‘আমরা জাতটা মাশাআল্লাহ সব সময় বেশ হর্নী হয়ে থাকি! বিশেষ করে যখন কারো হাতে কোন প্রকার চক্র-যানের স্টিয়ারিং থাকে তখন সেটা বেশ ভালোই বোঝা যায়! ছোট-বড়-মাঝারি সব সাইজের দ্বি-চক্র, চার-আট-ষোল সব চক্র ওলারা নিজের-নিজের পছন্দ-রুচি অনুযায়ী অনবরত মহানন্দে হর্ন বাজাতেই থাকেন, বাজাতেই থাকেন। আমি তো বলি, হর্নী হয়ে থাকেন বলেই হর্ন না বাজিয়ে তেনারা থাকতে পারেন না!
এইসব হর্নী লোকজনের জ্বালায় আজকাল একেবারেই না হইলে বাসা থেকে বের হওয়া ছেড়ে দিসি। সিগনালে দাড়াই থাকা, জামে আটকাই থাকা, চিপায় পড়ে থাকা সব চালকেরা অনবরত হর্ন দিয়ে যে কি সুখ পান, একমাত্র তারা আর তারার খোদায় জানে! এইতো সেদিন, সরু রাস্তায় অধমের রিক্সার পেছনে এমনই এক মহা হর্নী ড্রাইভারের হর্ন অত্যাচারে মাথা ব্যথার মা-বাপ চৌদ্দ গোষ্ঠী এসে হাজির! সে মহান হর্নী বান্দা ১০০গজ রাস্তায় প্রায় ১০০বার হর্ন দিয়ে নিজের অসীম সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে অধমের মুণ্ডু উড়িয়ে দেয়ার সু-ব্যবস্থা পাকা করে দিয়েছিলেন।
আরেহ এটা তো কেবল এক অধমের এক বিকালের গল্প! এমন অজস্র সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা তেনাদের হর্নের জ্বালায় বহু অধমের জীবন বিপন্ন! কিন্তু কে কহিবে কারে? আর কিই বা কহিবে? এ যে উল্টা রথের দেশ! আপনি উনাকে ধমক দিবেন, দেন। কিন্তুক উনারা এইসব ধমকের থোড়াই তোয়াক্কা করেন! যারা ধমক দিলে কাজ হইত তারা তো বধির!
(বিঃ দ্রঃ অধম সেদিন দুঃসাহস করে সেই ড্রাইভার’রে ধরে একটা কেচকি ঠিকই দিয়ে দিসিলো! কিন্তুক তাতে কাজ যাই হোক, অন্যদের ভাব খানা ঠিক এমন-‘এহ কি বেয়াদপ মেয়ে রে বাবা!’ কি আর কহিব এ তো উল্টা রথের দেশ গো হরি...!)'
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৭