সেই কবে বহুকাল আগে একবার।
নিস্তরঙ্গ অশ্রুধারীর তীরে,
যেখানে জমাট ছায়ায় ঘুমায়ে নীরব ঘাস।
রাত্রি শেষের পুরু শিশিরের তলে-
আমি ঘাসফুল হয়ে জন্মেছিলাম।
তারপর কতকাল আমি ঘাসফুল হই না।
.
নিমীলিত সন্ধ্যার আকাশের তলে,
তীব্র মায়ায় জড়ায়ে যখন নিকষ অন্ধকার।
বিষন্ন চিল ধীরে উড়ে যায় দূরে।
কতকাল দেখি নাই লতানো পাতার ভাঁজ।
শুনি নাই সন্ধ্যার বাতাসে করুন ক্রন্দন তার।
.
তবু পৃথিবীতে আধার নেমেছে ধীরে,
নি:সীম শুন্যতায় ঝড়েছে নক্ষত্র অবিরল।
নূপুরের ধ্বনি হয়ে,
কোনো এক প্রেয়সীর প্রেম মুছে গেছে কবে।
নিস্তব্ধ পৃথিবীর পথে গিয়েছে মিলায়ে,
পাই নাই তারে আর।
.
চারিদিকে জমে সুখ আছে বহু জানি।
তবু তীব্র অসুখী আমি-
ঐসব সুখের স্বাদ পাই না বহুকাল।
পাই যদি আর জন্মে,
বুভুক্ষের মত তারে লবো আমি টেনে,
সেই কাল হতে অন্য কোনো কালে।
কালান্তরের পথে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৭