আমি কার কাছে যাব? কারে যে বলি!
প্রজন্ম চত্বরের তরুণদের কত কথাই তো অনেকের এই অনুভূতি সেই অনুভূতিতে আঘাত হানে।
কিন্তু আজ যে আমার দেশপ্রেমানুভূতিতে আঘাত লেগেছে, এর কি হবে?
বিএনপির টিকিটে সংরক্ষিত আসনের সদস্য নিলুফার মণি গত পরশু 'তৃতীয় মাত্রা'য় অনেক অখাদ্য কুখাদ্য কথা বলেছেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একের পর এক কটূক্তি করেছেন। সব কথা আমলে নিচ্ছি না। সাঈদীর রায় হবে একটু পরেই । কত অনিশ্চিত দোলাচলে দুলছি। কিন্তু একটা কথা মাথা থেকে ফেলতেই পারছি না।
মণি বলেছেন, 'মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ, নাকি ৩ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন তা নিয়ে তার মনে প্রশ্ন আছে।'
কার কাছে বিচার দিব বলেন তো? সরকারি ভাড়দের কাছে বলে কোনো লাভ নেই। বিএনপি তো বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের দল। অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন এই দলে। তাদের কাছে বিচার দিব? তাদেরই তো সহযোদ্ধা এই মণি!
খালেদা, ফখরুল, রিজভীদের কাছে বলে কি কোনো লাভ হবে? না আস্থা পাচ্ছি না। এই সময়ে যদি অনন্ত সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত আলী বেঁচে থাকতেন, আমি নিশ্চিত তার দলের এই বেজন্মাদের জনসম্মুখে না হলেও অন্তত ডেকে নিয়ে শায়েস্তা করতেন। আছেন কি বিএনপির কোনো রাজনৈতিক নেতা? যার অন্তরে মণির এই উক্তিটি শেলের মতো বেঁধে গেছে?
নিজেদের যদি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের দল হিসেবে ভাবেন, ক্ষুদ্র একটা প্রতিবাদ করে হলেও এই বেজন্মাকে শিক্ষা দিন। খুবই সহজ একটা পথ, নিজেদের দলীয় ইজ্জত রক্ষা করার।
তাতে আমার মতো অনেক সাধারণ নাগরিকের দেশপ্রেমানুভূতির আহত স্থানে কিঞ্চিত হলেও মলমের প্রলেপ পড়বে।