অনেক আগে লিখেছিলাম,
"তুমি আমার মন খারাপের একলা বিকেল বেলা,
ভীষণ কালো অন্ধকারে প্রজাপতির মেলা।"
পৃথিবীতে সবকিছুই আপেক্ষিক। মন খারাপও স্থিতিশীল কোনো ব্যাপার নয়। মন খারাপ হল, মন ভালো থাকার বিপরীতে একটি অতি অ-আনন্দদায়ক ঘটনা। মন খারাপ থাকলে আমাদের চারপাশের সবকিছুই খারাপ অবস্থায় থাকে। অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি “মরে যেতে ইচ্ছে করছে”-এতটুকু পর্যন্ত গড়াতে পারে। বেশীরভাগ সময়ই প্রথম পক্ষ মা-বাবাকে ভুলে গিয়ে আমরা আমাদের ভালো লাগা-খারাপ লাগার ব্যাপারটির জন্য বেকুবের মত নির্ভরশীল হয়ে পড়ি একটি আগন্তুক তৃতীয় পক্ষের উপর। যিনি হঠাৎ এসে পরিস্থিতির মাথামুণ্ডু না বুঝে পুরো পরিবেশটাকেই আলুর দম বানিয়ে ফেলেন। যার ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় বিশাল সাইজের রসগোল্লা উপহার পেয়ে গেরুয়া নিয়ে কেওকারাডং এর দিকে রওনা দিতে প্রস্তুত হয়ে পরেন। আর যারা তারও আগে ফরমালিন দেয়া কদলী ফলের মত পেকে যান, তাঁরা তো পরবর্তী জীবনে মোটামুটি একজন মহান দার্শনিকে রূপান্তরিত হন।
যেহেতু এটা একরকম নিশ্চিত যে, ভালো থাকা ও খারাপ থাকা একই সমান্তরালে চলতে পারে না, এবং ভালো থাকলে খারাপ থাকার চেয়ে বেশী লাভ হয়, তাই আমাদের ভালো থাকতে হবে। জোর করে হলেও ভালো থাকতে হবে।
আমরা আমাদের জন্যই ভালো থাকি, ভালো থাকতে হয়। আমরা নিজেরা নিজেদের ভালো থাকতে না দিয়ে, আমাদের যারা ভালো থাকতে দেয় না তাদেরকে জয়ী হতে দিতে পারি না। আমরা ভালো থাকবো পরাজিতের গ্লানি থেকে বাঁচতে। আমরা ভালো থাকবো শুধুই ভালো থাকতে। ভালো থাকতে অনেক আনন্দ। খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে শুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার মত।