অবন্তিকা বলেছিলো,
আচ্ছা ধরো আমায় তুমি নাই বা পেলে,
কাদবে ভীষন তবে?
কাচের চুড়ির ভেতর টাতে,
হাত পাবেনা যবে?
।
অবন্তিকার প্রশ্নগুলো, নিরেট ছিলো,
প্রিয়তমা গেলে তবে-
কি বা এমন নস্ট হলো??
কষ্ট গুলো হঠাত কেন-
ভীষন রকম স্পষ্ট হলো?
।
অন্য কারো সঙ্গে আছে তাই?
রাত বিরেতে বলবে না আর,
"বাসবো ভালো" তাই?
।
তপ্ত বুকে পিষ্ট তারে করতে পারিনাই,
এখন ভীষন নীরব রাতে,
অন্য কোনো শুষ্ক বুকে পিষ্ট হবে ছাই।
কষ্ট কি পাই তাই?
।
বিকেল গুলো একলা ভীষন।
খাবার খেতে মিষ্টি শাসন কেউ করে না।
নীল খামেতে টুকরো চিঠি,
সবুজ খামে ঘামা কপোল ঘ্রান থাকেনা।
বিষ ছাড়া তাই ভেতর টাতে
মন থাকে না,মন থাকে না।
।
সেই মেয়েটাতো পুতুল ছিলো
তিনশত রাত খাটনি গেছে
একটু খানি আদল দিতে।
মনের সাথে মন বাধাতে,
পঁচিশশো রাত-
জল হয়েছে জল।
পুতুল ভীষন দূরে তো তাই-
ভেতরটাতে রক্ত করে ছল।
।
অবন্তিকা দূরে ভীষন।।
বিকেল গুলো ঠান্ডা লাগে,
অশ্রুগুলো ভীষন রকম স্বার্থ পাগল তাই-
শুকিয়ে গেছে শুকিয়ে গেছে।
অবন্তিকার অনেক গুলো প্রশ্ন ছিলো।
উত্তরেরা উকি দিয়ে,
লুকিয়ে গেছে লুকিয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১