আজ ১১ আগস্ট ২০০৯ ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম বাঙালি শহীদ অগ্নিকিশোর ক্ষুদিরামের ফাঁসিতে আত্মাহুতির ১০১ তম বার্ষিকী। ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের মজোফরপুর জেলে ফাঁসি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। ভারতবর্ষেরস্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিসন্তান শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯ সালে মেদিনীপুর জেলায়। ১৯০৫ সালে বিপ্লবী দলে যোগ দেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন জীবনের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে জীবন দিতে হয়। ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল সহযোগী বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীর সাথে মিলে অত্যাচারী কিংসফোর্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা পরিচালনা করেন এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। এ মামলায় ১৩ জুন তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। কিশোর ক্ষুদিরাম বীরের মতো ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েছিলেন আজ হতে১০১ বছর আগে ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট।
১৯ বছরের এক যুবকের সাহসী আত্মদান জাগিয়ে তুলেছিল ভারতবাসীকে; শক্তিশালী করেছিল স্বাধীনতা আন্দোলন। কবির ভাষায় “ওরা দু’পায়ে দলে গেল মরণ শংকারে, সবারে ডেকে গেল শিকল ঝংকারে।” আজ দেশের সর্বাত্মক সংকটে ক্ষুদিরাম এর জীবন সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন। শিক্ষা-সংস্কৃতি-নৈতিকতা রক্ষা, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, অশ্লীলতা-অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে উন্নত চরিত্র গড়ে তোলার সংগ্রামে শহীদ ক্ষুদিরাম আজও প্রেরণার উৎস।(১)
‘একবার বিদায় দে-মা ঘুরে আসি।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই গান
‘একবার বিদায় দে-মা ঘুরে আসি।
হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে জগৎবাসী।
কলের বোমা তৈরি করে
দাঁড়িয়ে ছিলেম রাস্তার ধারে মাগো,
বড়লাটকে মারতে গিয়ে
মারলাম আরেক ইংল্যান্ডবাসী।
শনিবার বেলা দশটার পরে
জজকোর্টেতে লোক না ধরে মাগো
হল অভিরামের দ্বীপ চালান মা ক্ষুদিরামের ফাঁসি
দশ মাস দশদিন পরে
জন্ম নেব মাসির ঘরে মাগো
তখন যদি না চিনতে পারিস দেখবি গলায় ফাঁসি’
ভিডিও টি ' সুভাস চন্দ্র ' চলচ্চিত্রের তেকে নেওয়া। কন্ঠ লতা মঙ্গেশ্বর।
যে ঘটনার জন্য ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়েছিল, সেটি ঘটেছিল ১৯০৮ সালে।
Click This Link
"ঘটনার নেপথ্যের ঘটনা আরেকটু পেছনে, ১৯০৫ সালে। দেশের সব মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে লর্ড কার্জন সেবার ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গভঙ্গের। এই বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল ইংরেজবিরোধী প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলন। এই আন্দেলনের পরিপ্রেক্ষিতেই তৈরি করা হয়েছিল প্রথমবারের মতো দুটি বোমা। প্রথম বোমাটির গল্প আলাদা। দ্বিতীয় বোমার গল্পটিই এখানে মুখ্য।
