ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল' আমাদের প্রজন্মের সুপার-হিরো! যিনি তাঁর সরল স্বীকারোক্তি-মূলক লেখা দিয়ে, নতুন প্রজন্মের মেধা-বিকাশ এবং আধুনিক জ্ঞান-চর্চার জন্য নানা চমৎকার-অনবদ্য সব কাজ দিয়ে আমাদের’কে জয় করেছেন। বিদেশের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্বের সাথে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে, প্রভূত আরাম-আয়েস-অর্থ পেছনে রেখে দেশে ফিরে এসেছেন। দেশের জন্য, নতুন প্রজন্মের জন্য কিছু করবেন বলে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন! সেই মানুষটি কাল দুপুর থেকে হতাশায় বিহ্বল একখানা স্থিরচিত্রে আবদ্ধ হয়ে অন্তর্জালিকার পাতায়-পাতায়, সংবাদ মাধ্যম এবং গরম খবরের হাওয়ায় প্রবাহিত হচ্ছেন! কিছু লিখবো না করেও শেষমেশ কি-বোর্ড খানা'কে অত্যাচার করতে বসা!
সত্যি বলতে, এক প্রকার অভিমান নিয়েই আমি বেশ অনেকদিন ধরে উনার কোন লেখা তেমন নজরে আনিনা; কিনি না উনার কোন বই! অথচ এই আমি এক সময় তাঁর কিশোর উপন্যাস গুলো বের হবার আগে থেকেই টাকা জমানো শুরু করতাম, যেন বইটা বের হলে সাথে-সাথেই কিনে নিতে পারি! কিন্তু গত ক’বছরে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে করা মন্তব্য এবং অবস্থান নেয়ার ক্ষেত্রে উনার কাছে আমি আরও বেশি সততা আশা করেছিলাম বলেই হয়তো এতো অভিমান আমার! তবু যতোই অভিমান করি না কেন, এই দেশের প্রতি, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের প্রতি উনার যে মমতা আর অবদান সেটা যে নিখাঁদ তাতে দুর্জনেরও দ্বিমত নেই। আমি তো অভিমানী ভক্ত বিশেষ!
আজকে উনার ছবিতে যে হতাশার প্রতিফলন আমরা দেখছি সেটা কি তাঁর একলার? এই বিহ্বল হতাশা বহুদিন ধরেই এ দেশের প্রতিটা সচেতন মানুষের! যেটা আজ আবার আমরা নতুন করে আর একবার উপলব্ধি করছি! আমি দুঃখ প্রকাশ করে তাঁর মনোভার লাঘব করবো এমন যোগ্যতা আমার কই! কিন্তু উনার উদ্দেশ্যে বলবো-‘এবারও যদি চূড়ান্ত সৎ সাহসটুকু না দেখান, এবারও যদি আমাদের এই প্রজন্মকে একত্র করে এই সিস্টেম’কে বড়সড় একটা ধাক্কা না দেন; এবারও যদি হেনতেন, হরিদাস, ধইঞ্চাদের রুখে দেয়ার লড়াইয়ে রাজপথে না নামেন তবে আর কবে?’
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১