষী বৃক্ষের শেকড়ে জাগে উন্মত্ত বোধ।
এই পৃথিবী এক অলীক স্বপ্নের নাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪১