মূলত তিনি আমার পালক মাতা। সম্পর্কে মাসি (খালা)। আমার পিতা ছোটবেলায় প্রয়াত হওয়ায় এবং নিজের মা মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় আমি বড় হয়েছি ঐ মাসির কাছে। একসময় পড়াশুনার তাগিদে বাড়ি (মামা বাড়ি) ছেড়ে ঢাকায় চলে আসি। তারপর যোগাযোগ হয়েছে কম। গত মাসে হঠাৎ শুনলাম তিনি অসুস্থ। খুব বিচলিত বোধ করলাম। ঢাকায় নিয়ে আসতে বললাম। তিনি এখন আমার বাসাতেই আছেন (আমার তত্ত্বাবধানে)।
বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়ে এবং বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করার পর জানা গেল তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ডায়ালাইসিসের এক পর্যায়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট ব্যতীত অন্য কোনো চিকিৎসা নেই। তাতে প্রয়োজন পনেরো থেকে বিশ লক্ষ টাকা।
উনি একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে চাকরির থেকে লোন নেওয়ায় বেতনও পান এখন নামমাত্র। তার স্বামী বেকার এবং তিনিও বিভিন্নভাবে অসুস্থ। ফলে টাকার অভাবে ওনার চিকিৎসা প্রায় থেমে গিয়েছে। আমি নিজেও লেখালেখির মানুষ, ফলে টাকাপয়শা তেমন কিছু নেই, নিজে চলতেই হিমশিম খেতে হয়। তারপরও আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা আমি ওনার জন্য করে চলেছি।
এই ব্লগটি লিখছি যদি আপনারা ওনার জন্য কিছুটা সাহায্যের হাত বাড়াতে পারেন। একহাজার জন ব্লগার ১০০ টাকা করে দিলে এক লক্ষ টাকা হয়ে যাবে। ৫০০ টাকা করে দিলে হলে পাঁচ লক্ষ টাকা। এগুলো গাণিতিক হিসেবমাত্র। যতটুকুই হোক এভাবে বিভিন্ন প্লাটফরম থেকে যদি কিছু সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলে হয়ত উনি বেঁচে যেতেও পারেন। দেখেন, আপনারা কিছু করতে পারেন কিনা। আমি খুব অসহায় বোধ করছি।
করুণা রাণী দাস
গ্রাম: রঘুদত্তকাঠী
ডাকঘর: মসনী
উপজেলা: কচুয়া
জেলা: বাগেরহাট।
করুণা রাণী দাস, বাগেরহাট জেলার আলোকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষকতা এবং বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় এলাকায় তার সুনাম রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তিনি নিজের বেতনের টাকা থেকে বিভিন্ন মানুষকে সহযোগিতা করেছেন।
বর্তমানে তিনি ঢাকায় বনশ্রীর ফরায়েজী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সহযোগিতা করতে যোগাযোগ: ০১৭৯ ৪৯ ১৩ ৫৮৪ (বিকাশ, পেশেন্টের নম্বর)