ঘরের মধ্যে দুই ভাইয়ের মারামারি, কর্তৃত্ব কার হাতে থাকবে তা নিয়ে। দুই ভাইই জিততে চায়। তুমুল মারামারিতে ঘর লন্ডভন্ড, পরিবারের অন্য সদস্যরা কম-বেশী আঘাতপ্রাপ্ত হলেও দুই ভাইয়ের মারামারি থামানোর ক্ষমতা বা শক্তি কোনটাই তাদের নেই। অসহায়ভাবে চেয়ে চেয়ে দেখছে তারা। আশপাশের প্রতিবেশীরাও জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখছে তাদের কান্ডকারখানা। এই প্রতিবেশীদের মধ্যে অনেকেই আছে মতলববাজ, এই হুলুস্থুল থেকে ফায়দা লুটতে চায় তারা। তাদের কেউ এক ভাইয়ের পক্ষে বগল বাজাচ্ছে আবার কেউ কেউ আরেক ভাইকে উৎসাহ দিচ্ছে হাততালি দিয়ে। বুদ্ধি এবং শক্তিতে দুর্বল যে ভাই তিনি ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়লেন। কিন্তু তিনি পরিবারের কারো কাছ থেকে সাহায্য না পেয়ে ঘরের ভিতরে আমন্ত্রন জানিয়ে বসলেন প্রতিবেশীদের মধ্য থেকে শক্তিশালী কয়েকজনকে। তারা যখন ওই ভাইয়ের পক্ষে এগিয়ে এলো ঘরের মধ্যে তখন অন্য ভাইয়ের পক্ষেও আরো কিছু শক্তিশালী প্রতিবেশী ঢুকে গেলো। তারপরে এক সময় হলো সমঝোতা। এই সমঝোতার ফাঁকে মতলববাজ প্রতিবেশীরা যে যার মত চুপিচুপি ঘরের মুল্যবান কিছু ছোটখাটো আসবাবপত্র লুকিয়ে ফেললো তাদের জামার নীচে। আর বড়সর আসবাবপত্রগুলো দাবী করে বসলো সমঝোতার প্রতিদানস্বরূপ। ঠিক তখনই দুই ভাই বুঝতে পারলেন ঘরের কর্তৃত্ব তাদের দুজনার কারো হাতেই নেই এখন আর, ওটা চলে গেছে মতলববাজদের হাতে।
আমাদের দেশের অবস্থাটাও ওই ঘরের মত। সমঝোতার দায়িত্ব বিদেশীদের হাতে তুলে না দিয়ে আসুন নিজেরাই সমঝোতা করে ফেলি। ঘরের দায়িত্ব ঘরের লোকের হাতেই থাক। কেউ একাই সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। একেকবার একেকজন দায়িত্ব পাবেন। ঘরের মানুষদের মধ্যে দায়িত্ব বন্টন করে দিন।
আর তা না হলে সব খাবে ওই বারোভূতে।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেবুয়ারী , আমি কি ভুলিতে পারি ?
না, ভুলতে আমরা পারিনি। আমার ভাইয়ের রক্তে এখনো রাঙ্গাচ্ছি। প্রতিদিন আসছে ভাইয়ের হাতে অপর ভাইয়ের রক্ত রাঙ্গানোর খবর।
মহান একুশে ফেব্রুয়ারীতে সকল ভাষা শহীদদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধা।