এলো এলো করে আজ ঈদ এলো রে
এক ফালি চাঁদ ঐ আকাশের বুকে
আগমনী বার্তায় ঘুম নেই চোখে
ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক
ধনী গরিব সবার ঘরে ।।
করোনাকালে ছিল অঢেল সময়। এই সময় কি নিয়েছে সে প্রসঙ্গে না যাই বরং কি দিয়েছে সেটাই বলি।
অনেক কিছুর মধ্যে যেটা সবচেয়ে বেশি পেয়েছি তা হলো অলসতা। এই গর্ত থেকে আর উঠতেই পাচ্ছি না। ব্লগে অফলাইনে পোস্ট পড়ি কিন্তু মন্তব্য লিখতেই যত অলসতা। তখন মনে হয় লেখার বদলে যদি টিপ সই দেয়া যেত তাহলে ভালো হতো।
যাইহোক যে কারণে এই অলসতার গর্ত থেকে কিবোর্ড হাত নিয়েছি তার সাথে জড়িয়ে আছে সামু এবং কান টানলে যেমন মাথা আসে তেমনি সামুকে টানলে আসবে আমার প্রিয় সহব্লগারগণ।
এস.এস.সি’র রেজাল্টের আগ পর্যন্ত নিজের উপর আস্থা ছিল একশ তে একশ, রেজাল্টের পর তা হাওয়াই মিঠাই এর মত উড়ে গেছে। মূলতঃ এই নিকে আমি এই ক’বছর হলো আধা-নিয়মিত। আমার লেখা গল্প বা কবিতা পোস্ট করার পর সহব্লগারদের প্রশংসনীয় মন্তব্যে আস্থার উপর একটু টানাটানি পড়তো। আসলেই কি ভালো লিখেছি নাকি পাম* দিচ্ছে (*এই শব্দ ইউজ করার গল্প নিচে দিলাম)। এতো চমৎকার সব মন্তব্য আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
কবিতা আমি কম বুঝি তবে ছন্দ কবিতা হলে মজা পাই। আমি যে কবিতা পোস্ট করেছি মূলতঃ ওগুলো গান বা গানের বাণী হিসাবে লেখা। এই লেখালেখি চলছে অনেক বছর হলো কিন্তু অনিয়মিত, হয়তো বছরে একটা বা দুইটা, কোনটা সংরক্ষণে থাকতো আবার কোনটা না। সব মিলে দেখা যাবে ৮/১০ টা গান হয়েছে। এরপর ব্লগ থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়ার পর মেশিন স্টার্ট দিয়ে গান বের হলো ২০ টা। এই মধ্যে থেকে বাছাই করে ২৮টা গান গত ২৬/১১/২০২০ইং তারিখে রংপুর বেতারে জমা দিলাম গীতিকার হওয়ার দুঃস্বপ্ন নিয়ে। এ বছর ২৮ মার্চে আমাকে কল দিয়ে জানালো আমি গীতিকার হিসাবে সিলেক্টেড হয়েছি এবং মার্চের ৩০ তারিখ রংপুরে গিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে আসতে হবে। অভিষেক অনুষ্ঠানে রংপুর বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক জনাব ডঃ মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ তাঁর বক্তব্যে বললেন বিভিন্ন দিবস উপলক্ষেও আমরা গান লিখে পাঠাতে পারি। উনার বক্তব্যের রেশ ধরে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে একটা গান লিখে পাঠাই। গানটি কম্পেজিশন করে রংপুর বেতারে পরিবেশিত হয়। আমার এ প্রাপ্তিতে সামু এবং সহব্লগারগণ এবং আমার এক বন্ধু ওতোপ্রতভাবে জড়িত, আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
{*অফিসের বস একদিন বললেন উনি বাচ্চাদের জন্য কম্পিউটার কিনবেন আমি যেন সঙ্গে থাকি। কম্পিউটার যখন বাসায় সেট করি তখন বসের ছোট মেয়ে পাশেই ছিল আর কি কি করি সেগুলো দেখছিল। আমি কম্পিউটার অন করে ডেক্সটপে একটা পুতুলে ছবি সেট করে বললাম দেখ তোমার মতো সুন্দর একটা পুতুলের ছবি দিয়েছি, আমার কথা শুনে সে বলে “থাক আর পাম দেয়া লাগবে না”, আমি তো হাসতে হাসতে শেষ, ও তখনো স্কুলেই ভর্তি হয়নি এত ছোট}
ছবি
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১