তবু সেইসব রাত্রির আকাশে জানি নক্ষত্র বেঁচে রবে।
ক্লান্ত আলোর শান্ত কোলাহলে লিখা হবে মানুষের গল্প।
বিচ্ছেদ,ব্যর্থতা কিংবা ভালবাসার গল্প।
কোনো এক সুদূর ভবিষ্যতে,
হয়তো সহস্র বৎসর,হয়তো তারও অধিক পর।
পৃথিবীর খুব গভীরে যখন চাপা পড়ে আছে সভ্যতা।
আমাদের এই রোজকার সভ্যতা!
একেলা কোনো এক জনবসতির প্রান্তে,
কাঁদা-মাটি-পৃথিবীর তলে,জীবিতের অজান্তে।
ধ্বসে যাওয়া এপিটাফ,ধূলিধূসর ভগ্নস্তুপ,
আরও সহস্র জীবাশ্মের সাথে যেদিন কেউ ইতিহাস-
সেদিনও পৃথিবী বইবে কোনো এক মানবীর ভার।
সময়ের কালস্রোতে আবছা আঁধারে যার মিলায়েছে হাড়।
অথচ ঐসব সবুজ ঘাস আর নীলচে পাখিরা জানে,
তীব্র জোছনা তবু মিথ্যে হতে পারে-
হয়তো হেমন্তের নিথর ফসলি মাঠ।
পৃথিবীর পথে তারা ফিরে নাকো আর,
বিস্মৃত যত প্রান্তর,মানবীকে দেয়া সেই মানবের হার।
অতঃপর নদীও শুকায়ে যায়,এক-দুই-তিন-
রুক্ষ রোদের খয়েরী চড়ুইও হারায়,
অবলুপ্ত নগরীর ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে সব।
ধূলো বালির পৃথিবীতে তবু প্রেম টিকে রয়।
মানব আর মানবীর প্রেম!
তীব্র জোৎস্না কবলিত রাতে-
গাঢ় শিশিরে টিনের চালা বেয়ে আঙিনায় ঝরা সেইসব রাতে-
পুরাতন প্রেম সত্তারা পৃথিবীর গভীর হতে উঠে আসে।
কারো চোখের গভীরতায় আমরা আবেশিত হই।
নশ্বর পৃথিবীতে এইসব অবিনশ্বরতার ছোয়ায় ভীষন-
অমর হতে ইচ্ছে করে।
কি হয় অমর হলে?
মুগ্ধ চোখের গভীরতায় ছয়শো বছর চুলোয় গেলে-
কি হয়?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৪