আমার শহরে অনেক ভদ্রলোকের বাচ্চা থাকে !
তারা রোজ অফিসে, সুন্দরী কর্মচারীদের
উরুতে বসিয়ে নাচায়-
ওদের অসহায় শীৎকারে আমোদ করে,
কালো চশমায় না দেখার ভান করে সততা চিবিয়ে খায় ।
এরপর সন্ধেবেলা পাঁচতারা রেস্তোরার নীল আলোয় চলে-
বিদিশি মদ আর উলঙ্গ বনিতা নৃত্য ।
ওরা চখ-মুখ দিয়ে গেলে, দুহাতে টাকা ওড়ায় !
(*বাল--- পকেটে মোটে ১০০ টাকা*)
তাই দিয়ে চলে কোন স্যাঁতসেঁতে, মেদবহুল নারীদেহের উপর উল্লাস।
ভদ্রলোকের ঠিকানা এখন গলির বেশ্যাপাড়া !
ঘরে ফেরার পথে একজন আত্মভোলা কবির সাথে-
ওর রোজ দেখা হয়।
চিৎকার করে গালি দিয়ে ওঠে ''ছোটলোক'' !
মধ্যরাতে বাড়ি ফেরে ভদ্রলোক সেজে।
অবসন্ন শরীরে আধোঘুমন্ত বউয়ের স্তনে
বিলি কাটতে কাটতে বলে--
''শহরটা লম্পট,যোচ্চোর,নেশাখোরে ভরে গেল'' !
সেই মাতাল কবি তখন ফুটপাতে একজন ভিখিরির সঙ্গে ঘুমোচ্ছে।