দ্বিতীয় বোমাটি তৈরি করার পর বিপল্গবীরা একমত হলেন যে, কোনো ইংরেজের ওপরই এ বোমার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। আর এজন্য সর্বসম্মতিক্রমে বেছে নেওয়া হলো কিংসফোর্ডের নাম। কিংসফোর্ড ছিল কলকাতার তদানীন্তন চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট। বাংলার সবচেয়ে কুখ্যাত ম্যাজিস্ট্রেট। ইংরেজবিরোধী আন্দোলনকারীদের ধরে ধরে কঠোর শাস্তি দিত এই ম্যাজিস্ট্রেট। বিচারের নামে রীতিমতো অবিচার শুরু করে দিয়েছিল। এ কারণেই এই কিংসফোর্ডই হয়েছিল বিপল্গবীদের টার্গেট।
এদিকে বিপল্গবীদের পক্ষ থেকে মজফফরপুর গিয়ে কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যা করার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম বসুকে। মজফফরপুরের একটি মন্দিরে টানা সাতদিন অপেক্ষা করার পর তারা কিংসফোর্ডকে হত্যার সুযোগ পান ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল রাত আটটায়। তারা সেই রাতের অন্ধকারে অ্যাম্বুশ করে ছিলেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর কিংসফোর্ডের গাড়ির মতো একটি গাড়ি আসে। তারা ওই গাড়িকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে হাতবোমাটি। প্রচণ্ড শব্দে বোমাটি ফাটে গাড়ির ওপর। ভারতের বিপল্গবীদের পক্ষ থেকে বিদেশি শক্তির ওপর এটাই ছিল প্রথম বোমা হামলা। হামলার নায়ক ক্ষুদিরাম। ক্ষুদিরাম আর প্রফুল্ল কাজ শেষ করে ছুটতে থাকে। কিন্তু তখনও তারা জানেন না ভুলবশত বোমা গিয়ে পড়ে অন্য একটি গাড়িতে। যার ফলে নিহত হন কেনেডি নামের এক ইউরোপীয় মহিলা ও তার কন্যাসন্তান, যারা বোমার আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন সেখানেই।''
একটি ক্যালেন্ডার ও একটি প্রশ্ন
আমার শৈশবে ( ৮০ দশক) মফস্বল জীবনে হাটের দিন রাস্তার পাশে দেখতাম রঙ-বেরঙের ক্যালেন্ডার নিয়ে ভাসমান দোকানীদের বসতে দেখতাম। তার মাঝে প্রায়ই উপরের ক্ষুদিরামের কাল্পনিক ফাঁসির ছবি যুক্ত ক্যালেন্ডারটি চোখে পরতো। যেহেতু সকল বিক্রেতার নিকটই ক্যালেন্ডারটি থাকতো ; তার অর্থ ক্যালেন্ডারটির বাজারের কাটিছিল সে সময়। (জানি না , ইতিমধ্যে এই ডিজিটাল প্রিন্টিং এর যুগে দেশ-বিদেশী চকচকে চিত্রমালার ঢেউ এই চিত্রযুক্ত ক্যালেন্ডারটি চিরতরে হারিয়ে গেছে কিনা)
এ সব ক্যালেন্ডারের ক্রেতা ছিল মূলতঃ গ্রাম-গঞ্জ হতে আসা সমাজের নিম্নবর্গের মানুষ। সাধারণ ভাবে এই সকল মানুষ কুসংস্কার গ্রস্ত হয়ে থাকে। গাঁয়ের গাছের কেউ ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করলে সে গাছের ছায়া বহুদিন কেউ মারায না কিংবা কোন পুকুরে কেউ ডুবে মারা গেলে বা অপর্মত্যু হলে সে পুকুরে কেউ নামে না। অথচ, মজার বিষয় 'ক্ষুদিরামের ফাঁসির আদেশের এই কাল্পনিক চিত্র সম্বলিত ক্যালেন্ডার যুগ যুগ ধরে গ্রাম-গঞ্জের এই সব সাধারণ অশিক্ষিত-অর্দশিক্ষিত খেটে খাওয়া মানুষ অদ্ভুৎ এক আবেগের তাড়িতো হয়ে বা শখ করে কিনে ঝুলিয়ে রাখে নিজ ঘরে দেয়ালে। বিস্ময়কর ভাবে অপমৃত্যুজনিত সংস্কার এখানে কাজ করে নি। কেননা , দেশের জন্য অকুতোভয় কিশোর ছেলেটির আত্মত্যাগ তাদের অন্তরের সন্মানের স্থান করে নিযেছে। বিবেচিত হয়েছে পবিত্র আত্মা হিসাবে।
কিন্তু বড়ই লজ্জার ব্যাপার আমাদের স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে ক্ষুদিরাম কে সন্ত্রাসী হিসাবে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা হযেছে। এর পিছনের রযেছে এক গভীর দূর্ভিসন্ধি।
ক্ষুদিরাম কেন আজো এতো ভয়?
ভারতের ছাত্র আন্দোলনের সূত্রপাত সাম্রাজ্যবাদবিরোধিতার মধ্য দিয়ে। বৃটিশদের শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করার অদম্য মানসিকতা সে দিনের ছাত্র সমাজকে আপোসহীন বিপ্লবী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এমনকি আমরা দেখেছি শিক্ষকদের প্রেরণাতেও বহু মেধাবী ছাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন।ক্ষুদিরামেরা সেই অগ্নিগর্ভ সময়েরই সৃষ্টি। সে সময়ে তারুণ্যের প্রাবল্য আঘাত হানে অত্যাচারী শাসকের দুর্গে।
অপর দিকে শাসক শ্রেনী ও তাদের সুবিধা ভোগীরা ক্ষুদিরামদের 'বোকা' 'অবুঝ বালক' হিসাবে চিহ্নিত করার প্রয়াস চালায়। তারুন্যর শক্তি কে দমিয়ে রাখতে শত বৎসর পরেও শাসক শ্রেনীর সেই একই বাক্য ব্যবহার করে , যখন ছাত্র -যুবকরা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় , স্বপ্ন দেখায় নতুন দিনের। তারুণ্যে আত্মদান কে হেয় করতে এ কথা প্রায়ই বলা হয় যে,' তাঁরা এই প্রক্রিয়ায় নিজ ভবিষ্যৎ কে বিসর্জণ দিচ্ছে । তাদের মৃত্যুতে শুধুমাত্র নিজ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।' এ প্রসঙ্গে ক্ষুদিরামের আত্মদানে উদ্ভুদ হয়ে ১৯৪৫ সালের ২১ নভেম্বর আজাদ হিন্দ বাহিনীর বন্দি সেনানীদের মুক্তির দাবিতে কলকাতার রাজপথে শহীদ ছাত্র 'রামেশ্বর ব্যানার্জী' আত্মবলিদানের পর তাঁর পিতা শৈলেন্দ্রমোহন বলেছিলেন : ‘যাহার সন্তান বলি হয় তাহার ব্যক্তিগত ক্ষতি অপূরণীয়’ । তবুও দেশের মাতা-পিতাদের এই বলি যোগাইতেই হইবে। আমরা সেই সন্তপ্ত মাতা-পিতাদের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছি। মাত্র দেশমাতার অলক্ষ্য নির্দেশে’।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তরকালে একথা ক্রমাগত উচ্চস্বরের বারংবার উচ্চারিত হচ্ছে যে, দেশ আজ স্বাধীন। সুতরাং , আজ মন দিযে পড়াশুনা করা ব্যতিত ছাত্র সমাজের করণীয় আর কিছু নেই। বিগত ৩৮ বছরের আমরা স্বাধিনতার স্বরুপ হাড়ে হাড়ে বুঝেছি।স্বাধীনতার পর ক্ষমতাপ্রাপ্ত রাষ্ট্রনেতারা ছাত্র সমাজকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকার কথা বলেন। তাদের আর প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার প্রয়োজন নাকি ফুরিয়েছে। তাই এ যুগের ক্ষুদিরামদের 'বোকা' বলছেন।
ছাত্র-যুবাদের মধ্যে এ রকম ‘বোকা’ যে চিরকাল থাকবে, তা ভালো করেই জানে বর্তমান ব্যবস্থার ধারক ও বাহকেরা। তাই ক্ষুদিরামদের ‘বোকা’ বলে আত্মকেন্দ্রিকতার পক্ষে নিমজ্জিত রাখতে চায় ছাত্র যুব-মননকে।
ক্ষুদিরাম কেন আজো জরুরী?
পুজিবাদী- সাম্রাজবাদী রাষ্ট্র তথা বিশ্বব্যবস্থা 'ব্যক্তি স্বাধীনতা'র নাম করে এক ধরনের ‘স্বাধীনতার’ স্বপ্ন দেখানো হয়। সে স্বপ্ন কিন্তু শ্রেণীবিভক্ত এই সমাজের অধিকাংশ মানুষের কাছে সারা জীবন অধরাই থেকে যায়। বাজার অর্থনীতি নাকি মানুষকে দ্রব্য ভোগের অবাধ স্বাধীনতা দেয়। যা চাইবে, বাজারে তাই কিনতে পারবে। সবকিছুকে পণ্য হিসেবে হাজির করানো হয়।
কিন্তু ভোগের জন্য চাই তা কেনার ক্ষমতা। অর্থের জোর থাকলে তবেই এ স্বাধীনতা অর্থবহ। তার জন্য কেবল নিজের কথা ভাবো। ভাই-বোন, বাবা-মা, আত্মীয় পরিজন কেউ নয়। সমাজ তোমার নয়। তোমার সামনে রয়েছে অগুনতি ভোগ্য দ্রব্য। ভোগ করার ক্ষমতা তোমাকে নিজেকেই অর্জন করতে হবে।
ভোগবাদ গড়ে তোলে ভোগ্য দ্রব্যের বাজার। প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের হিসাব থাকে না। বিজ্ঞাপনের চোখ ঝলসানো প্রচারই নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের রুচিকে, আমাদের চাহিদাকে। দ্রব্য ভোগ চিহ্নিত করে সামাজিক অবস্থানকে। প্রতিবেশী যা কিনছে, আমাকে তাই কিনতে হবে। বরং তা আরো আধুনিক ফ্যাশনের হতে হবে। শহরের লেটেস্ট শপিং মল থেকে জিনিস না কিনলে মান থাকবে না। কেনা জিনিসটা প্রয়োজন, কি প্রয়োজন নয় সেটা বড় কথা নয়। কিনতে হবে এটাই আসল কথা। অন্তহীন চাহিদা দেশ-সমাজবিবর্জিত এক লালসাপূর্ণ প্রাণীতে পরিণত করে মানুষকে যেখানে মনুষ্যত্ববোধের কোনো স্থান নেই। দেশের মানুষের কথা ভাবলে চলে না। ভোগ করো, আরো ভোগ করো। তার জন্য আরো অর্থ উপার্জন করো। কী উপায়ে অর্জন করবে সে প্রশ্ন অবাস্তব। আর তা যদি না পার, তাহলে ব্যর্থতা তোমার। এভাবেই ভোগের মরীচিকার পেছনে ছুটতে ছুটতে ব্যক্তির জীবনের প্রকৃত ব্যাপ্তিটা ক্রমশ ছোট হতে থাকে। সবাই মিলে বেঁচে থাকার বোধ গড়ে ওঠে না।
রঙিন জগতের হাতছানিতে প্রলুব্ধ যুবকটি যখন তা পেতে ব্যর্থ হয়, রঙিন স্বপ্নগুলো তার ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, তখন চরম হতাশা তাকে গ্রাস করে। একাকিত্ব বোধ তার যৌবনোচিত জীবনী শক্তির অপমৃত্যু ঘটায়। কেউ বা অর্থ উপার্জনে অন্ধকার জগতে প্রবেশ করে। এ সমাজ তাকে সমাজবিরোধীতে পরিণত করে। কেউ হীনমন্যতাবোধের কারণে নিজেকে ক্রমশ গুটিয়ে নিয়েই কোনোমতে দিনাতিপাত করে। এমনকি অনেকে কোনো ব্যর্থতার পর নিজের জীবনকে শেষ করতে পর্যন্ত বাধ্য হয়।
আত্মকেন্দ্রিকতার খোলস ত্যাগ করে ভোগবাদকে বিসর্জন দিয়ে আজ যৌবনের জয়গান গাইতে হবে। ক্ষুদিরামদের ‘বোকা’ বলে যারা স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ মানুষকে প্রতারিত করে চলেছে, তাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার সময় এসেছে। দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে দেশের অধিকাংশ মানুষের সুস্থভাবে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার ওপর। যে দেশে অধিকাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভোগে ও মানুষ প্রয়োজনীয় ক্যালরির খাদ্যগ্রহণ করতে পারে না সেদেশে অন্নের অধিকার প্রতিষ্ঠাই বড়। যে দেশে প্রায় অর্ধ কোটি শিশুশ্রমিক, কোটি কোটি বেকার সে দেশে শিক্ষা, কাজের অধিকার প্রতিষ্ঠাই আসল উন্নয়ন। দেশবাসীর মৌলিক অধিকারের কথা ভুলিয়ে দিয়ে দেশি-বিদেশি বৃহৎ পুঁজির উন্নয়নের মডেলটিকে আমাদের সামনে হাজির করা হয়।
অশিক্ষা, দারিদ্র্য, কর্মহীনতায় জীর্ণ দেশে ‘বোকা’ ক্ষুদিরামেরাই হোক আদর্শ। তাদের সংগ্রামী দৃঢ়তাই হোক আজকের মনুষ্যত্বের ধ্বংসকারী পুঁজিবাদ নিধন সংগ্রামের প্রেরণা।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ
১।মাসিক ভ্রানগার্ড , সেপ্টেম্বর ২০০৮।
Click This Link
২।জনাব রেজাউল করিম নোমানের ''রক্তাক্ষরে লেখা হিরণ্ময় নাম দরক্তাক্ষরে লেখা হিরণ্ময় নাম।'' দৈনিক সমকাল ,১১ আগস্ট ২০০৯ ।
Click This Link
৩। নির্মল সেন ' আজো কেন ক্ষুদিরাম প্রাসঙ্গিক? ' ( আগস্ট ২০০৮)
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৫